Dhaka , Saturday, 7 December 2024
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কক্সবাজার কার্যালয় উদ্বোধন।। জেলা পুলিশ পিরোজপুর কর্তৃক প্রত্যেক থানা ভিত্তিক মসজিদে জনসচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্টিত।। একুশে পাঠচক্র অনুষ্ঠিত।। আটঘরিয়ায় রাইচ মিল ও গভীর নলকুপের মিটার চুরির হিরিক বিকাশ নাম্বারে টাকা দিলে মিটার ফেরত।। পাইকগাছায় কম্পিউটার ভবন উদ্বোধন ও দুঃস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ।। পাইকগাছায় পরোয়ানাভুক্ত আসামি আটক- ৪।। সুন্দরগঞ্জে রোটারি ক্লাব ঢাকা সিটি’র কম্বল বিতরণ।। সরাইল পরগণা বন্ধু ফোরামের শ্লোগান ক্ষুদার্তকে অন্ন দান।। নোয়াখালীতে শিক্ষকের বাড়িতে হামলা অগ্নিসংযোগ।। নোয়াখালীতে দ্যা হান্ড্রেড বল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এর শুভ উদ্বোধন।। মেহেরপুর মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।। রামগঞ্জে শান্তি ও সম্প্রতি র‌্যালী অনুষ্ঠিত।। ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার এদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে  দিয়েছে – জামায়াতের  সেক্রেটারী জেনারেল।।  ডুবোচরে ধাক্কায় মাছধরার নৌকা উল্টে ২ জেলের মৃত্যু নিখোঁজ ২।। ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডি দিবস।। পাইকগাছায় কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত।। ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো করেউ প্রথম টি-টুয়েন্টিতে বাংলাদেশের হার।। সরাইল থানা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে ৩৩০পিস ইয়াবাসহ ৩ জন গ্রাফতার।। সরাইল উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক সামাজিক সম্প্রীতি সভা অনুষ্ঠিত।। কালিয়াকৈরে বিএনপি কার্যালয় উদ্বোধন।। কালিয়াকৈরে চা বাগান বাজারে ইউসিবি ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন।। তিতাসে বিএনপির সমাবেশ উপলক্ষ্য গণসংযোগ।।  গুলিতে রিজভীর মাথার খুলি উড়ে যায়,মায়ের অগোচরে যেত জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে।। মেহেরপুরে মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত।। লক্ষ্মীপুরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারকে সহায়তা প্রদান।। বিতারিত প্রধান শিক্ষক ফিরে আসার পাঁয়তারা প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন।। জেলা প্রশাসকের সাথে পাইকগাছা উপজেলা কর্মকর্তাদের মতবিনিময়।।  নোয়াখালীর ডুবোচরে ভেসে এলো বিশালাকৃতির তিমি।। চট্টগ্রামের স্বাধীনতা জিয়া পার্ক পার্কের করুন দশা।। পোকখালী নাইক্ষ্যংদিয়া ও চৌফলদন্ডী পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিঃ এর নির্বাচন সম্পন্ন।।

ফরিদপুরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ একাধিক ছাই তৈরি কারখানা অর্থাৎ চারকোন।সমস্যায় ভুগছে সাধারন মানুষ।।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 02:20:04 pm, Tuesday, 12 November 2024
  • 32 বার পড়া হয়েছে

ফরিদপুরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ একাধিক ছাই তৈরি কারখানা অর্থাৎ চারকোন।সমস্যায় ভুগছে সাধারন মানুষ।।

 

মামুন মিঞা

সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ফরিদপুর।।

 

সোনালি আঁশ পাটের সঙ্গে বাড়তি সুবিধা এনে দিয়েছে পাটকাঠি বা পাটখড়ি।বর্তমান সময়ে পাটের আঁশ,আঁশ ছাড়ানো পাটকাঠি পোড়ানো ছাই দুই-ই অতি মূল্যবান।

ফরিদপুরের বিভিন্ন উপজেলাগুলোতে প্রচুর পাট উৎপাদন হয়।

পাটকাঠি আগুনে পোড়া ছাই থেকে রাসায়নিক উপজাত কার্বন তৈরি হয়- এই ছাই নাকি হীরার মতোই দামী।

বর্তমানে চীনসহ ইউরোপ ও আমেরিকার কয়েকটি দেশে রফতানি হচ্ছে এই ছাই। ছাইরের ভেতরের কার্বন পাউডার থেকে তৈরি হচ্ছে কার্বন পেপার- কম্পিউটার ও ফটো কপিয়ারের কালি -টোনার- আতশবাজি- মোবাইল ফোনের ব্যাটারি ও পলিমার ব্যাটারি- প্রসাধন সামগ্রী- মাউথওয়াশ- দাঁত পরিষ্কারের ওষুধ- সারসহ বিভিন্ন পণ্য।

কার্বনের ৮০ শতাংশ রফতানি হয় চীনে। বাকি ২০ শতাংশ মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা- অস্ট্রেলিয়া- জাপান- দক্ষিণ কোরিয়া- জার্মানি- তাইওয়ানে রফতানি হয়।
কৃষক এখন  পাটের সঙ্গে পাটখড়ি বিক্রি করছে। পাটখড়ির ছাইকেও আর অবহেলা করা যায় না।
ফরিদপুর সদর-

নগরকান্দা,সালথা,আলফাডাঙ্গা,বোয়ালমারী,মধুখালি উপজেলাগুলোতে বেশ কিছু ছাই তৈরি কারখানা গড়ে উঠেছে।
কারখানাগুলো ঘুরে দেখা যায়,কিছু কারখানার চিমনি নেই,শ্রমিকরা কাজ করছে মুখে নেই মাক্স,হাতে নেই হাত মুজা,সম্পূর্ণ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করছে শ্রমিক।

শুধু তাই নয়- জনবহুল এলাকায় ও গড়ে উঠেছে এই ছাই কারখানা,যার কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে জনজীবন। একটি ছাই তৈরির কারখানার ধোয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। কালো ধোয়ার প্রভাবে কৃষি উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে মারাত্বকভাবে। কৃষি জমিতে ফসল উৎপাদন কমে যাওয়া ও পরিপক্ক হওয়ার আগেই বিভিন্ন ফল ফলাদী ঝরে পড়ে। পাটকাঠির ছাই তৈরি কারখানাই চারকোল নামেও পরিচিত। 

এছাড়া কারখানার ভিতরে যে পরিমাণ ছাই উড়ে যেখানে,সেখানে মানুষ থাকার কোন সুযোগ নেই। তবুও জীবিকার তাগিদে কাজ করে ২০ থেকে ২৫ জন শ্রমিক।

এখানে প্রতি রাতে পাটখড়ি পুড়িয়ে ছাই তৈরি করার প্রক্রিয়ার সময় প্রচুর কালো ধোয়া নির্গত হয়। যার ফলে পুরা এলাকা ধোয়ায় পরিপূর্ণ থাকে।

স্থানীয় জানায়- শীত মৌসুমে ছাই তৈরি কারখানা শুরু হয়,যার কারণে কুয়াশায় কালো ধোয়া শিশিরের সাথে মিশে  ফোটায় ফোটায় কালো পানি পড়ে এলাকাবাসীর গায়ে।  ঘরের প্রতিটি জিনিসপত্র কালো হয়ে যায়। স্থানীয় বয়স্ক লোকদের এবং  হাপানী রোগীদের শ্বাস- প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হয় ।

ক্রমাগত এভাবে চুলা বাড়িয়ে পাটখড়ি পুড়িয়ে পরিবেশ দুষিত করলে এ এলাকাটি মানুষের বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে বলে ধারনা করছে স্থানীয় সচেতন মহল।

নগরকান্দা উপজেলার প্রভাকর্দী এলাকাবাসী জানান- প্রশাসনের কাছে কয়েক দফা জানালেও কোনো প্রতিকার পায়নি এলাকাবাসী।

এ বিষয় পরিবেশ অধিদপ্তর ফরিদপুর এর আঞ্চলিক পরিচালক সাঈদ আনোয়ার এর সাথে যোগাযোগ করতে গেলে,তিনি ফোন না তোলায় তার বক্তব্য দেওয়া সম্ভব হলো না। 

কারখানাটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। 

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কক্সবাজার কার্যালয় উদ্বোধন।।

ফরিদপুরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ একাধিক ছাই তৈরি কারখানা অর্থাৎ চারকোন।সমস্যায় ভুগছে সাধারন মানুষ।।

আপডেট সময় : 02:20:04 pm, Tuesday, 12 November 2024

 

মামুন মিঞা

সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ফরিদপুর।।

 

সোনালি আঁশ পাটের সঙ্গে বাড়তি সুবিধা এনে দিয়েছে পাটকাঠি বা পাটখড়ি।বর্তমান সময়ে পাটের আঁশ,আঁশ ছাড়ানো পাটকাঠি পোড়ানো ছাই দুই-ই অতি মূল্যবান।

ফরিদপুরের বিভিন্ন উপজেলাগুলোতে প্রচুর পাট উৎপাদন হয়।

পাটকাঠি আগুনে পোড়া ছাই থেকে রাসায়নিক উপজাত কার্বন তৈরি হয়- এই ছাই নাকি হীরার মতোই দামী।

বর্তমানে চীনসহ ইউরোপ ও আমেরিকার কয়েকটি দেশে রফতানি হচ্ছে এই ছাই। ছাইরের ভেতরের কার্বন পাউডার থেকে তৈরি হচ্ছে কার্বন পেপার- কম্পিউটার ও ফটো কপিয়ারের কালি -টোনার- আতশবাজি- মোবাইল ফোনের ব্যাটারি ও পলিমার ব্যাটারি- প্রসাধন সামগ্রী- মাউথওয়াশ- দাঁত পরিষ্কারের ওষুধ- সারসহ বিভিন্ন পণ্য।

কার্বনের ৮০ শতাংশ রফতানি হয় চীনে। বাকি ২০ শতাংশ মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা- অস্ট্রেলিয়া- জাপান- দক্ষিণ কোরিয়া- জার্মানি- তাইওয়ানে রফতানি হয়।
কৃষক এখন  পাটের সঙ্গে পাটখড়ি বিক্রি করছে। পাটখড়ির ছাইকেও আর অবহেলা করা যায় না।
ফরিদপুর সদর-

নগরকান্দা,সালথা,আলফাডাঙ্গা,বোয়ালমারী,মধুখালি উপজেলাগুলোতে বেশ কিছু ছাই তৈরি কারখানা গড়ে উঠেছে।
কারখানাগুলো ঘুরে দেখা যায়,কিছু কারখানার চিমনি নেই,শ্রমিকরা কাজ করছে মুখে নেই মাক্স,হাতে নেই হাত মুজা,সম্পূর্ণ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করছে শ্রমিক।

শুধু তাই নয়- জনবহুল এলাকায় ও গড়ে উঠেছে এই ছাই কারখানা,যার কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে জনজীবন। একটি ছাই তৈরির কারখানার ধোয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। কালো ধোয়ার প্রভাবে কৃষি উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে মারাত্বকভাবে। কৃষি জমিতে ফসল উৎপাদন কমে যাওয়া ও পরিপক্ক হওয়ার আগেই বিভিন্ন ফল ফলাদী ঝরে পড়ে। পাটকাঠির ছাই তৈরি কারখানাই চারকোল নামেও পরিচিত। 

এছাড়া কারখানার ভিতরে যে পরিমাণ ছাই উড়ে যেখানে,সেখানে মানুষ থাকার কোন সুযোগ নেই। তবুও জীবিকার তাগিদে কাজ করে ২০ থেকে ২৫ জন শ্রমিক।

এখানে প্রতি রাতে পাটখড়ি পুড়িয়ে ছাই তৈরি করার প্রক্রিয়ার সময় প্রচুর কালো ধোয়া নির্গত হয়। যার ফলে পুরা এলাকা ধোয়ায় পরিপূর্ণ থাকে।

স্থানীয় জানায়- শীত মৌসুমে ছাই তৈরি কারখানা শুরু হয়,যার কারণে কুয়াশায় কালো ধোয়া শিশিরের সাথে মিশে  ফোটায় ফোটায় কালো পানি পড়ে এলাকাবাসীর গায়ে।  ঘরের প্রতিটি জিনিসপত্র কালো হয়ে যায়। স্থানীয় বয়স্ক লোকদের এবং  হাপানী রোগীদের শ্বাস- প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হয় ।

ক্রমাগত এভাবে চুলা বাড়িয়ে পাটখড়ি পুড়িয়ে পরিবেশ দুষিত করলে এ এলাকাটি মানুষের বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে বলে ধারনা করছে স্থানীয় সচেতন মহল।

নগরকান্দা উপজেলার প্রভাকর্দী এলাকাবাসী জানান- প্রশাসনের কাছে কয়েক দফা জানালেও কোনো প্রতিকার পায়নি এলাকাবাসী।

এ বিষয় পরিবেশ অধিদপ্তর ফরিদপুর এর আঞ্চলিক পরিচালক সাঈদ আনোয়ার এর সাথে যোগাযোগ করতে গেলে,তিনি ফোন না তোলায় তার বক্তব্য দেওয়া সম্ভব হলো না। 

কারখানাটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।