Dhaka , Sunday, 29 June 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
গ্লোবাল টেলিভিশনের সাংবাদিক মনিরুল আলম কে হ’ত্যার হু’মকি রূপগঞ্জে ৫ শতাধিক অ’বৈধ গ্যা’স সং’যো’গ বি’চ্ছি’ন্ন সরাইলে দা’ঙ্গা – হা’ঙ্গামা প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক সভা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত রাজশাহীতে পরিবেশ দিবস পালিত মু’নাফা’র জন্য নয়, মানুষের জন্য জ’লবা’য়ু অ’র্থায়’ন করো নোয়াখালীতে মাদরাসা ছাত্র হ’ত্যার বি’চার দা’বীতে বি’ক্ষো’ভ পাবনা-ঢাকা রুটে বাস চলাচল শুরু,ধ’র্মঘ’ট প্র’ত্যাহা’র রূপগঞ্জে ৭০ লাখ টা’কা মু’ক্তিপ’ণ দা’বি’তে ব্যবসায়ী অ’পহর’ণ, কয়েক ঘণ্টা পর উ’দ্ধা’র বাবুই পাখির কা’ন্না কেউ শু’নল না—তালগাছ কে’টে মু’ছে দেওয়া হলো শত ছানার জী’বন র‍্যাবের অ’ভিযা’নে লালমনিরহাটে বি’পুল পরি’মাণ গাঁ’জা’সহ এক মা’দক কা’রবা’রি গ্রে’প্তার ক’রোনা-ডে’ঙ্গু-চি’কুনগু’নিয়া মো’কাবেলা’য় তিন মাসের বিশেষ অ’ভিযা’ন চালাবে চসিক:- মেয়র ডা. শাহাদাত রূপগঞ্জের অ’বৈ’ধ অ’স্ত্র উ’দ্ধার ও স’ন্ত্রাসী’দের গ্রে’ফতা’রের দাবি  নেত্রকোণার দুর্গাপুরে দী’র্ঘ ষোল বছর পর বিএনপি’র সম্মেলন অনুষ্ঠিত নীলফামারী-১ আসনের সাবেক এমপি তুহিনকে গ’ণ সং’বর্ধ’না ও বি’নামূ’ল্যে চ’ক্ষু চি’কিৎসা ক্যাম্প সাভারের আশুলিয়ায় এক ইতালি প্রবা’সীকে পি’টিয়ে গুরুতর আ’হত করে সাত হাজার ইউরো ছি’নিয়ে নেওয়ার অ’ভিযো’গে না’রীস’হ পাঁচজনের বি’রুদ্ধে মা’মলা দায়ের করা হয়েছে। কিশোরীকে ৫ মাস আ’টকে রেখে ধ’র্ষণ,গ্রে’প্তার-১ দুর্গাপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির কাউন্সিলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হলেন যারা পাঁচ আগস্টের আগে বিএনপি এবং পরে ছাত্র-জনতার উপর হা’মলা’র ঘট’নায় যেসব আওয়ামী লী’গ নে’তাকর্মী’র বি’রুদ্ধে এখনো মা’মলা হয়নি নোয়াখালীতে আ.লীগ নেতা পা’ইপ’গান’সহ গ্রে’প্তার পাবনা মানসিক হাসপাতালে রো’গীদে’র হ’য়রা’নি ও অ’র্থ আদা’য়ের অ’ভিযো’গে ৯ জন দা’লা’লকে আ’টক, ১ মাসের  কা’রাদ’ণ্ড বলিউডের ‘কাঁ’টা লাগা’ গার্ল শেফালী জারিওয়ালা আর নেই মোটরসাইকেল ও ট্রাকের সংঘ’র্ষে লালমনিরহাটে যু’বক নি’হত, আ’হত ১ রামগঞ্জে বিএনপি’র ওয়ার্ড কাউন্সিল অনুষ্ঠিত উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপুরে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা পালিত বাধ্যতামূলকভাবে সিএসআর ফা’ন্ডের একটি নির্দিষ্ট অংশ স্পোর্টসের পৃষ্ঠপোষকতায় ব্য’য় করার প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছে সরকার – – উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ রথযাত্রায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অং’শগ্র’হণ অসা’ম্প্রদা’য়িক ঐ’তিহ্যে’র প্রতিফলন- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হাতীবান্ধায় জমির আইল ভে’ঙে যাওয়ার ঘ’টনা’য় বৃ’দ্ধ নি’হত দেশে কাগজের চাহিদা পূরণ করতে কর্ণফুলীসহ পেপার মিলের উন্নয়ন করা হবে – শিল্প উপদেষ্টা ইত্তেহাদুল কুররা’র কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠান

হরিপুর রাজবাড়ি ঐতিহাসিক স্থাপত্যশৈলী ও সংস্কৃতির কাজ চলমান

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 01:54:52 pm, Sunday, 15 June 2025
  • 17 বার পড়া হয়েছে
নয়ন হোসেন,
ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলা, যা  হরিপুর থানা হিসেবেও পরিচিত। বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের একটি ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ অঞ্চল। এটি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং ঠাকুরগাঁও জেলার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। যা হরিপুর রাজবাড়ী নামে পরিচিত।
হরিপুর রাজবাড়ি ছিল একটি প্রাসাদোপম অট্টালিকা, যা ১৮৯৩ সালে নির্মিত হয়। দ্বিতল ভবনের লতাপাতার নকশা ও পূর্ব দেয়ালের শীর্ষে রাজর্ষি জগেন্দ্র নারায়ণ রায়ের চৌদ্দটি আবক্ষ মূর্তি ছিল। রাজবাড়িতে একটি বড় পাঠাগার, শিব মন্দির ও নাট মন্দির ছিল। বর্তমানে রাজবাড়িটির অধিকাংশ অংশ অযত্ন ও অবহেলায় ধ্বংস হয়ে গেছে। স্থানীয়রা রাজবাড়ির সংরক্ষণে উদ্যোগী হলেও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সহায়তা প্রয়োজন।
হরিপুর উপজেলা প্রশাসনিকভাবে ঠাকুরগাঁও জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখানে হরিপুর উপজেলা পরিষদ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র অবস্থিত। স্থানীয়রা শিক্ষা ও সংস্কৃতি চর্চায় আগ্রহী, যা রাজবাড়ির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
শিব মন্দির ও নাট মন্দির: ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বসম্পন্ন স্থান। স্থানীয় গ্রাম ও বাজার: গ্রামীণ জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতির পরিচায়ক।
প্রাচীন ইতিহাস।
হরিপুরের ইতিহাস প্রাচীন ও সমৃদ্ধ। ১৪০০ খ্রিস্টাব্দে ঘনশ্যাম কুণ্ডু নামে এক ব্যবসায়ী হরিপুরে এণ্ডি কাপড়ের ব্যবসা করতে আসেন। তখন মেহেরুন্নেসা নামে এক বিধবা মুসলিম নারী এ অঞ্চলের জমিদার ছিলেন। তার জমিদারির কিছু অংশ খাজনা অনাদায়ে নিলাম হয়ে গেলে ঘনশ্যাম কুণ্ডু তা কিনে নেন।
ঘনশ্যামের বংশধর রাঘবেন্দ্র রায় ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে হরিপুর রাজবাড়ির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। তার পুত্র জগেন্দ্র নারায়ণ রায় ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষদিকে রাজবাড়ির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করেন। এসময় তিনি ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক ‘রাজর্ষি’ উপাধিতে ভূষিত হন। রাজবাড়ির দ্বিতল ভবনে লতাপাতার নকশা এবং পূর্ব দেয়ালের শীর্ষে রাজর্ষি জগেন্দ্র নারায়ণের চৌদ্দটি আবক্ষ মূর্তি ছিল।
রাজর্ষি জগেন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরী গড়ে তুলেছিলেন একটি সমৃদ্ধ পাঠাগার, যা শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে তার অনুরাগের পরিচায়ক। ভবনটির পূর্বপাশে একটি শিব মন্দির এবং মন্দিরের সামনে নাট মন্দির ছিল। রাজবাড়িতে ছিল একটি বড় পাঠাগার, যার অস্তিত্ব এখন নেই। রাজবাড়িটির যে সিংহদরজা ছিল তাও নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
হরিপুর থানা বা উপজেলা ঠাকুরগাঁও জেলার একটি ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ অঞ্চল। হরিপুর রাজবাড়ি, শিব মন্দির, নাট মন্দির ও অন্যান্য ঐতিহাসিক নিদর্শন এই অঞ্চলের গৌরবময় অতীতের সাক্ষী। যদি এই ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা যায়, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এটি একটি অমূল্য সম্পদ হয়ে থাকবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

গ্লোবাল টেলিভিশনের সাংবাদিক মনিরুল আলম কে হ’ত্যার হু’মকি

হরিপুর রাজবাড়ি ঐতিহাসিক স্থাপত্যশৈলী ও সংস্কৃতির কাজ চলমান

আপডেট সময় : 01:54:52 pm, Sunday, 15 June 2025
নয়ন হোসেন,
ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলা, যা  হরিপুর থানা হিসেবেও পরিচিত। বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের একটি ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ অঞ্চল। এটি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং ঠাকুরগাঁও জেলার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। যা হরিপুর রাজবাড়ী নামে পরিচিত।
হরিপুর রাজবাড়ি ছিল একটি প্রাসাদোপম অট্টালিকা, যা ১৮৯৩ সালে নির্মিত হয়। দ্বিতল ভবনের লতাপাতার নকশা ও পূর্ব দেয়ালের শীর্ষে রাজর্ষি জগেন্দ্র নারায়ণ রায়ের চৌদ্দটি আবক্ষ মূর্তি ছিল। রাজবাড়িতে একটি বড় পাঠাগার, শিব মন্দির ও নাট মন্দির ছিল। বর্তমানে রাজবাড়িটির অধিকাংশ অংশ অযত্ন ও অবহেলায় ধ্বংস হয়ে গেছে। স্থানীয়রা রাজবাড়ির সংরক্ষণে উদ্যোগী হলেও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সহায়তা প্রয়োজন।
হরিপুর উপজেলা প্রশাসনিকভাবে ঠাকুরগাঁও জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখানে হরিপুর উপজেলা পরিষদ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র অবস্থিত। স্থানীয়রা শিক্ষা ও সংস্কৃতি চর্চায় আগ্রহী, যা রাজবাড়ির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
শিব মন্দির ও নাট মন্দির: ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বসম্পন্ন স্থান। স্থানীয় গ্রাম ও বাজার: গ্রামীণ জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতির পরিচায়ক।
প্রাচীন ইতিহাস।
হরিপুরের ইতিহাস প্রাচীন ও সমৃদ্ধ। ১৪০০ খ্রিস্টাব্দে ঘনশ্যাম কুণ্ডু নামে এক ব্যবসায়ী হরিপুরে এণ্ডি কাপড়ের ব্যবসা করতে আসেন। তখন মেহেরুন্নেসা নামে এক বিধবা মুসলিম নারী এ অঞ্চলের জমিদার ছিলেন। তার জমিদারির কিছু অংশ খাজনা অনাদায়ে নিলাম হয়ে গেলে ঘনশ্যাম কুণ্ডু তা কিনে নেন।
ঘনশ্যামের বংশধর রাঘবেন্দ্র রায় ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে হরিপুর রাজবাড়ির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। তার পুত্র জগেন্দ্র নারায়ণ রায় ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষদিকে রাজবাড়ির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করেন। এসময় তিনি ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক ‘রাজর্ষি’ উপাধিতে ভূষিত হন। রাজবাড়ির দ্বিতল ভবনে লতাপাতার নকশা এবং পূর্ব দেয়ালের শীর্ষে রাজর্ষি জগেন্দ্র নারায়ণের চৌদ্দটি আবক্ষ মূর্তি ছিল।
রাজর্ষি জগেন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরী গড়ে তুলেছিলেন একটি সমৃদ্ধ পাঠাগার, যা শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে তার অনুরাগের পরিচায়ক। ভবনটির পূর্বপাশে একটি শিব মন্দির এবং মন্দিরের সামনে নাট মন্দির ছিল। রাজবাড়িতে ছিল একটি বড় পাঠাগার, যার অস্তিত্ব এখন নেই। রাজবাড়িটির যে সিংহদরজা ছিল তাও নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
হরিপুর থানা বা উপজেলা ঠাকুরগাঁও জেলার একটি ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ অঞ্চল। হরিপুর রাজবাড়ি, শিব মন্দির, নাট মন্দির ও অন্যান্য ঐতিহাসিক নিদর্শন এই অঞ্চলের গৌরবময় অতীতের সাক্ষী। যদি এই ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা যায়, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এটি একটি অমূল্য সম্পদ হয়ে থাকবে।