
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট
কানাইঘাট উপজেলার ডালাইরচরের বাসিন্দা ব্যবসায়ী মো: হেলাল আহমদ এর বাসা প্রভাবশালী কর্তৃক দখলের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার -১৫ মার্চ- নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ অভিযোগ জানান।
হেলাল আহমদ কানাইঘাট উপজেলার ডালাইরচরের মো: আব্দুল হান্নানের ছেলে। বর্তমানে তিনি বর্তমানে লিয়া টাওয়ার উদ্দীপন ৭৫ এর বাসিন্দা।
লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, আমি ২০২৩ সালে মীরাবাজারের উদ্দীপন ৪৫ নং বাসা হতে ২য় তলা টিনসেড বাসাসহ জমি ছয় শতক সাত পয়েন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম সোয়েব আহমদ চৌধুরীর উত্তরাধিকারীর কাছ থেকে -দলিল নম্বর ৮৯১১-২০২৩-
ক্রয় করি ও সরজমিন দখল বুজিয়া পাই। তারপর বাসার কিছু মেরামত করিয়া ভাড়া দিয়া দেই। ২০২৩ সালের ০৩ অক্টোবর পবিত্র উমরাহ হজ্জে যাই। আমি সৌদি আরবে থাকা অবস্থায় ০৭ ই অক্টোবর ২০২৩ ইং মোবাইলের মাধ্যমে খবর পাই আমার খরিদ কৃত বাসার ২য় তলার ভাড়াটিয়া গ্রামের বাড়িতে থাকা অবস্থায় এলিট ফোর্স এর বাহিনী দখল করিয়া অবস্থান করিতেছে। আমি ১৩ অক্টোবর দেশে আসিয়া পাড়া প্রতিবেশী মহল্লাবাসী ও উদ্দীপন ক্লাব এর কাছে বিচার প্রার্থী হই, উনারা জানান যে, আমরা বিষয়টি ইতিমধ্যে তদন্ত করে জেনেছি, আলী ওয়াসিকুজ্জামান চৌধুরী অনি ও সৈয়দ জাহিদ উদ্দীন তালা ভেঙে এলিট ফোর্স এর লোকজনকে ভিতরে রাখিয়াছেন, এবং তারপর মহল্লার মোরব্বিয়ানগণ ও উদ্দীপন ক্লাব উভয় পক্ষকে তিন বার তলব করিলে আমি উপস্থিত হই, কিন্তু দখলদার পক্ষের কেউ উপস্তিত হন নাই। তখন পাড়ার মুরব্বিয়ানরা আমাকে জানান আইনের আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য।
আরো বলেন, আমি আইনের আশ্রয় নিতে থানায় যাই কিন্তু তৎকালীন প্রভাবশালী মহলের নির্দেশ থাকায় থানায় আমার অভিযোগ/জিডি নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তারপর নিরোপায় হয়ে মাননীয় আদালতে যাই কিন্তু মাননীয় আদালত আমার মোকদ্দমা গ্রহণ করেন নাই। পরবর্তীতে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরে ০৭ আগস্ট ২০২৪ ইংরেজিতে আমি আপোষের প্রস্তাব পাই এবং সিলেট এর জেল রোড পানসি হোটেলের মালিক পক্ষ ও শহরের ৫-৬ জন ব্যবসায়ীকে নিয়ে আপোষের বৈঠক হয়। দ্বিতীয় তলার আমার ভাড়াটিয়ার মাল পত্র ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত মাল গুলা ফেরত পাইনি। অনির মা ও দুই খালা আমার বাসার সঙ্গে ৯ শতক ৯ পয়েন্ট বাসা সহ মোট ১৫ শতক ১৬ পয়েন্ট দুটি বাসা একত্রে বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়, ক্রেতা পানসি রেস্টুরেন্ট মালিকের ভাই ডাক্তার কামালকে কাগজপত্র দেওয়া হয়েছে।
২০২৫ সালের মার্চের প্রথম দিকে অনি আমাকে মোবাইলে হুমকি দেয় এক সপ্তাহের ভিতরে রেজিস্ট্রি করে দিতে। পরবর্তীতে মার্চ ৬ তারিখ আমার বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয় ও বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছে বিনা টাকায় রেজিস্টারি করে দেওয়ার জন্য, নতুবা এক সপ্তাহ পরে আমাকে হত্যা করে লাশ কানাইঘাটে পাঠিয়ে দিবে। বাসার সামনে সিটি কর্পোরেশনের একটি হোল্ডিং সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে তার বাবার নামে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মেজর উপাধি দিয়ে। লোকমুখে শুনতে পারলাম এই পদ পদবী ভূয়া।
আমি আমার বিকাশ একাউন্ট থেকে গ্যাস বিল ও সিটি কর্পোরেশনের পানির বিল নিয়মিত পরিশোধ করে আসিতেছি। এমতা অবস্থায় আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছি।