Dhaka , Wednesday, 17 December 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
নোয়াখালীতে বিস্ফোরক মামলায় আ.লীগ সভাপতি গ্রেপ্তার বর্ণাঢ্য আয়োজনে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে মহান বিজয় দিবস উদযাপন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্যারেড কুচকাওয়াজ ও মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত আলোকিত বাংলাদেশের উদ্যোগে বিজয় দিবস উদযাপন মহান বিজয় দিবসে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের গৌরবময় সংবর্ধনা মহান বিজয় দিবস ২০২৫ উপলক্ষে কক্সবাজারে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত মহান বিজয় দিবসে কক্সবাজার জেলা পুলিশের শ্রদ্ধা নিবেদন নতুন সাজে ও আধুনিক ব্যবস্থাপনায় কক্সবাজারে পুনরায় যাত্রা শুরু করল নিরিবিলি শাহিন রেস্তোরাঁ বিজয় দিবসে কক্সবাজারে হিউম্যান এইড ইন্টারন্যাশনালের শ্রদ্ধাঞ্জলি লালমনিরহাটে কুচকাওয়াজ, খেলাধুলা ও সংবর্ধনায় রেলওয়ের বর্ণিল বিজয় উৎসব লালমনিরহাটে বিএনপির বিশাল বিজয় র‍্যালিতে নেতাকর্মীর ঢল, তারেক রহমানকে বরণের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান চরভদ্রাসনে যথাযোগ্য মর্যাদা ও নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে মহান বিজয় দিবস পালিত। চরভদ্রাসনে মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচি ঢিলেঢালাভাবে পালনের অভিযোগ ফরিদপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস-২০২৫ পালিত। শ্রীপুরে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মিনু মৃধা গ্রেফতার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রীতি ফুটবল ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত সিদ্ধিরগঞ্জে ঋণের চাপে এক নারীর আত্মহত্যা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস-২০২৫ উদযাপন আড়াইহাজারে মস্তকবিহীন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির লাশ উদ্ধার রামগঞ্জে ৩দিনব্যাপী বিজয় মেলা ২০২৫ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন পাইকগাছায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস-২০২৫ উদযাপন মধুপুরে নানা আয়োজনে উপজেলা প্রশাসনের মহান বিজয় দিবস উদযাপন রামুতে পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশনের ঋণ বিতরণ রূপগঞ্জে মহান বিজয় দিবস উদযাপন  রূপগঞ্জে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের থানা কমিটির পুনর্গঠন সভাপতি মাওলানা ইউসুফ ফরীদী, সম্পাদক মাওলানা হাসান মহসিন যথাযথ মর্যাদায় শার্শার বাগআঁচড়ায় মহান বিজয় দিবস পালিত রূপগঞ্জে মহান বিজয় দিবসে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা ও পুরষ্কার বিতরণ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন গণতন্ত্রের শক্ত ভিত্তি তৈরি করবে- উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ১৬ ডিসেম্বর—গৌরব, ত্যাগ ও স্বাধীনতার চূড়ান্ত অর্জনের দিন। কালিয়াকৈর মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

পরিবিহন সেক্টরে জাতীয় সমন্বিত বহুমাধ্যম ভিত্তিক মহাপিরিকল্পনা প্রনয়ণ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 08:13:20 pm, Sunday, 14 December 2025
  • 11 বার পড়া হয়েছে

নাদিম সরকার,

বাংলাদেশের জাতীয় সমন্বিত বহুমুখী পরিবহন মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নের চলমান উদ্যোগের অংশ হিসেবে ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে ঢাকায় একটি অংশীজন সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারের উদ্দেশ্য ছিল দেশের পরিবহন ব্যবস্থার সমন্বিত ও টেকসই উন্নয়নকে আরও শক্তিশালী করা।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক সড়ক ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত এ সেমিনারের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় উপদেষ্টা, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় উপদেষ্টা, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় জনাব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ও মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. শেখ মইনউদ্দিন।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, আমরা রাজনৈতিক বা বাণিজ্যিক স্বার্থে সড়ককে গুরুত্ব দিতে গিয়ে সস্তা রেল ও নদী পথকে উপেক্ষা করেছি। আমাদের রেল ও নদী পথকে ঢেলে সাজাতে হবে। মালামাল পরিবহনে সড়ক পথের বিকল্প হিসেবে রেল ও নদী পথের অধিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরন করতে হবে।

সেমিনারে উপস্থিত বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিগণ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজ, নগর পরিকল্পনাবিদ এই বিকল্প মাল্টি মোডাল যোগাযোগ ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করেন ও বিভিন্ন সুপারিশ প্রদান করেন। এ বিষয়ে পরবর্তীতে স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে পৃথক সেমিনার আয়োজন করা হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সড়ক উপদেষ্টা বলেন, পরিবহন সেক্টরে উন্বয়ন কার্যক্রমে সমন্বয়ের অভাবে অন্যান্য খাত (যেমন কৃষি, পরিবেশ) ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ক্ষতি এড়াতে সমন্বিত যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থার প্রতি সরকার গুরুত্বারোপ করছে। এর অন্যতম উদ্দেশ্য ন্যাচারাল হাইওয়ে বাধাগ্রস্থ না করা, এক ধরনের যোগাযোগ মাধ্যমের উপর নির্ভরতা কামানো, যথাযথ তথ্য উপাত্তনির্ভর পরিবহন নেটওয়ার্ক স্থাপন করা।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হক। সেমিনারে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সরকারি সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী, বন্দর ও টার্মিনাল কর্তৃপক্ষ, বেসরকারি খাত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, নাগরিক সমাজ সংগঠন এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারের জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
সেমিনারে প্রদত্ত উপস্থাপনায় মাস্টার প্ল্যানের বেসলাইন অ্যাসেসমেন্ট স্টাডি এবং কৌশলগত রোডম্যাপের ওপর আলোকপাত করা হয়। এতে পরিবহন খাতের প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরা হয়—যেমন সড়কের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা, যানজট, নিরাপত্তা সমস্যা, উচ্চ লজিস্টিক খরচ এবং রেলপথ ও অভ্যন্তরীণ নৌপথের অপর্যাপ্ত ব্যবহার। প্রস্তাবিত কাঠামোতে বহুমুখী সমন্বয়, হাব-অ্যান্ড-স্পোক সংযোগ, বন্দর ও অর্থনৈতিক অঞ্চলের লিংকেজ, নগর পরিবহন সমন্বয় এবং পর্যায়ক্রমে এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয় জোরদার করা, করিডর অগ্রাধিকার নির্ধারণ, লাস্ট-মাইল সংযোগ, পরিবেশগত স্থায়িত্ব, নিরাপত্তা উন্নয়ন এবং দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, বর্তমানে প্রায় ৮৮ শতাংশ ট্রাফিক বহনকারী সড়কের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে রেল ও নৌপথকে শক্তিশালী করা হবে, ৪২টি প্রাকৃতিক মাল্টি-মোডাল হাবকে কাজে লাগানো হবে এবং স্থলবন্দরগুলোকে বড় ধরনের নতুন বিনিয়োগ ছাড়াই মাল্টি-মোডাল হাবের সুবিধায় উন্নীত করা হবে। এছাড়া নতুন সড়ক সম্প্রসারণ সীমিত করা, বিদ্যমান মহাসড়কগুলোকে মানসম্মত করা ও এর সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি মালামাল ও যাত্রী পরিবহনকে আরও টেকসই মাধ্যমে স্থানান্তর করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ, লজিস্টিকস, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা, নিয়ন্ত্রক কাঠামো এবং সংস্থাগুলোর মধ্যে দক্ষ ডেটা শেয়ারিং—এসব কিছুই দীর্ঘমেয়াদে খরচ কমাতে ও সমন্বয় বজায় রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।
অংশীজন আলোচনা সভাটি মাস্টার প্ল্যানের যৌথ পরিকল্পনা ও সম্মিলিত মালিকানার প্রতি স্টেকহোল্ডারদের অভিন্ন প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করেছে। অগ্রগতির অংশ হিসেবে সিদ্ধান্ত হয় যে, সেমিনারের মতামত ও সুপারিশসমূহ বেসলাইন অ্যাসেসমেন্ট ও কৌশলগত রোডম্যাপের পরিমার্জনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, যা একটি পূর্ণাঙ্গ, সমন্বিত ও বাস্তবায়নযোগ্য জাতীয় সমন্বিত বহুমুখী পরিবহন মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নের পথ প্রশস্ত করবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

নোয়াখালীতে বিস্ফোরক মামলায় আ.লীগ সভাপতি গ্রেপ্তার

পরিবিহন সেক্টরে জাতীয় সমন্বিত বহুমাধ্যম ভিত্তিক মহাপিরিকল্পনা প্রনয়ণ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় : 08:13:20 pm, Sunday, 14 December 2025

নাদিম সরকার,

বাংলাদেশের জাতীয় সমন্বিত বহুমুখী পরিবহন মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নের চলমান উদ্যোগের অংশ হিসেবে ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে ঢাকায় একটি অংশীজন সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারের উদ্দেশ্য ছিল দেশের পরিবহন ব্যবস্থার সমন্বিত ও টেকসই উন্নয়নকে আরও শক্তিশালী করা।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক সড়ক ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত এ সেমিনারের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় উপদেষ্টা, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় উপদেষ্টা, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় জনাব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ও মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. শেখ মইনউদ্দিন।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, আমরা রাজনৈতিক বা বাণিজ্যিক স্বার্থে সড়ককে গুরুত্ব দিতে গিয়ে সস্তা রেল ও নদী পথকে উপেক্ষা করেছি। আমাদের রেল ও নদী পথকে ঢেলে সাজাতে হবে। মালামাল পরিবহনে সড়ক পথের বিকল্প হিসেবে রেল ও নদী পথের অধিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরন করতে হবে।

সেমিনারে উপস্থিত বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিগণ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজ, নগর পরিকল্পনাবিদ এই বিকল্প মাল্টি মোডাল যোগাযোগ ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করেন ও বিভিন্ন সুপারিশ প্রদান করেন। এ বিষয়ে পরবর্তীতে স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে পৃথক সেমিনার আয়োজন করা হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সড়ক উপদেষ্টা বলেন, পরিবহন সেক্টরে উন্বয়ন কার্যক্রমে সমন্বয়ের অভাবে অন্যান্য খাত (যেমন কৃষি, পরিবেশ) ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ক্ষতি এড়াতে সমন্বিত যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থার প্রতি সরকার গুরুত্বারোপ করছে। এর অন্যতম উদ্দেশ্য ন্যাচারাল হাইওয়ে বাধাগ্রস্থ না করা, এক ধরনের যোগাযোগ মাধ্যমের উপর নির্ভরতা কামানো, যথাযথ তথ্য উপাত্তনির্ভর পরিবহন নেটওয়ার্ক স্থাপন করা।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হক। সেমিনারে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সরকারি সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী, বন্দর ও টার্মিনাল কর্তৃপক্ষ, বেসরকারি খাত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, নাগরিক সমাজ সংগঠন এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারের জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
সেমিনারে প্রদত্ত উপস্থাপনায় মাস্টার প্ল্যানের বেসলাইন অ্যাসেসমেন্ট স্টাডি এবং কৌশলগত রোডম্যাপের ওপর আলোকপাত করা হয়। এতে পরিবহন খাতের প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরা হয়—যেমন সড়কের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা, যানজট, নিরাপত্তা সমস্যা, উচ্চ লজিস্টিক খরচ এবং রেলপথ ও অভ্যন্তরীণ নৌপথের অপর্যাপ্ত ব্যবহার। প্রস্তাবিত কাঠামোতে বহুমুখী সমন্বয়, হাব-অ্যান্ড-স্পোক সংযোগ, বন্দর ও অর্থনৈতিক অঞ্চলের লিংকেজ, নগর পরিবহন সমন্বয় এবং পর্যায়ক্রমে এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয় জোরদার করা, করিডর অগ্রাধিকার নির্ধারণ, লাস্ট-মাইল সংযোগ, পরিবেশগত স্থায়িত্ব, নিরাপত্তা উন্নয়ন এবং দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, বর্তমানে প্রায় ৮৮ শতাংশ ট্রাফিক বহনকারী সড়কের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে রেল ও নৌপথকে শক্তিশালী করা হবে, ৪২টি প্রাকৃতিক মাল্টি-মোডাল হাবকে কাজে লাগানো হবে এবং স্থলবন্দরগুলোকে বড় ধরনের নতুন বিনিয়োগ ছাড়াই মাল্টি-মোডাল হাবের সুবিধায় উন্নীত করা হবে। এছাড়া নতুন সড়ক সম্প্রসারণ সীমিত করা, বিদ্যমান মহাসড়কগুলোকে মানসম্মত করা ও এর সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি মালামাল ও যাত্রী পরিবহনকে আরও টেকসই মাধ্যমে স্থানান্তর করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ, লজিস্টিকস, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা, নিয়ন্ত্রক কাঠামো এবং সংস্থাগুলোর মধ্যে দক্ষ ডেটা শেয়ারিং—এসব কিছুই দীর্ঘমেয়াদে খরচ কমাতে ও সমন্বয় বজায় রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।
অংশীজন আলোচনা সভাটি মাস্টার প্ল্যানের যৌথ পরিকল্পনা ও সম্মিলিত মালিকানার প্রতি স্টেকহোল্ডারদের অভিন্ন প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করেছে। অগ্রগতির অংশ হিসেবে সিদ্ধান্ত হয় যে, সেমিনারের মতামত ও সুপারিশসমূহ বেসলাইন অ্যাসেসমেন্ট ও কৌশলগত রোডম্যাপের পরিমার্জনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, যা একটি পূর্ণাঙ্গ, সমন্বিত ও বাস্তবায়নযোগ্য জাতীয় সমন্বিত বহুমুখী পরিবহন মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নের পথ প্রশস্ত করবে।