
তৌহিদ বেলাল।।
চট্টগ্রামে রোশনি সায়মা (২২) নামের এক গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ মে) রাত বারোটার দিকে সীতাকুন্ড উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের হাসনাবাদ গ্রামে শ্বশুরবাড়ির অদূরে পুকুরপাড় থেকে এক সন্তানের জননী সায়মার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রোশনি সায়মা ওই গ্রামের দেলোয়ার আলমের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত বারোটার দিকে ‘ডাকাতেরা রোশনি সায়মাকে হত্যা করেছে’ বলে তার ননদ ও শ্বশুর-শাশুড়ি চিৎকার করতে থাকে। এসময় প্রতিবেশীরা গিয়ে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে পুকুরপাড়ে গৃহবধূ রোশনি সায়মার লাশ দেখতে পায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
নিহত রোশনি সায়মার পরিবারের দাবি, শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য তাকে প্রায় সময় নির্যাতন করতো। তাদের চাহিদার শেষ ছিল না।
মুরাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাহার বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের সাথে ডাকাতির সম্পর্ক আছে বলে মনে হয় না। পারিবারিক কিংবা অন্য কোনো কারণে হত্যাকাণ্ডটি ঘটতে পারে’।
জানা যায়, পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত রোশনি সায়মার স্বামী দিদারুল আলম
ও ননদসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোফায়েল আহমদ প্রতিদিনের কাগজ- কে বলেন- ‘প্রাথমিকভাবে এটিকে একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি ও নিহতের ননদের রক্তমাখা জামা উদ্ধার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী ও দুই ননদকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে’।
ওসি আরো বলেন- ‘আমরা গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠিয়েছি। প্রাথমিকভাবে জেনেছি ঘটনার সময় নিহতের স্বামী কর্মস্থলে ছিলেন। গৃহবধুর দুই বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান আছে। নিহতের স্বজন কেউ এলে মামলা দায়ের হবে’।
তবে সেখানে ডাকাতির কোন ঘটনা ঘটেনি জানিয়ে ওসি বলেন- ‘নিহত গৃহবধূর গায়ে ও হাতে গয়না ছিলো। তাদের ঘরেও ডাকাতি বা লোপাটের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এসব মিথ্যা প্রচারণা’