Dhaka , Friday, 6 December 2024
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
পাইকগাছায় কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত।। ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো করেউ প্রথম টি-টুয়েন্টিতে বাংলাদেশের হার।। সরাইল থানা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে ৩৩০পিস ইয়াবাসহ ৩ জন গ্রাফতার।। সরাইল উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক সামাজিক সম্প্রীতি সভা অনুষ্ঠিত।। কালিয়াকৈরে বিএনপি কার্যালয় উদ্বোধন।। কালিয়াকৈরে চা বাগান বাজারে ইউসিবি ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন।। তিতাসে বিএনপির সমাবেশ উপলক্ষ্য গণসংযোগ।।  গুলিতে রিজভীর মাথার খুলি উড়ে যায়,মায়ের অগোচরে যেত জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে।। মেহেরপুরে মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত।। লক্ষ্মীপুরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারকে সহায়তা প্রদান।। বিতারিত প্রধান শিক্ষক ফিরে আসার পাঁয়তারা প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন।। জেলা প্রশাসকের সাথে পাইকগাছা উপজেলা কর্মকর্তাদের মতবিনিময়।।  নোয়াখালীর ডুবোচরে ভেসে এলো বিশালাকৃতির তিমি।। চট্টগ্রামের স্বাধীনতা জিয়া পার্ক পার্কের করুন দশা।। পোকখালী নাইক্ষ্যংদিয়া ও চৌফলদন্ডী পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিঃ এর নির্বাচন সম্পন্ন।। পিরোজপুরে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত।। বিএসএমএমইউ এর ভিসি হলেন লক্ষ্মীপুরের কৃতি সন্তান ডাঃ শাহিনুল আলম।। লালপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির শপথ গ্রহন অনুষ্ঠিত।। সদরপুরে সেলাই মেশিন ও হুইল চেয়ার বিতরণ।। পাবনায় ট্রাক-অ্যাম্বুলেন্স মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত- ৪।। রূপগঞ্জের সাংবাদিকরা নিরাপত্তাহীনতায় সুটার মাসুদ বাহিনীর হুমকি অব্যাহত হোন্ডা মহড়ায় জনমনে আতঙ্ক।। ৯ দিন কারাবাসের পর জামিন পেল টেকনাফের শিশু রাফি।। কিশোরগঞ্জ যশোদল ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ নেতা শাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বে সঙ্গবদ্ধ সংঘর্ষে বিএনপির নেতার সহধর্মিনী অন্ধ হওয়ার পথে।। ফ্যাসিবাদীরা মিডিয়ার কন্ঠরোধ করেছিল- নজরুল ইসলাম।। দুর্গাপুর নানা আয়োজনে ৩৩তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস পালিত।। হাটহাজারীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে দখলমুক্ত হলো ছড়া।। দেশের প্রতি ইঞ্চি মাটি রক্ষায় জাতিকে নিয়ে জামায়াত ঐক্যবদ্ধ-আলাউদ্দিন সিকদার।। কিশোর রাফিকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ পরে অস্ত্র দিয়ে মামলা।। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ-মখদুম হলের নতুন প্রাধ্যক্ষ ড.সৈয়দ সরোয়ার জাহান।। ভৈরব রেল স্টেশনে ধরা পড়েছে আইনজীবী সাইফুল হত্যার ১ নং আসামি চন্দন।।

সালথায় বিভাগদী আব্বাসিয়া দাখিল মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষকের সনদ জাল ও ভুয়া।।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 12:04:14 pm, Monday, 25 November 2024
  • 22 বার পড়া হয়েছে

সালথায় বিভাগদী আব্বাসিয়া দাখিল মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষকের সনদ জাল ও ভুয়া।।

মামুন মিঞা

 
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ফরিদপুর।।

   

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘সনদ জালিয়াতি ও  ভুয়া কাগজপত্রাদি’ জমা দিয়ে চাকুরি নেয়ার অভিযোগ উঠেছে

একাধিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

এছাড়া আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে নীতিমালা বহির্ভূতভাবে এই প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়- ১৯৮৩ সালে ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলায় পশ্চিম বিভাগদী গ্রামে আব্বাসিয়া দাখিল মাদ্রাসা স্থাপিত হয়।
২০১০ সালে প্রতিষ্ঠানটি নীতিমালা বহির্ভূতভাবে এমপিওভুক্ত করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে- তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর প্রভাব খাটিয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে পর্যাপ্ত পরিমান শিক্ষার্থী ও সরকারের দেওয়া নিয়মানুযায়ী জমি না থাকা সত্ত্বেও এমপিওভুক্ত হয়।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় সরেজমিনে ওই মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায়- ইবতেদায়ী শাখায় প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মাত্র ৩ জন শিক্ষার্থীকে একটি কক্ষের ভেতরে ক্লাস নিচ্ছেন সাবিনা পারভিন নামে একজন শিক্ষিকা।

এছাড়া প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মাত্র ২৪ জন শিক্ষার্থীর উপস্থিত দেখা যায়।

সালথা উপজেলাধীন পশ্চিম বিভাগদী আব্বাসিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক -শরীর চর্চা- হালিমা খাতুন- সহকারী মৌলভি শিক্ষক মো. কামরুল ইসলাম ও সহকারী মৌলভি শিক্ষক আবু জাফর।

এসব বিষয়ে নিয়ে বৃহস্পতিবার -২১ নভেম্বর – সালথা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মো. সাইফুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা

বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ১৮ জন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছে। এদের মধ্যে একাধিক শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজ ও শিক্ষাগত সনদ জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে।

যার কারণে তাঁরা মাদ্রাসার অফিস কক্ষে সার্টিফিকেট ও নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো কাগজ-পত্র জমা দেননি। তাছাড়া কোনো পত্রিকায় এদের নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিও নেই। নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো রেজুলেশন ও নিয়োগে-ডিজি-প্রতিনিধির চিঠিও নেই। কিন্তু পরবর্তীতে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে জমা দেয়া হয়েছে বলে মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বক্তব্যে উঠে এসেছে।
জানা যায়- সহকারী শিক্ষক-শরীর চর্চা- হালিমা খাতুন ২০০০ সালের ২০ জানুয়ারি যোগদান করেন। অথচ তৎকালীন তার দাখিলকৃত বিপিএড পরীক্ষার সনদ যেটিতে উল্লেখ রয়েছে যে হালিমা খাতুন ২০০৪ সালে বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর অন্তর্ভুক্ত গোপালগঞ্জের সাবেরা রউফ শারীরিক শিক্ষা কলেজ থেকে বি পি এড পরীক্ষা অংশ গ্রহণ করে দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছেন। যা ২৪ অক্টোবর ১৯৯৫ সালের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান -মাদ্রাসাসমূহ- নীতিমালা বহির্ভূত।

এছাড়া ওই সনদে উল্লেখিত রোল ও রেজিস্ট্রেশন নাম্বার বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক যাচাই করে দেখা যায় যে-সনদটির কোনো হদিস নেই।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে এই শিক্ষক জানান,২০০০ সালে চাকুরিতে যোগদান করলেও ২০১৩ সালে কুষ্টিয়া আলাউদ্দিন ফিজিক্যাল ইনস্টিটিউট থেকে বিপিএড পাশ করেছেন। এছাড়া ২০০৪ সালের জমাকৃত বিপিএড সনদের বিষয়ে কিছুই জানা নেই দাবি করে বলেন- আমার নামে কে বা কারা এটি জমা দিয়েছে- আমি কিছুই জানি না।

এছাড়া ২০১৩ সালের বিপিএড পাশ নীতিমালা বর্হিভূত কি-না জানতে চাইলে বলেন- বিষয়টি তখন আমি জানতাম না। পরবর্তীতে আমাকে বিপিএড করার সুযোগ দেয়া হয় এবং ওই সনদ পাওয়ার পর থেকেই বিল উত্তোলন করি।
তবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিনয় কুমার চাকী বলেন-কোনোভাবেই সহকারী শিক্ষক -শরীরচর্চা- পদে বিপিএড পাশ ছাড়া আবেদন করা সম্ভব নয়।

এছাড়া ২৪ অক্টোবর ১৯৯৫ সালের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-মাদ্রাসা-সমূহ নীতিমালা বহির্ভূতভাবে সহকারী মৌলভি শিক্ষক আবু জাফর জাল সনদে চাকুরিতে যোগদান করেন। নীতিমালা অনুযায়ী সহকারী মৌলভি শিক্ষকদের দুইটি ২য় বিভাগসহ একটি পরিক্ষায় ৩য় বিভাগ থাকলে হবে। দুটি পরিক্ষায় ৩য় বিভাগ ও একটি সনদে ২য় বিভাগ রয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মাদ্রাসার সাবেক এক সুপার বলেন, আবু জাফরের শিক্ষা সনদে দুটি পরিক্ষায় ৩য় বিভাগ ও একটি সনদে ২য় বিভাগ রয়েছে। অথচ তিনি জালিয়াতি করে ৩য় বিভাগকে ২য় বিভাগ করে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে জমা দিয়েছেন। এছাড়া একাধিকবার সনদ ও নিয়োগপত্রের কাগজপত্র মাদ্রাসায় জমা দেয়ার কথা বলা হলেও তিনি জমা দেননি বলে জানান ওই সুপার।

যেটি মাদ্রাসার রেজ্যুলেশন কপিতে উল্লেখ করা রয়েছে। 

তবে বিষয়টি নিয়ে আবু জাফর দাবি করেন, তাঁর সনদ সঠিক রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমিসহ আমাদের মাদ্রাসার কারো জাল সনদ নয়। আমি চ্যালেঞ্জ করলাম, জাল সনদ প্রমাণিত হলে চাকুরি ছেড়ে দিব। এগুলো নিয়ে বহুবার কথা উঠেছে, তদন্ত হয়েছে কিছুই হয়নি।’
অপরদিকে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মচারীদের মাসিক সরকারি অনুদান সংক্রান্ত বিল বিবরণীতে দেখা যায়, মাদ্রাসার সহকারী মৌলভি শিক্ষক মো. কামরুল ইসলাম ২০০৪ সালের ০১ নভেম্বর ওই মাদ্রাসায় যোগদান করেন। কিন্তু তাঁর জন্ম তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ১৯৮৫ সালের ০৫ মার্চ।

সে হিসেবে তখন চাকুরিতে যোগদানের বয়স মাত্র ১৯ বছর। সে ফাজিল পাস করে ওই পদে যোগদান করেন। তবে তাঁর নিয়োগ সংক্রান্ত মাদ্রাসায় কোনো কাগজপত্র আজও জমা দেননি বলে সাবেক ওই সুপার জানিয়েছেন।

এছাড়াও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষক বলেন- তৎকালীন সময়ে আমাদের মাদ্রাসায় নিয়োগের বিষয়ে কোনো সরকারী বিধি অনুসরণ করা হয়নি। তখন আমাদের কোন জায়গায় নিয়োগ পরীক্ষা হয়নি- কোনো -ডিজি-প্রতিনিধি ছিলনা-পত্রিকায়ও কোনো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি। ওই সময়েই কামরুল ইসলামকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়া হয় ।

তবে কামরুল ইসলাম দাবি করে বলেন- আমি ২০০০ সালে দাখিল -এসএসসি সমমান- এবং ২০০২ সালে আলিম -এইচএসসি- পাশ করি। পরবর্তীতে ২০০৪ সালে ফাজিল (বিএ সমমান) সম্পন্ন করেই চাকুরীতে যোগদান করি।

এসব বিষয়ে ওই মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মো. আবু নাছের আহমাদ বলেন- আমি নতুন যোগদান করেছি। বিষয়গুলো আমার জানা নেই। এছাড়া উল্লেখিত শিক্ষকদের নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্রাদি ও সনদ মাদ্রাসায় জমা আছে কি-না সে বিষয়ে কিছু জানেন না বলে মন্তব্য করেন। 

এ বিষয়ে সালথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনিছুর রহমান বালি বলেন- বিষয়টি নিয়ে আজ একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে একজন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

পাইকগাছায় কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত।।

সালথায় বিভাগদী আব্বাসিয়া দাখিল মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষকের সনদ জাল ও ভুয়া।।

আপডেট সময় : 12:04:14 pm, Monday, 25 November 2024

মামুন মিঞা

 
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ফরিদপুর।।

   

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘সনদ জালিয়াতি ও  ভুয়া কাগজপত্রাদি’ জমা দিয়ে চাকুরি নেয়ার অভিযোগ উঠেছে

একাধিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

এছাড়া আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে নীতিমালা বহির্ভূতভাবে এই প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়- ১৯৮৩ সালে ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলায় পশ্চিম বিভাগদী গ্রামে আব্বাসিয়া দাখিল মাদ্রাসা স্থাপিত হয়।
২০১০ সালে প্রতিষ্ঠানটি নীতিমালা বহির্ভূতভাবে এমপিওভুক্ত করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে- তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর প্রভাব খাটিয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে পর্যাপ্ত পরিমান শিক্ষার্থী ও সরকারের দেওয়া নিয়মানুযায়ী জমি না থাকা সত্ত্বেও এমপিওভুক্ত হয়।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় সরেজমিনে ওই মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায়- ইবতেদায়ী শাখায় প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মাত্র ৩ জন শিক্ষার্থীকে একটি কক্ষের ভেতরে ক্লাস নিচ্ছেন সাবিনা পারভিন নামে একজন শিক্ষিকা।

এছাড়া প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মাত্র ২৪ জন শিক্ষার্থীর উপস্থিত দেখা যায়।

সালথা উপজেলাধীন পশ্চিম বিভাগদী আব্বাসিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক -শরীর চর্চা- হালিমা খাতুন- সহকারী মৌলভি শিক্ষক মো. কামরুল ইসলাম ও সহকারী মৌলভি শিক্ষক আবু জাফর।

এসব বিষয়ে নিয়ে বৃহস্পতিবার -২১ নভেম্বর – সালথা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মো. সাইফুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা

বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ১৮ জন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছে। এদের মধ্যে একাধিক শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজ ও শিক্ষাগত সনদ জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে।

যার কারণে তাঁরা মাদ্রাসার অফিস কক্ষে সার্টিফিকেট ও নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো কাগজ-পত্র জমা দেননি। তাছাড়া কোনো পত্রিকায় এদের নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিও নেই। নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো রেজুলেশন ও নিয়োগে-ডিজি-প্রতিনিধির চিঠিও নেই। কিন্তু পরবর্তীতে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে জমা দেয়া হয়েছে বলে মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বক্তব্যে উঠে এসেছে।
জানা যায়- সহকারী শিক্ষক-শরীর চর্চা- হালিমা খাতুন ২০০০ সালের ২০ জানুয়ারি যোগদান করেন। অথচ তৎকালীন তার দাখিলকৃত বিপিএড পরীক্ষার সনদ যেটিতে উল্লেখ রয়েছে যে হালিমা খাতুন ২০০৪ সালে বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর অন্তর্ভুক্ত গোপালগঞ্জের সাবেরা রউফ শারীরিক শিক্ষা কলেজ থেকে বি পি এড পরীক্ষা অংশ গ্রহণ করে দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছেন। যা ২৪ অক্টোবর ১৯৯৫ সালের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান -মাদ্রাসাসমূহ- নীতিমালা বহির্ভূত।

এছাড়া ওই সনদে উল্লেখিত রোল ও রেজিস্ট্রেশন নাম্বার বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক যাচাই করে দেখা যায় যে-সনদটির কোনো হদিস নেই।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে এই শিক্ষক জানান,২০০০ সালে চাকুরিতে যোগদান করলেও ২০১৩ সালে কুষ্টিয়া আলাউদ্দিন ফিজিক্যাল ইনস্টিটিউট থেকে বিপিএড পাশ করেছেন। এছাড়া ২০০৪ সালের জমাকৃত বিপিএড সনদের বিষয়ে কিছুই জানা নেই দাবি করে বলেন- আমার নামে কে বা কারা এটি জমা দিয়েছে- আমি কিছুই জানি না।

এছাড়া ২০১৩ সালের বিপিএড পাশ নীতিমালা বর্হিভূত কি-না জানতে চাইলে বলেন- বিষয়টি তখন আমি জানতাম না। পরবর্তীতে আমাকে বিপিএড করার সুযোগ দেয়া হয় এবং ওই সনদ পাওয়ার পর থেকেই বিল উত্তোলন করি।
তবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিনয় কুমার চাকী বলেন-কোনোভাবেই সহকারী শিক্ষক -শরীরচর্চা- পদে বিপিএড পাশ ছাড়া আবেদন করা সম্ভব নয়।

এছাড়া ২৪ অক্টোবর ১৯৯৫ সালের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-মাদ্রাসা-সমূহ নীতিমালা বহির্ভূতভাবে সহকারী মৌলভি শিক্ষক আবু জাফর জাল সনদে চাকুরিতে যোগদান করেন। নীতিমালা অনুযায়ী সহকারী মৌলভি শিক্ষকদের দুইটি ২য় বিভাগসহ একটি পরিক্ষায় ৩য় বিভাগ থাকলে হবে। দুটি পরিক্ষায় ৩য় বিভাগ ও একটি সনদে ২য় বিভাগ রয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মাদ্রাসার সাবেক এক সুপার বলেন, আবু জাফরের শিক্ষা সনদে দুটি পরিক্ষায় ৩য় বিভাগ ও একটি সনদে ২য় বিভাগ রয়েছে। অথচ তিনি জালিয়াতি করে ৩য় বিভাগকে ২য় বিভাগ করে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে জমা দিয়েছেন। এছাড়া একাধিকবার সনদ ও নিয়োগপত্রের কাগজপত্র মাদ্রাসায় জমা দেয়ার কথা বলা হলেও তিনি জমা দেননি বলে জানান ওই সুপার।

যেটি মাদ্রাসার রেজ্যুলেশন কপিতে উল্লেখ করা রয়েছে। 

তবে বিষয়টি নিয়ে আবু জাফর দাবি করেন, তাঁর সনদ সঠিক রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমিসহ আমাদের মাদ্রাসার কারো জাল সনদ নয়। আমি চ্যালেঞ্জ করলাম, জাল সনদ প্রমাণিত হলে চাকুরি ছেড়ে দিব। এগুলো নিয়ে বহুবার কথা উঠেছে, তদন্ত হয়েছে কিছুই হয়নি।’
অপরদিকে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মচারীদের মাসিক সরকারি অনুদান সংক্রান্ত বিল বিবরণীতে দেখা যায়, মাদ্রাসার সহকারী মৌলভি শিক্ষক মো. কামরুল ইসলাম ২০০৪ সালের ০১ নভেম্বর ওই মাদ্রাসায় যোগদান করেন। কিন্তু তাঁর জন্ম তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ১৯৮৫ সালের ০৫ মার্চ।

সে হিসেবে তখন চাকুরিতে যোগদানের বয়স মাত্র ১৯ বছর। সে ফাজিল পাস করে ওই পদে যোগদান করেন। তবে তাঁর নিয়োগ সংক্রান্ত মাদ্রাসায় কোনো কাগজপত্র আজও জমা দেননি বলে সাবেক ওই সুপার জানিয়েছেন।

এছাড়াও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষক বলেন- তৎকালীন সময়ে আমাদের মাদ্রাসায় নিয়োগের বিষয়ে কোনো সরকারী বিধি অনুসরণ করা হয়নি। তখন আমাদের কোন জায়গায় নিয়োগ পরীক্ষা হয়নি- কোনো -ডিজি-প্রতিনিধি ছিলনা-পত্রিকায়ও কোনো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি। ওই সময়েই কামরুল ইসলামকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়া হয় ।

তবে কামরুল ইসলাম দাবি করে বলেন- আমি ২০০০ সালে দাখিল -এসএসসি সমমান- এবং ২০০২ সালে আলিম -এইচএসসি- পাশ করি। পরবর্তীতে ২০০৪ সালে ফাজিল (বিএ সমমান) সম্পন্ন করেই চাকুরীতে যোগদান করি।

এসব বিষয়ে ওই মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মো. আবু নাছের আহমাদ বলেন- আমি নতুন যোগদান করেছি। বিষয়গুলো আমার জানা নেই। এছাড়া উল্লেখিত শিক্ষকদের নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্রাদি ও সনদ মাদ্রাসায় জমা আছে কি-না সে বিষয়ে কিছু জানেন না বলে মন্তব্য করেন। 

এ বিষয়ে সালথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনিছুর রহমান বালি বলেন- বিষয়টি নিয়ে আজ একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে একজন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।