নিজস্ব প্রতিবেদক- ঢাকা- সাভার।।
ঢাকার সাভার রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের সহকারী কমিশনার নুরুন নাহার
সিদ্দিকার বিরুদ্ধে প্রায় সব ফাইলে ন্যূনতম তিনশো টাকা ঘুষ ও ফাইল আটকে রেখে অনৈতিকভাবে লাখ টাকা
অর্থ আদায়ের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার -৯ জুলাই- সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের কাস্টমস বন্ড
কমিশনারেট কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন গার্মেন্টস এক্সসোরিজ ও স্টেশনারি ব্যবসায়ীরা।
এ সময় বহিরাগতদের দিয়ে অফিস কার্যক্রম পরিচালানার অভিযোগ করে আন্দোলনরত ব্যবসায়ীরা বলেন-
আমরা সঠিক নিয়মেই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। এরপরেও প্রতিটি ফাইল প্রতি ন্যূনতম ৩০০ টাকা ঘুষ
দিতে হয়। কাগজপত্র সঠিক থাকা সত্ত্বেও ব্যবসায়ীদের ফাইল আটকে রাখেন এই সহকারী কমিশনার।
তারা আর-ও বলেন- আগে যেখানে এক থেকে দুই দিনে ফাইল প্রস্তুত হতো, এখন সেখানে ঘুষ দিয়েও প্রায় ১৫
দিন সময় লেগে যাচ্ছে। আগে কর্মকর্তারা সরাসরি ঘুষ নিতেন কাজও সরাসরি হয়ে যেতো। কিন্তু এখন প্রতিটি
ফাইলের জন্য অগ্রিম ঘুষ দিতে হয়। অগ্রিম টাকা দিয়েও প্রায় ১৫- ২০ দিন যাওয়ার পরেও ফাইল আটকে
থাকে।
ঝুট ব্যবসায়ী বাহার উদ্দিন বাহার বলেন- অতিরিক্ত টাকা -ঘুষ- না দিলে ঝুটের ফাইল আটকে রাখেন ওই
কর্মকর্তা। এমন অবস্থায় কারখানায় ঝুটসহ অন্যান্য মালামাল নষ্ট হয়ে যায়। এতে করে ব্যবসায়ীদের
অনেক ক্ষতি হচ্ছে। তার সঙ্গে কথা বলতে গেলে অনেক খারাপ আচরণ করেন তিনি। এছাড়া লাইসেন্স বাতিল
করার হুমকি দেন। এতে করে ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ হয়ে আজ বিক্ষোভে নেমেছেন।
ব্যবসায়ী মাসুদ রানা বলেন- ব্যবসার শুরু থেকেই প্রতিটা ফাইলের জন্য ৩০০ টাকা করে ঘুষ দিতে হচ্ছে। প্রায়
তিন বছর ধরে কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের সহকারী কমিশনার এই ঘুষ আদায় করে চলেছেন। আমরা বাধ্য
হয়েই ঘুষ দিচ্ছিলাম। কিন্তু সম্প্রতি তারা আমাদের কাছ থেকে অগ্রিম ঘুষ আদায়ের জন্য ব্যক্তিগত চারজন
লোক নিয়োগ দিয়েছেন। যারা আগে ঘুষ নেন কিন্তু কর্মকর্তারা আমাদের ফাইল আটকে রাখেন। এতে করে
বিভিন্ন মালামাল কারখানায় সরবরাহ করতে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সাভার রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট ডিইপিজেড বিভাগের -সহকারী
কমিশনার নুরুন নাহার সিদ্দিকা বলেন- আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি ছাড়া কোনো কথা বলতে পারব
না। তবে তারা যে অভিযোগ করেছেন- তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। বহিরাগত যারা অফিসে আসতেন তাদের
আমি বের করে দিয়েছি।