মোঃ এহছান এলাহী
নীলফামারী প্রতিনিধি।।
নীলফামারী ডিমলায় পরকিয়ার টানে দুই সন্তানের জননী উধাও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। খোদ অভিযোগটি করেন পরকিয়ার প্রথম স্বামী বাবু মিয়া -৩৬ -। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড মাওলানা পাড়া গ্রামে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ওই এলাকার বেলাল হোসেন -৫২- এর পুত্র বাবু মিয়ার সঙ্গে পার্সবর্তী জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের বোনপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল গফফারের কন্যা রোকসানা আক্তার রুপসেন -২৮ – এর পারিবারিক আলোচনা সাপেক্ষে বিবাহ হয় গত ৮ বছর পুর্বে।
সংসার জীবনে তাদের রেহান নামের ৮ বছরের পুত্র সন্তান ও তাসিন আক্তার ৬ বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। বাবু মিয়া কুমিল্লায় কনস্ট্রাকশনের কাজ করেন। সে অনুযায়ী স্বামী বাহিরে অবস্থান করার সুযোগে স্ত্রী রোকসানা রুপসেন তার গ্রামের বাড়ির বাল্যবন্ধু গোলমুন্ডা জুম্মাপাড়ার বাসিন্দা রহিদুল ইসলামের ছেলে আলমগীর হোসেন উকিল -২৪ -এর সঙ্গে অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৬ই সেপ্টেম্বর শুক্রবার গভির রাতে স্বামীর ও শ্বাশুর শ্বাশুড়ি অজান্তে পরকিয়ার টানে প্রেমিকা আলমগীরের বাসায় পাড়ি জমায়। বিষয়রি জানাজানি হলে স্বামী বাবু বাড়িতে ফিরে ঘটনার সত্যতা পায়। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে এক অভিযোগ করে বাবু মিয়া জানান, পালিয়ে আশার সময় আমার স্ত্রী রোকসানা রুপসেন নগদ দুই লক্ষ টাকা- ১১ আনা স্বর্ণ- হাড়িপাতিল- কাপড় চোপর ও নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু সরঞ্জামাদী নিয়ে লাপাত্তা হয়। পরে জানতে পারি তার প্রেমিকা আলমগীরের বাড়িতে উঠেছে। অন্যদিকে ঘটনার বিষয়ে জানতে গিয়ে আলমগীর হোসেন উকিলের মা আলিমা বেগম -৪০- গণমাধ্যমকে জানান, আমার একটি মাত্র ছেলে আলমগীর। সেদিন একটি মেয়ে নিয়ে বাড়িতে এসেছিল এবং ২দিন আমার বাড়িতে ছিল। বিয়ে হয়ে কি না এবং আপনি পুত্রবধু হিসাবে মেনে নিয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নে আলিমা বেগম জানান,ছেলে আমার হাত পাঁ ধরে বলেছে আমি এনেছি কিছু বলেন না। এ জন্য কিছু বারাবাড়ি করি নাই। এলাকাবাসীর পক্ষে খায়রুল ইসলাম বলেন, এর আগেও লালমনিরহাটের একটি মেয়ে বিয়ের দাবীতে আলমগীরের বাড়ি আসছিল। পরে টাকা পয়সা দিয়ে মিট করেছে। সে রেশ কাটতে না কাটতেই শুনলাম আবার এক দুই সন্তানের মায়ের সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্ক এবং সে মেয়ে বাড়ি পর্যন্ত এসেছিল। অপরদিকে এ ঘটনার উদঘাটনের জন্য অভিযুক্ত বখাটে আলমগীর হোসেন উকিলের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান- রোখসানা আমার বাল্য বন্ধু। স্বামীর সাথে মনমালিন্য ঘটিয়ে আমার এখানে এসেছিল। অবৈধ সম্পর্কের মাঝে আপনাদের বিয়ে হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে আলমগীর জানান- সেটা মেয়েকে জিজ্ঞেস করেন বলেই ফোনটি রেখেদেন তিনি। অন্যদিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পরকিয়ার টানে স্বামী ছেড়ে আশা দুই সন্তানের জননী রোকসানা রুপসেন কোথায় অবস্থান করছেন তার শুনিদৃষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে রোকসানার প্রথম স্বামী বাবুর দাবী আমাকে সমাজের নিকট হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে আলমগীর আমার স্ত্রীকে গোপনস্থানে রেখেছেন। বাবু মিয়া জানান, স্ত্রী যাক সমস্যা নেই কিন্তূ আমার কনিষ্ঠ কন্যাকে ফিরিয়ে দেউক। আইনের কাছে এটাই আমার আকুল আবেদন।