
স্টাফ রিপোর্টার, মেহেরপুর
মেহেরপুরে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উপলক্ষে উদ্যোমী ও বিপ্লবী ছাত্র জনতার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে ন্যায় ও সমতার ভিত্তিতে বৈষম্য বিরোধী-সংস্কারযুক্ত রাষ্ট্র বিধান রচনা ও ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ণয়মুলক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার -১ ফেব্রুয়ারি- বেলা ১১ টার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপিতে মানব উন্নয়ন কেন্দ্র -মউক- হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মানব উন্নয়ন কেন্দ্র -মউক- আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন, মউকের নির্বাহী প্রধান আশাদুজ্জামান সেলিম।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শেখ বখতিয়ার উদ্দীন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপাচার্যের একান্ত সচিব ড. তারিক আজিজ, এআরবি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আনোয়ারুজ্জামান মুকুল ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, মেহেরপুরের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ।
মউকের সিনিয়র জেলা প্রোগ্রাম ম্যানেজার সাদ আহাম্মদের সঞ্চালনায় এসময় সদর উপজেলা প্রোগ্রাম ম্যানেজার শিরিন আক্তার, মুরাদ হোসেন, কাজল রেখা, রেবেকা সুলতানা, ফাহিমা আক্তার, সুমাইয়া আক্তার, হালিমা খাতুন, চাঁদ তারা, চুমকি খাতুন, ফারজানা আখতার, জাহিদুল ইসলাম, ইয়ুথ ফোরামের সদস্য সজিব কুমার, ওয়াচ গ্রুপের সদস্য কদর আলী, ইয়াসমিন ও মউকের বিভিন্ন সেক্টরের সদস্যসহ গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন, শাহিনুর হোসেন এবং গীতা ও বাইবেল থেকে পাঠ করেন, সপ্তমী রাণী ও রিচার্ড সুবীর মন্ডল।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা মানব উন্নয়ন কেন্দ্র -মউক- এর চিন্তায় বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়তে বহুমাত্রিক ও বহুপর্যায়ের নজিরবিহীন ও নির্মম মানবাধিকার লঙ্ঘনের দৃষ্টান্তমূলক জবাবদিহি নিশ্চিত করাসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য তদন্ত নিশ্চিতে জাতিসংঘের উদ্যোগে সম্পূর্ণ স্বাধীন কমিশন গঠন করার মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত।
ভবিষ্যতে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে আইন-প্রয়োগকারী ও গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনের শাসনের সঙ্গে জড়িত সকল প্রতিষ্ঠান তথা সার্বিক রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজাবার জন্য জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে উদ্যোগ গ্রহণ করা, এ মুহূর্ত থেকে সকল অসত্য বয়ান ও মিথ্যাচার বন্ধ করে, সকল দেশবাসীর মানবাধিকার, ন্যয়বিচার ও সুশাসন নিশ্চিত করা।
আন্তর্জাতিক শ্রম বাজারের চাহিদা অনুযায়ী তরুণ জনগোষ্ঠীকে তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত ও কারিগরীভাবে দক্ষ করে তোলা, সরকারি-বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানে জনবল-কাঠামোতে দক্ষতার আলোকে প্রযোজ্য পরিবর্তন আনা এবং সকল চাকুরিতে নিয়োগ-প্রক্রিয়া দুর্নীতিমুক্ত, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সাম্যমূলক প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করা।
তথ্য, বাক ও মত প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করার ফ্যাসিস্ট-পদ্ধতি চিরতরে বন্ধ করার কার্যকর কৌশল নির্ধারণ করা, প্রতিবাদের অধিকার, সমাবেশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতার মতো মৌলিক অধিকারসমূহ নিশ্চিতে প্রাতিষ্ঠানিক এবং আইনি কাঠামো নিশ্চিত করা।
তরুণ প্রজন্ম যেন বাংলাদেশের বিভিন্ন নীতিনির্ধারাণ সেক্টরে নেতৃত্ব দিতে পারে, সেই লক্ষে নতুন সংবিধানে ছাত্র সংসদ প্রতিষ্ঠা বা সংসদীয় উচ্চকক্ষে ছাত্র প্রতিনিধির আসন বরাদ্দ রাখা, তরুন সৃষ্টিশীল উদ্যোক্তা তৈরিতে কেবল স্থায়ী সম্পদ জামানতের বিপরীতে ব্যাংক ঋণ ব্যাবস্থায় আংশিক পরিবর্তন এনে উদ্ভাবনী আইডিয়াকে উৎসাহিত করতে জামানত বিহীন ব্যাংক ঋণ কার্যকরীর ব্যবস্থা, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা ও সুপারিশ তুলে ধরেন।