হোসাইন রুবেল ভোলা।।
৮০ বছরেও বিধবা ভাতা পাননি ভোলার তজুমদ্দিনের এক বৃদ্ধা, থাকেন ঝুপড়ি জরাজীর্ণ ঘরে। অসহায় মানুষের জীবনের গল্প গুলো পৃথিবীর সব মানুষের থেকে কষ্ট দায়ক হয়ে থাকে! যাদের আহামোরি কেউ থাকে না। তারা সব জাগায় অসহায়, তাদের প্রায় দিনগুলোই যায় অধার্মহারে অনাহারে দুংখে কষ্ট। তাদেরকে কেউ ভালোবাসার থাকে না। অসহায় মানুষ সমাজের কাছে, পরিবারের কাছে, রাষ্টের কাছে বোঝা এবং মুল্যহীন। অসহায় মানুষ দু মুঠো ভাতের জন্য মানুষের কাছে হাত পাতে একটু বেচে থাকার জন্য কতো যে কষ্ট করে শুধু তারা জানে।
এসব নিপিড়ীত অসহায় মানুষ বিভিন্ন ভাবে অনুভব করে যে তারা অসহায় কিন্তুু সেটা সে কাউকে বলতে পারে না হয় তো মনের সাথে একা একা যুদ্ধ করে একাই শেষ হয়! আরার কেউ পুরো পৃথিবীর কাছে অসহায় তার আগে পিছনে কেউ নাই একটু সুখে রাখবে তাকে, একটু ভালো রাখার কেউ থাকে না। অসহায় মানুষকে এমন ভাবে দুর্বল
করে যা তাদেরকে মানসিক ও শারিরীক ভাবে ভেঙ্গে দেয়। অসহায়ত্ব মানুষকে এক মানসিক ব্যাধিতে পরিনিত করে দেয়, একটা সময় হয় আসে পাগলাগারদে স্থান হয় কারো , আবার কারো স্থান হয় রাস্তায় মায়লার পাশে ফুটপাতের রাস্তায় আবার কারো স
স্থান ন হয় কবরে ! এমন একটা পরিনিতি ভোগ করতে হয় অসহায়দের !
অসহায় মানুষদের নিয়ে ভাবার কেউ নেই এই সমাজে সবাই নিজেদের নিয়ে ব্যাস্ত। তাদের অসহায় টা তাদের জীবনে সব ভালো থাকা টা নষ্ট করে দেয়। সবার কাছে তারা ছোট হয়ে জীবন যাপন করে। তাদের মৌলিক অধিকার বলতে কিছু থাকে না, তাদের সাহায্য করতে কেন জানি এই সমাজের কেউ এগিয়ে আসে না! সুখের ভাগ নেওয়ার অনেকে থাকে , কিন্ত দুংখ কষ্টরে ভাগ নেওয়ার কেউ থাকে না। অসহায় মানুষকে একটু সাহায্য করলে তাদের জীবনটা হয় একটা হতাশা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে । আপনার আমার একটু সহানুভূতিতে এরা ফিরে পেতে পারে একটি সুন্দর জীবন , কারণ মানুষ তো মানুষের জন্য । এমনই এক অসহায় মহিলার জীবন কাহিনি তুলে ধরলাম ।
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার ৩ নং চাঁদপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের গুরিন্দা বাজারের দক্ষিণ পাশে বেড়িবাঁধের বাসিন্দা। নাম – মোসাঃ নূরজাহান বেগম (৮০) এই বৃদ্ধা নারী, প্রায় ৪০ বছর ধরে সঙ্গীহীন? আপন’জন বলতে ১ ছেলে ও ৩ মেয়ে আছে, একটিমাত্র ছেলে বিয়ে করে স্ত্রী নিয়ে ঢাকা শহরে থাকে এবং ৩ মেয়ের বিয়েশাদী হয়ে গেছে , ছেলেটি মায়ের খোঁজ খবর রাখেনা আর ৩ মেয়ের মধ্যে ২ মেয়ে নিজেদের মতো সংসারী স্বামীর সংসারে রাখেনা মায়ের খোঁজ। এবং ছোট মেয়েটাকে স্বামী এই বৃদ্ধার কাছে রেখে চলে যায় সেই স্বামীর কোন খোঁজে নেই । ছোট মেয়েটি মানুষের বাসা বাড়িতে কাজ করে কোন রকম পেটে ভাতে দিন কাটায় । বেঁচে থাকার জন্য মানুষের মৌলিক চাহিদা আছে। তার মধ্যে দুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য এবং বাসস্থান। বর্তমানে এই বৃদ্ধার দুইটার কোনটাই নেই। তার বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য এবং বাসস্থান খুবই প্রয়োজন। এই বৃদ্ধা ও তার মেয়ে মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ঝি এর কাজ মানুষের দ্বারে হাত পেতে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। দিনশেষে মাথা খোঁজার ঠাই ঝুপড়ি জরাজীর্ণ ঘরে । ৮০ বছরের এই বৃদ্ধা নুরজাহান পাননি বিধবা ভাতা। মহিলার বাস্তব জীবনের চিত্র স্থানীয় গণমাধ্যমে কর্মীদের নজরে আসলে ৮০ বছরের বৃদ্ধা নুরজাহান আক্ষেপ ও বাকরূদ্ধ কণ্ঠে বলেন আমার শেষ জীবনের দায়িত্ব ও আমাকে কেউ যদি একটা ঘর নির্মাণ করে দেয় তাহলে শেষ বয়সে কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়ে মৃত্যু বরণ করতে পারবে ।