মো.ইমরান হোসেন,
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি।।
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অন্য বছরের থেকে এবার বোরো -ইরি ধানের ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরা খুশি । জমিতে ধান পাঁকা মৌসুমের শুরুতেই শ্রমিকের সংকটে কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছে । প্রাকৃতিক দূর্যোগের আশঙ্কায় পাঁকাধান কেটে ঘরে তোলার ব্যাপারে কৃষকরা উদ্বিগ্ন ।
উপজেলার নয়টি ইউনিয়নে চলতি বোরো ইরি মৌসুমে ১০ হাজার ১৬৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে উপজেলা কৃষি বিভাগ । জমিতে উচ্চ মূল্যে সার ও কীটনাশক ব্যবহার সহ সেচ কাজে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করেছেন কৃষকরা । আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অন্য বছরের থেকে এবার বোরো ইরি ধানের ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরা খুশি । বৈশাখের শুরুতে ঢালজোড়া , আটাবহ , সূত্রাপুর ও চাপাইর ইউনিয়নে বিভিন্ন এলাকায় ধান পাঁকা শুরু হয়েছে । সেইসাথে ধান কাটা শ্রমিকের সংকটে কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছে । কারণ বৈশাখ মাসে অতিবৃষ্টি , শিলাবৃষ্টি ও কাল বৈশাখী ঝড়ে স্বপ্নের ফসল ঘরে তুলতে পারবে কিনা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন কৃষকরা ।
স্থানীয় ভাবে ধান কাটার শ্রমিক না থাকায় উত্তর বঙ্গের শ্রমিকদের চাহিদা রয়েছে ব্যাপক । ঈদের পর রোববার ভোর বেলায় কালিয়াকৈর বাসষ্ট্যান্ড চত্তরে উত্তর বঙ্গের শ্রমিকদের ভীর জমে । বিভিন্ন এলাকা থেকে জমির মালিক ও কৃষকরা শ্রমিকদের দাম নির্ধারণ করে ধান কাটতে নিয়ে যাচেছন । জন প্রতি শ্রমিকের মুজুরী ৮শত থেকে সাড়ে ৯ শত টাকা পর্যন্ত মূল্য নির্ধারণ হচ্ছে । ধান কাটার মৌসুমে শ্রমিকদের দৈনন্দিন বাজার মূল্য বাড়তে থাকে । বৃষ্টি হলে বা জমিতে পানি থাকলে শ্রমিকদের মুজুরীও বেড়ে যায় । ফলে বাধ্য হয়ে প্রাকৃতিক দূর্যোগের আশঙ্কায় উচ্চ মূল্য দিয়ে হলেও মাঠের ধান ঘরে তোলার চেষ্টা করছেন ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জানান , নয়টি ইউনিয়নে চলতি বোরো- ইরি মৌসুমে বি – উনত্রিশ সহ বিভিন্ন জাতের ১০ হাজার ১৬৫ হেক্টর জমিতে ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে । তবে লক্ষ্যমাত্রা থেকে বেশী চাষাবাদ হয়েছে । এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন অনেক ভালো হয়েছে । উৎপাদিত ধানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪১ হাজার ৮৪৫ মেট্রিক টন