Dhaka , Friday, 24 January 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
ঠাকুরগাঁও সীমান্তে ১৫০ গজ ভেতরেই চৌকি বসাল ভারত পটিয়ায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে শিক্ষকের আত্মহত্যা বিএনপি জনগনের ভোট নিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়- কাজী সাইয়েদুল আলম  হাটহাজারিতে অবৈধভাবে কৃষি জমির টপসয়েল কাটার জন্য অর্ধ লক্ষ টাকা জরিমানা রূপগঞ্জে ওয়াসার কাজে বিদেশী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দূর্ণীতির প্রতিবাদে ও বকেয়া টাকা পরিশোধের দাবিতে মানববন্ধন কেউ শোনেনা কারো কথা চরম বিশৃঙ্খল ও নেতৃত্ব সংকট বরিশাল বিএনপিতে এসএসসি পাশ না করেও ২১ বছর যাবৎ দাখিল মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন নুরুল হাকিম দারুল ইহসান ট্রাস্ট বোর্ডের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ওবায়দুল কাদেরের সেজো বোনের মৃত্যু ফসলি জমি থেকে বালু তোলায় লাখ টাকা জরিমানা প্রেমে ব্যর্থ হয়ে যুবকের আত্মহত্যা মনপুরা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ফকিরহাট মাদ্রাসায় শীত সামগ্রী বিতরণ বন্দরে যুবদল নেতা সোহাগের প্রকাশ্যে গুলি ছোড়ার ভিডিও ভারাইল নারী ও শিশুর অধিকার নিশ্চিতকরণে আমাদের আরো সচেতন হতে হবে- তথ্য ও সম্প্রচার সচিব পটিয়ায় সড়কের পাশ থেকে মরদেহ উদ্ধার শ্যামপুর থেকে নিষিদ্ধ পলিথিন সহ ১ জনকে আটক করেছে পুলিশ পুখুরিয়া স্টেশনে ট্রেনের যাত্রাবিরতি বাতিল করায় সদরপুরের যাত্রীদের ভোগান্তি  নিহত আসিফের জন্য সদরপুর কলেজ মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত গাাজীপুরে সাবেক মন্ত্রীর নিকট আত্বীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সম্রাট গ্রেফতার জাতির আত্মনির্ভরতার প্রশ্ন গবিতে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ দুর্নীতি আড়াল করতে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ নেতাদের কুটকৌশল  ফাঁকা বাসায় ডেকে নিয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা অতঃপর পাইকগাছায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে সাইকেল বিতরণ  ঘোড়াশাল বাজার উচ্ছেদ অভিযান বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন নোয়াখালীতে থানার পুকুরে পড়ে ছিল লুট হওয়া চায়না রাইফেল   রামগঞ্জে স্মার্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ২,৫০০ শিশুর বিনামূল্যে সুন্নতে খতনা রূপগঞ্জে শুভ ফুড নামের অবৈধ শিশুখাদ্য ও ফুলকলি সুইট এন্ড বেকারী কারখানায় প্রশাসনের অভিযান অবৈধ পন্য ধ্বংস ও আর্থিক জরিমানা  পলাশ উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত গাজীপুরে এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডে পিসি কমিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত রূপগঞ্জে মাদক সম্রাট রুবেল ১০৫পিস ইয়াবা ও দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার

কাশ খড় বিক্রি করে স্বাবলম্বী তিস্তা চরের কৃষকরা

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 10:03:51 pm, Monday, 27 September 2021
  • 163 বার পড়া হয়েছে

কাশ খড় বিক্রি করে স্বাবলম্বী তিস্তা চরের কৃষকরা

 

হযরত বেল্লাল,

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি।।

শরতের ছোঁয়ায় কাশফুলের ঝাড়ে ভরে উঠেছে তিস্তার চরাঞ্চল। প্রকৃতির অপরুপ মহিমা দেখার জন্য তিস্তার চরাঞ্চলে এখন ভীর করছে অসংখ্য উৎসুক জনতা। পাশাপাশি চরের কৃষকরা কাশফুলের খড় বিক্রি করে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে। তিস্তার বালু চরে গজিয়ে উঠা কাশফুলের ঝাড় যেন চরবাসির জন্য আর্শিবাদ । গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার চরাঞ্চল এখন আবাদি জমিতে পরিনত হয়েছে। গোটা চরাঞ্চল যেন সবুজের সমারহে ছেঁয়ে গেছে। বিশেষ করে উপজেলার তারাপুর, হরিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়ার চরে কাশফুলের ব্যাপক ঝাড় দেখা দিয়েছে। কাশফুলের খড় পানের বরজ ও বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রের ঘর ছাউনি এবং ঝাড়– তৈরির কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের পাড়াসাদুয়া চরের কৃষক আকবর আলী জানান, তার পাঁচ বিঘা জমিতে কাশফুলের ঝাড় গজিয়ে উঠেছে। আবহাওয়া প্রতিকুলে থাকায় গত দু’বছর কাশফুল হয়নি। তিনি বলেন, যে ভাবে কাশফুলের ঝাড় দেখা দিয়েছে, তাতে করে ৩ লাখ টাকার কাশফুলের খড় বিক্রি করা যাবে। কৃষকরা আশাবাদী চলতি মৌসুমে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে জেলার বাহিরে কাশফুলের খড় রপ্তানি করার যাবে। উপজেলার কঞ্চিবাড়ী ইউনিয়নের কঞ্চিবাড়ী গ্রামের পানের বরজ মালিক আনোয়ার হোসেন জানান, কাশফুলের (কাশিয়া খড়) খড় দিয়ে পানের বরজের বেড়া ও ছাউনি দেয়া হয়। এতে করে পানের বরজ ঠান্ড থাকে এবং ফলন ভাল হয়। আজ থেকে দশ বছর আগে তিস্তার চরে এবং বিভিন্ন উচু এলাকায় ব্যাপক হারে কাশফুল গজিয়ে উঠেছিল। বর্তমানে কাশফুল নেই বললে চলে। তিনি বলেন, কাশফুলের খড়ের আটির শ’ বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার টাকায়। তারপরও পাওয়া যাচ্ছে না। উপজেলার হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান, তিস্তার চরের কাশফুলের ঝাড় প্রকৃতির নিয়ামত। এটি চাষাবাদ করা লাগে না। এমনিতেই জেগে উঠা চরে গজিয়ে উঠে কাশফুল। চরের অনেক কৃষক বর্তমানে কাশফুলের খড় বিক্রি করে স্বালম্বী হয়ে উঠছে। উপজেলা কৃষি অফিসার রাশিদুল ইসলাম জানান, কৃষিতে তিস্তার চরাঞ্চল এখন সম্ভাবনাময় এলাকায়। তিস্তার বালুচরে এখন নানাবিধ ফসল চাষাবাদ হচ্ছে। সেই সাথে কাশফুলের ঝাড় দেখা দিয়েছে ব্যাপক হারে। উজানের ঢলে নেমে আসা কাশফুরের বীজ চরে পড়ে গজিয়ে উঠে কাশফুলের ঝাড়। বিনা খরচে এখন স্বাবলম্বী চরের কৃষকরা।

ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

ঠাকুরগাঁও সীমান্তে ১৫০ গজ ভেতরেই চৌকি বসাল ভারত

কাশ খড় বিক্রি করে স্বাবলম্বী তিস্তা চরের কৃষকরা

আপডেট সময় : 10:03:51 pm, Monday, 27 September 2021

 

হযরত বেল্লাল,

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি।।

শরতের ছোঁয়ায় কাশফুলের ঝাড়ে ভরে উঠেছে তিস্তার চরাঞ্চল। প্রকৃতির অপরুপ মহিমা দেখার জন্য তিস্তার চরাঞ্চলে এখন ভীর করছে অসংখ্য উৎসুক জনতা। পাশাপাশি চরের কৃষকরা কাশফুলের খড় বিক্রি করে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে। তিস্তার বালু চরে গজিয়ে উঠা কাশফুলের ঝাড় যেন চরবাসির জন্য আর্শিবাদ । গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার চরাঞ্চল এখন আবাদি জমিতে পরিনত হয়েছে। গোটা চরাঞ্চল যেন সবুজের সমারহে ছেঁয়ে গেছে। বিশেষ করে উপজেলার তারাপুর, হরিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়ার চরে কাশফুলের ব্যাপক ঝাড় দেখা দিয়েছে। কাশফুলের খড় পানের বরজ ও বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রের ঘর ছাউনি এবং ঝাড়– তৈরির কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের পাড়াসাদুয়া চরের কৃষক আকবর আলী জানান, তার পাঁচ বিঘা জমিতে কাশফুলের ঝাড় গজিয়ে উঠেছে। আবহাওয়া প্রতিকুলে থাকায় গত দু’বছর কাশফুল হয়নি। তিনি বলেন, যে ভাবে কাশফুলের ঝাড় দেখা দিয়েছে, তাতে করে ৩ লাখ টাকার কাশফুলের খড় বিক্রি করা যাবে। কৃষকরা আশাবাদী চলতি মৌসুমে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে জেলার বাহিরে কাশফুলের খড় রপ্তানি করার যাবে। উপজেলার কঞ্চিবাড়ী ইউনিয়নের কঞ্চিবাড়ী গ্রামের পানের বরজ মালিক আনোয়ার হোসেন জানান, কাশফুলের (কাশিয়া খড়) খড় দিয়ে পানের বরজের বেড়া ও ছাউনি দেয়া হয়। এতে করে পানের বরজ ঠান্ড থাকে এবং ফলন ভাল হয়। আজ থেকে দশ বছর আগে তিস্তার চরে এবং বিভিন্ন উচু এলাকায় ব্যাপক হারে কাশফুল গজিয়ে উঠেছিল। বর্তমানে কাশফুল নেই বললে চলে। তিনি বলেন, কাশফুলের খড়ের আটির শ’ বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার টাকায়। তারপরও পাওয়া যাচ্ছে না। উপজেলার হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান, তিস্তার চরের কাশফুলের ঝাড় প্রকৃতির নিয়ামত। এটি চাষাবাদ করা লাগে না। এমনিতেই জেগে উঠা চরে গজিয়ে উঠে কাশফুল। চরের অনেক কৃষক বর্তমানে কাশফুলের খড় বিক্রি করে স্বালম্বী হয়ে উঠছে। উপজেলা কৃষি অফিসার রাশিদুল ইসলাম জানান, কৃষিতে তিস্তার চরাঞ্চল এখন সম্ভাবনাময় এলাকায়। তিস্তার বালুচরে এখন নানাবিধ ফসল চাষাবাদ হচ্ছে। সেই সাথে কাশফুলের ঝাড় দেখা দিয়েছে ব্যাপক হারে। উজানের ঢলে নেমে আসা কাশফুরের বীজ চরে পড়ে গজিয়ে উঠে কাশফুলের ঝাড়। বিনা খরচে এখন স্বাবলম্বী চরের কৃষকরা।