
স্টাফ রিপোর্টার, মেহেরপুর
মেহেরপুরের গাংনীতে কৃষক দলের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার -২৮ জানুয়ারি- বিকেল ৪ টার দিকে গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের খাসমহল বাজারে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাস্ট্র মেরামতের ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচী বাস্তবায়নে কাথুলী ইউনিয়ন কৃষক দল আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি আব্দুল বারী।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর জেলা কৃষক দলের সভাপতি মাহবুবুর রহমান।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গাংনী উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, কাথুলী ইউনিয়ন কৃষক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাজমুল হোসেন।
যুবদল নেতা সিদ্দিকুর রহমানের সঞ্চালনায় এ সময় অন্যন্যের মধ্যে সাবেক ছাত্রনেতা সাইবুল ইসলাম, কাথুলী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান হুসাইন মাহমুদ, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মফিজুল ইসলাম, আজমাইন হোসেন, বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের বিএনপি ও কৃষকদলের নেতৃবৃন্দ এবং গণমাধ্যম কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা গাংনী উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা যদি বিপ্লব লালিত না করতো তাহলে এখানে বক্তব্য দেওয়া সম্ভব হতোনা। ৫ তারিখের পূর্বে কেউ কল্পনা করেনি শেখ হাসিনার মতো একটা খুনি, অর্থ পাচারকারী, একটা ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবে। বিগত ১৬ বছর ধরে দেশনায়ক তারেক রহমান আওয়ামী লীগের নির্যাতনের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন, সংগ্রাম গড়ে তুলেছিলেন ৫ আগস্টের বিপ্লব সেই ইন্ধন যুগিয়েছে।
নবগঠিত মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সদস্যদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, যারা সবচেয়ে কম মামলার আসামী, যাদেরকে বিগত ১৬ বছরে রাজপথের কোন মিছিলে পাওয়া যায়নি তাদের নিয়ে জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। যারা সর্বোচ্চ মামলার আসামী তাদেরকে কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যে সমস্ত নেতাকে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ সবসময় পাওয়া গেছে, যারা জনগণের পাশে থেকেছে সেসব ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে হাইব্রিড নেতাদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এসব কমিটির নেতৃবৃন্দদের নিয়ে কি আশা করা যায়? বিগত আওয়ামী লীগের আমলে কষ্টে ছিলাম। এসব হাইব্রিড নেতাদের নিয়ে কমিটি হলে কষ্ট আরও বাড়বে। এসব নেতাদের প্রত্যাখ্যান করতে হবে এবং ত্যাগী নেতাদের নিয়ে কমিটি গঠন করতে হবে। তিনি জেলা কমিটির সমালোচনা করে আরো বলেন, শুধু টাকা থাকলে ঢাকায় বসে রাজনীতি করলে হবেনা, মেহেরপুর কোর্টে গিয়ে উকালতি করলে হবেনা। মানুষের সুখে দুঃখে সার্বক্ষণিক পাশে থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা কৃষক দলের সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, সারা বাংলাদেশের ৪৫৮০ টি ইউনিয়নে তারেক রহমান ঘোষিত রাস্ট্র মেরামতের কর্মসূচী চলমান। এরই ধারাবাহিকতায় মেহেরপুর জেলার ২০ টি ইউনিয়নেও চলছে। যা আগামী ফেব্রুয়ারির ১০ তারিখ নাগাদ সকল কর্মসূচী সম্পন্ন করতে হবে।
তিনি বলেন, কৃষক সমাবেশ করতে গিয়ে কৃষকদের নিয়ে যেসব সমস্যা তৈরি হয়েছে, কৃষকরা সার সংকটে রয়েছে, বেশি টাকা দিয়ে ভালো কীটনাশক পাচ্ছেনা, বীজে ভেজাল এ নিয়ে অনেক অভিজ্ঞতা তৈরি হয়েছে।
দেশনায়ক তারেক রহমান কৃষকদের নিয়ে কিছু সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কৃষকদের এসব সমস্যা দূরীকরণসহ গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে। এজন্য সকলকে সুসংগঠিত হয়ে তারেক রহমানের পাশে থেকে বিএনপিকে নির্বাচিত করার আহ্বান জানান।