
মো.ইমরান হোসেন,
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি।।
গাজীপুরের কালীগঞ্জে অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে যে যুবকের মরদেহের তিন অংশের দুই হাত ও কোমর থেকে উরু উদ্ধার করা হয়েছিল, ওই মরদেহের বাকি অংশগুলোও উদ্ধার করেছে কালীগঞ্জ থানার উলুখোলা ফাঁড়ি পুলিশ। পাশাপাশি মিলেছে যুবকের পরিচয়ও। নিহত যুবক কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের পানজোড়া গ্রামের অমূল্য বার্নাড ঘোষালের ছেলে সবুজ বার্নার্ ঘোষাল (৩২)। তিনি পানজোড়া এলাকার পূর্বাচল অ্যাপারেলস লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানায় কোয়ালিটি চেকার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মানিক মিয়ার ভাড়া বাড়ির সামনে ও কারখানা সংলগ্ন ডোবায় শনিবার সকালে কোমর থেকে উরু ও দুটি বিচ্ছিন্ন হাতসহ মরদেহের তিনটি অংশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে দিনব্যাপী আশেপাশের এলাকা থেকে মরদেহের আরও চার টুকরা উদ্ধার করা হয়। তবে এখনো পায়ের এক অংশের সন্ধান মেলেনি। উদ্ধার হওয়া প্রতিটির টুকরার একটি থেকে কমপক্ষে আধা কিলোমিটার দূরে আরেকটি ফেলে রাখা হয়। কোনোটা পুকুরের পাড়ে, কোনোটি পাওয়া গেছে ডাঙ্গায় ও ঝোপঝাড়ে। সব মিলিয়ে মরদেহের সাতটি টুকরা উদ্ধার করা হয়েছে। বিকেলে মুখমণ্ডল উদ্ধারের পর নিহতের স্বজনরা পরিচয় নিশ্চিত করেন।
নিহতের বাবা অমুল্য বার্নাড ঘোষাল জানান, গত ২৮ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেল ৪টার দিকে সবুজ বার্নার্ড পূর্বাচল অ্যাপারেল লিমিটেড থেকে বের হন। এরপর তিনি আর কারখানায় বা বাড়িতে ফেরেননি। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার ২৯ সেপ্টেম্বর কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছিল।
গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহের খন্ডিত বিভিন্ন অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।