
মোঃ মাসুদ রানা মনি
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি।।
লক্ষ্মীপুরে বন্যার মারাত্মক অবনতি দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে উপজেলা সদর গুলো ছাড়া জেলার বারো আনি এলাকায় পানিতে নিমজ্জিত হয়ে গেছে। অনেকের ঘরের ভিতর পানি উঠেছে।
হাজার হাজার পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। অনেকেই নিজ বসত বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে বেড়িয়েছেন। বন্যা কবলিত জনগন মারাত্মক কষ্টে জীবন যাপন করছে। এই মুহূর্তে সরকারি সাহায্যের বেশি দরকার হয়ে পড়েছে ।জনগণ জানমালের নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন । লাখ লাখ টাকার মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। শাক সবজি ও আমন ধানের বীজতলা পানিতে ডুবে গেছে। গবাদিপশু নিয়ে মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন খামারিরা। অধিকাংশ খামারির গোয়াল ঘর পানিতে নিমজ্জিত। অনেকের মধ্যেই হাহুতাশের ছাপ স্পষ্ট দেখা দিয়েছে। গ্রামাঞ্চলের সবগুলো রাস্তায়ই পানিতে নিমজ্জিত। ফলে গ্রামের লোকজন মারাত্মক খাবার সংকটে। ত্রাণ সাহায্যে অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে রামগতি- কমল নগর- রায়পুর ও লক্ষ্মীপুর সদরের চরাঞ্চলের মানুষ গুলোকে নিদারুন কষ্ট করতে হচ্ছে।
ছাড়াও রামগঞ্জ উপজেলার চার ভাগের তিন ভাগ এলাকাই পানিতে নিমজ্জিত। বেড়িবাঁধের সবগুলো গ্রামই এখন পানির নীচে। এ সব এলাকার লোকজন কে এখন নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে। বৃদ্ধ ও শিশুদের নিয়েই যত দুশ্চিন্তা এখন এ সবাই এলাকার মানুষের। বৃষ্টিপাত এখনো অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে পাশের জেলা নোয়াখালীর সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে। লক্ষ্মীপুরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হবে কিনা এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।তবে এই পানি দিয়ে বাচ্চাদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে অনেকেই অনিহা প্রকাশ করছেন।