Dhaka , Monday, 9 December 2024
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
নেত্রকোণার দুর্গাপুরে ৪নং বিরিশিরি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত।। আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস শুদ্ধি অভিযানে দমনের প্রত্যয়।। মধুপুরে দুই ইটভাটায় দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা।। ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী ডন গ্রেফতার।। অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর প্রহর গুনছে ওমান প্রবাসী নুরুল হুদা।। কালিয়াকৈরে কৃষক দলের উপজেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি গঠন।। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের গাছ কর্তনের অভিযোগ গাছ জব্দ প্রশাসনের।। দুই দশকেও সংস্কার হয়নি রামগঞ্জ -লক্ষ্মীপুর  ওয়াপদা সড়ক।। পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় তিন ভুয়া র‌্যাব সদস্য গ্রেফতার।। পাঠ্যপুস্তক বিকৃত করে শিক্ষার্থীদের ভুল শিক্ষা দেয়া হয়েছে -ড. আব্দুল মঈন খান।। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে সিটিজেন্স ফোরামের শুভ উদ্বোধন করলেন সিএমপি কমিশনার।। রূপগঞ্জে আহত সাংবাদিককে দেখতে গেলেন কাজী মনির।।  হাতিয়া ছাত্র ফোরাম, ঢাকা’র নেতৃত্বে নাসিম-শাকিল।। সরাইল মুক্ত দিবস পালিত।। তিতাসে ইউনিক মডেল স্কুলে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত।।  নোয়াখালীতে থানা থেকে লুট হওয়া ৫৭৬টি বুলেট উদ্ধার।। পাবনায় মেরিন একাডেমির ক্যাডেট পাসিং আউট প্যারেড সম্পন্ন।। মহিষমারী মধ্যপাড়ায় ইসলামী সুন্নী মহা সম্মেলন অনুষ্ঠিত।। ঘন কুয়াশার চাদরে ঠাকুরগাঁও বাড়ছে শীতজনিত দুর্ভোগ।। তিতাসে বিএনপির কর্মী সমাবেশে জনতার ঢল।। ভোলায় জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত।। নোয়াখালীর কবিরহাটে জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী খাল কাটার প্রতিবাদে মানববন্ধন।। জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের খাল খনন কর্মসূচিকে পুনরুজ্জীবিত করার আহ্বান- চসিক মেয়র ডা.শাহাদাত হোসেন।। কিশোরগঞ্জে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন।। কৃষিবিদ শামীমের বিরুদ্ধে সংবাদের প্রতিবাদে মোংলায় বিক্ষোভ মিছিল।। রামগঞ্জে লায়ন্স ক্লাব বাংলাদেশের ত্রান বিতরণ।। সাধারণ মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে ব্যারিস্টার কায়সার কামালের অর্থায়নে নির্মিত ব্রীজ উদ্বোধন।। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সরাইল থানা ওসি’র  প্রশংসনীয় উদ্যোগ।। বরইকান্দি ও ২৮ নং ওয়ার্ড ফুটসাল টুর্নামেন্টের ট্রফি এবং জার্সি উন্মোচন।। রামগঞ্জে রতনপুর গুলবাগ যুব ফাউন্ডেশনের উদ্বোধন।।

ডা.শাহাদাতকে চসিক মেয়র ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি।। 

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 05:33:21 am, Wednesday, 9 October 2024
  • 41 বার পড়া হয়েছে

ডা.শাহাদাতকে চসিক মেয়র ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি।। 

ইসমাইল ইমন

চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।।
আদালতের রায় ঘোষণার সাত দিন পর বিএনপির নেতা ডা.শাহাদাত হোসেনকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। ৮ অক্টোবর -মঙ্গলবার- রাতে নির্বাচন কমিশনের সচিব শফিউল আজিম স্বাক্ষরিত এ প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়।
আদালতের নির্দেশে ইসি প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে। সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি শিরোনামে বলা হয়েছে, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ও যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালত, চট্টগ্রামে দায়ের করা নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল মামলার গত ১ অক্টোবরের আদেশে ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ‘নৌকা’ প্রতীকের প্রার্থী ১ নম্বর বিবাদী মো. রেজাউল করিম চৌধুরীকে নির্বাচিত ঘোষণা বাতিল করে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী শাহাদাত হোসেনকে নির্বাচিত মেয়র ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো।
গত তিন বছর আগে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন -চসিক- নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা.শাহাদাত হোসেনকে জয়ী ঘোষণা করে ১ অক্টোবর রায় দেন আদালত। আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির জন্যও আদালত সরকারকে নির্দেশ দেন। চট্টগ্রাম প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক খাইরুল আমিন এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার দিন বাদীর আইনজীবী মফিজুল হক ভূঁইয়া বলেন- ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কারচুপির প্রমাণ পেয়েছেন আদালত। এ জন্য বিএনপির প্রার্থী ডা.শাহাদাত হোসেনকে চসিকের মেয়র ঘোষণা করেছেন।
ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তৎকালীন সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর আর কার্যালয়ে আসেননি। মেয়রকে অপসারণ করে ১৯ আগস্ট চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলামকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এরপর আদালত থেকে নতুন নির্দেশনা আসে।
২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ডা.শাহাদাত হোসেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট পান।
২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে নয়জনকে বিবাদী করে মামলাটি করেছিলেন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী নগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ডা.শাহাদাত হোসেন।
মামলার নয়জন বিবাদী হলেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার- নির্বাচন কমিশনের সচিব- চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচনী কর্মকর্তা- সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা- মেয়র প্রার্থী আবুল মনসুর- এম এ মতিন- খোকন চৌধুরী, ওয়াহেদ মুরাদ ও জান্নাতুল ইসলাম।
মামলায় বলা হয়েছে- নির্বাচনী ফলাফল তথা ইভিএমের প্রিন্ট করা -ছাপা- কপি দেওয়ার নিয়ম রয়েছে- কিন্তু তা দেওয়া হয়নি। হাতে লেখা ফলাফল দেওয়া হয়। এতে বোঝা যায়- নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। বিবাদীরা একে ওপরের যোগসাজশে বিএনপির মেয়র প্রার্থীকে হারিয়ে দিয়েছেন। ভোটের দিন ভোটকেন্দ্র ভোটারের উপস্থিতি না থাকলেও আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জয়ী দেখানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। নির্বাচনে ভোট পড়ে মাত্র ২২ দশমিক ৫২ শতাংশ। ভোটের দিন হামলা, গোলাগুলি, প্রাণহানি ও ক্ষমতাসীনদের শক্তি প্রদর্শনের ঘটনা ঘটে। এতে ভোটের উৎসব অনেকটা ম্লান হয়ে যায়। ভোট শেষে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে কোনো ভোটই হয়নি।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

নেত্রকোণার দুর্গাপুরে ৪নং বিরিশিরি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত।।

ডা.শাহাদাতকে চসিক মেয়র ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি।। 

আপডেট সময় : 05:33:21 am, Wednesday, 9 October 2024

ইসমাইল ইমন

চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।।
আদালতের রায় ঘোষণার সাত দিন পর বিএনপির নেতা ডা.শাহাদাত হোসেনকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। ৮ অক্টোবর -মঙ্গলবার- রাতে নির্বাচন কমিশনের সচিব শফিউল আজিম স্বাক্ষরিত এ প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়।
আদালতের নির্দেশে ইসি প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে। সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি শিরোনামে বলা হয়েছে, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ও যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালত, চট্টগ্রামে দায়ের করা নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল মামলার গত ১ অক্টোবরের আদেশে ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ‘নৌকা’ প্রতীকের প্রার্থী ১ নম্বর বিবাদী মো. রেজাউল করিম চৌধুরীকে নির্বাচিত ঘোষণা বাতিল করে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী শাহাদাত হোসেনকে নির্বাচিত মেয়র ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো।
গত তিন বছর আগে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন -চসিক- নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা.শাহাদাত হোসেনকে জয়ী ঘোষণা করে ১ অক্টোবর রায় দেন আদালত। আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির জন্যও আদালত সরকারকে নির্দেশ দেন। চট্টগ্রাম প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক খাইরুল আমিন এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার দিন বাদীর আইনজীবী মফিজুল হক ভূঁইয়া বলেন- ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কারচুপির প্রমাণ পেয়েছেন আদালত। এ জন্য বিএনপির প্রার্থী ডা.শাহাদাত হোসেনকে চসিকের মেয়র ঘোষণা করেছেন।
ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তৎকালীন সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর আর কার্যালয়ে আসেননি। মেয়রকে অপসারণ করে ১৯ আগস্ট চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলামকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এরপর আদালত থেকে নতুন নির্দেশনা আসে।
২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ডা.শাহাদাত হোসেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট পান।
২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে নয়জনকে বিবাদী করে মামলাটি করেছিলেন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী নগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ডা.শাহাদাত হোসেন।
মামলার নয়জন বিবাদী হলেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার- নির্বাচন কমিশনের সচিব- চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচনী কর্মকর্তা- সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা- মেয়র প্রার্থী আবুল মনসুর- এম এ মতিন- খোকন চৌধুরী, ওয়াহেদ মুরাদ ও জান্নাতুল ইসলাম।
মামলায় বলা হয়েছে- নির্বাচনী ফলাফল তথা ইভিএমের প্রিন্ট করা -ছাপা- কপি দেওয়ার নিয়ম রয়েছে- কিন্তু তা দেওয়া হয়নি। হাতে লেখা ফলাফল দেওয়া হয়। এতে বোঝা যায়- নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। বিবাদীরা একে ওপরের যোগসাজশে বিএনপির মেয়র প্রার্থীকে হারিয়ে দিয়েছেন। ভোটের দিন ভোটকেন্দ্র ভোটারের উপস্থিতি না থাকলেও আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জয়ী দেখানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। নির্বাচনে ভোট পড়ে মাত্র ২২ দশমিক ৫২ শতাংশ। ভোটের দিন হামলা, গোলাগুলি, প্রাণহানি ও ক্ষমতাসীনদের শক্তি প্রদর্শনের ঘটনা ঘটে। এতে ভোটের উৎসব অনেকটা ম্লান হয়ে যায়। ভোট শেষে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে কোনো ভোটই হয়নি।