অরবিন্দ রায়
স্টাফ রিপোর্টার।।
শিক্ষা নিয়ে গড়ব দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ এই শ্লোগান কে সামনে রেখে
পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচী শুরু করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রনালয়।
নরসিংদীতে পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচীর
স্কুলে স্কুলে প্রচারনা করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচীর মনিটরিং অফিসার মোহাম্মদ সোহেল চৌধুরী আজ বুধবার পাঁচদোনা স্যার কৃষ্ণ গোবিন্দ গুপ্ত উচ্চ বিদ্যালয়, বাগহাটা নূর আফতাব আদর্শ বিদ্যাপীঠ,বাগহাটা ইসলামিয়া দাখিল মার্দাসা পরিদর্শন করেন। মনিটরিং অফিসার মোহাম্মদ সোহেল চৌধুরী বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে পাঠাভ্যাস কর্মসূচী নিয়ে আলোচনা করেন, ক্লাসে ক্লাসে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বই পড়ার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। এ ছাড়াও পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচীর উপকরণ বিতরন ঠিকমত হয়েছে কিনা কিংবা কোন অসঙ্গতি আছে কিনা এ সব মনিটরিং করেন।
পাঁচদোনা স্যার কৃষ্ণ গোবিন্দ গুপ্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিলনায়তনে মনিটরিং অফিসার মোহাম্মদ সোহেল চৌধুরী শিক্ষকদের নিয়ে পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচী নিয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সুকুমার চন্দ্র কর, মো. জসিম উদ্দিন (চ. দা.) সহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাবৃন্দ প্রমুখ।
শিক্ষার্থীদের পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচীর বই পড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির জন্য বিদ্যালয়ের ক্লাসে ক্লাসে গিয়ে বই পড়ার সুবিধার কথা বলা হয়। এ ছাড়াও বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা লিফলেট বিতরণ ও শিক্ষার্থীদের বই পড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করে।
নরসিংদী সদর উপজেলার ৬১ টি বিদ্যালয়ের পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচীর উপকরণ বিতরন করা হয়।
সারাদেশে ৬৪ টি জেলায় ৩০০টি উপজেলায় পনের হাজার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচী চালু করা হয়েছে।
পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির কার্যকর বাস্তবায়ন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক প্রভাব বিবেচনা করে মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে এসইডিপি মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠ্যক্রম বহির্ভূত সৃজনশীল বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার লক্ষ্যে ৬৪ টি জেলায় ৩০০ উপজেলার ১৫ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগী হিসেবে কাজ করছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র।
এই কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঠাভ্যাস ও পাঠদক্ষতার উন্নয়ন ঘটবে। শিক্ষার্থীর সৃজনশীলতা ও চিন্তা শক্তি বৃদ্ধি পাবে। শিক্ষার্থীরা নতুন শব্দ ও তার প্রযোগ শিখবে। আনন্দের মধ্য দিয়ে পাঠ্য বিষয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারবে বলে মনে করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।