মামুন মিঞা
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ফরিদপুর।।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার বানা ইউনিয়নের রুদ্রবানা এলাকায় প্রবাহিত মধুমতী নদী থেকে অবাধে চলছে বালু উত্তোলন।
এতে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নীরব থাকছে প্রশাসন,অভিযোগ এলাকাবাসীর।
সরেজমিন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে- ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বানা ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ড রুদ্রবানা এলাকায় ইউপি সদস্য বাবর আলীর নেতৃত্বে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে লাখ লাখ ফুট বালু উত্তোলন করছে প্রভাবশালী একটি চক্র।
তারা বলেন,মধুমতী নদীর সরকারি সম্পত্তি ইজারার মাধ্যমে নিয়েই বালু উত্তোলন করেন।
প্রকৃতি ও পরিবেশের ক্ষতি করে কয়েক মাস ধরে চলছে বালু তোলার মহোৎসব। আলফাডাঙ্গা উপজেলায় মধুমতি নদী থেকে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে প্রতিদিন ভোর থেকে রাত পর্যন্ত বালু তোলা হয়। অভিযোগ রয়েছে- স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তারা অবৈধভাবে কাজটি করে যাচ্ছেন। এতে পানির প্রবাহে গতি পরিবর্তন হওয়ায় নদীর পাড় ভেঙে এলাকার ফসলি জমিসহ বাড়ি-ঘর নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। তবে বালু উত্তোলনকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে কেউ কিছু বলতে সাহস পাচ্ছেন না।
নদীর মাঝখানে ও কূল ঘেঁষে কয়েকটি ড্রেজার মেশিন বসানো। এর প্রতিটি মেশিনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে কয়েকটি বাল্কহেড। প্রতিটি বোটে ১০-১২ জন লোকের পাহারা। আলফাডাঙ্গা উপজেলার কয়েকটি গ্রামের একাধিক গ্রামবাসী বালু উত্তোলনের কারণে দুর্দশার কথা জানিয়ে বলেন, এই অবৈধ বালু উত্তোলন আমাদের সর্বস্বান্ত করে ছাড়বে। আমাদের গ্রাম নদী গ্রাস করে নিচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন- আমাদের জমি জিরাত বালু উত্তোলনের ফলে ভেঙে যাচ্ছে। সরকার যদি আমাদের সহযোগিতা করে তাহলে আমাদের জীবনটা বাঁচব।
এখানেই শেষ নয়-উত্তোলনকৃত বালু এতো পরিমাণ উঁচু করে-সামান্য বাতাস বইতেই আমাদের ঘরে থাকা বিছানা-পোশাক পরিচ্ছদ নষ্ট করে শুধু তাই নয় খাবারের ভাত-তরকারির মধ্যে ও প্রবেশ করে। ফলে অধিকাংশ খাবারই নষ্ট হয়ে যায়। বারবার প্রশাসনের কাছে নালিশ দিয়েও প্রতিকার পাইনি।
এ বিষয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা আলফাডাঙ্গা উপজেলা-সারমীন ইয়াসমিন বলেন-আমরা দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।