Dhaka , Thursday, 24 April 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
নোয়াখালীতে স্বামী-স্ত্রীর একসঙ্গে বিষপান- স্ত্রীর মৃত্যু স্বামী হাসপাতালে সীমানা নির্ধারণ করে বন রক্ষা, বালু-দখলদারদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স- চুনতিতে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান অবৈধ অভিবাসন রোধ ও পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মুক্ত সাংবাদিকতার এই সময়ে সাংবাদিকদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে- মুহাম্মদ আবদুল্লাহ রূপগঞ্জে ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী রিফাত ও গৃহবধূ লামিয়া’র হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন কক্সবাজারে বাঁকখালী নদী পরিদর্শন করলেন দুই উপদেষ্টা রামুর খুনিয়াপালংয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে একজন আটক ঈদগাঁও’র ইসলামপুরে সাংবাদিকতে প্রা ণ না শে র হুমকি- থানায় জিডি আমার দেশ সম্পাদকসহ পত্রিকার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করার প্রতিবাদে মানববন্ধন বরগুনায় চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন দ্বিতীয়বারের মতো ঢাকা জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হলেন মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা সীতাকুণ্ডে ঘুর্ণিঝড় ও বন্যা আসার আগেই জেলে ও কৃষকের মুখে কষ্টের ছায়া বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রামস্থ সকল ইউনিটের অফিসার ও ফোর্সের সাথে বিশেষ কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত দুই সন্তানের জনক মাহফুজ বাঁচতে চায়  নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে কোষ্টগার্ড  রংপুর থেকে লালমনিরহাটের দুই মাদক কারবারি ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার কক্সবাজারের চকরিয়ায় জাল নোটের কারখানার সন্ধান, আটক -২ বেগমগঞ্জে অফিস ঢুকে প্রধান শিক্ষককে মারধর শিক্ষা স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থান নিয়ে কাজ করতে চায় নোয়াখালী-২ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আব্দুল মান্নান সুন্দরবন সুরক্ষায় প্লাস্টিক ও পলিথিন দূষণ প্রতিরোধে গণশুনানি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে এ্যসিল্যান্ড না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন ভূমি সেবাগ্রহীতা সাধারণ মানুষ সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ষড়যন্ত্র প্রতিহতের আহ্বান জানিয়েছেন উপাচার্য ইসমাইল পাটওয়ারী রূপগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভা অনুষ্ঠিত নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মাদ্রাসার জায়গায় বাউন্ডারি নির্মাণে বাধা দেয়াতে পুলিশের সামনে বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাট পাইকগাছায় স্কুল শিক্ষককে জোর পূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর ও লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন প্লাস্টিকের স্রোতে ভাসছে উপকূল- সংকট মোকাবেলায় এগিয়ে আসছে মানুষ কক্সবাজারে চোরাচালান বন্ধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে- মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন টেকনাফ থেকে জীবিত উদ্ধার সিলেটের অপহৃত ৫ তরুণ সহ মোট ৬ জন যুবক জলাবদ্ধতা নিরসনে সব সেবা সংস্থাকে একসাথে কাজ করতে হবে : মেয়র ডা. শাহাদাত। প্রশাসনের নাকের ডগায় আ.লীগ নেতার দৌরাত্ম্য, প্রশাসন নীরব

কক্সবাজারে বাঁকখালী নদী পরিদর্শন করলেন দুই উপদেষ্টা

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 05:43:45 pm, Thursday, 24 April 2025
  • 7 বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজারে বাঁকখালী নদী পরিদর্শন করলেন দুই উপদেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার

দখল দূষণে মৃত প্রায় কক্সবাজারের বাঁকখালী নদী পরিদর্শনে গিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং নৌপরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে বাঁকখালী নদীর কস্তুরাঘাটসহ বিভিন্ন অংশ সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং নৌপরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক সালাউদ্দিন, সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকতা নিলুফা ইয়াসমিন।

এসময় নৌপরিবহন উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ভালো হবে যারা দখল করেছেন তারা যদি নিজেরা সরে যান। তাহলে ক্ষতি হবেনা। যেখানে যেখানে আদালতের স্টে অর্ডার আছে সেগুলো ছাড়া বাকিগুলো দখল মুক্ত করবো। এখানে আর কোনো প্রশ্ন নাই। কক্সবাজার শহরের প্রধান নদী বাঁকখালীর জায়গা দখল ও প্যারাবন ধ্বংস করে গড়ে তোলা হয়েছে ১ হাজারের বেশি অবৈধ স্থাপনা। বেশ কয়েকবার জেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে কিছু স্থাপনা উচ্ছেদ করলেও ৫ আগস্টের পর তা আরো বাড়তে থাকে।

একসময় কক্সবাজারের প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত কস্তুরাঘাট এখন আবাসিক এলাকায় পরিণত হয়েছে। কক্সবাজারে নদী বন্দর করা যাচ্ছেনা দখলের কারণ উল্লেখ করে আরো বলেন, “স্থানীয় প্রশাসনকে বলা হয়েছে নদীর সীমানা নির্ধারণ করার পর উচ্ছেদ শুর হবে। নদী বন্দর যে করবো তার জন্য নদী লাগবে।

বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, উপদেষ্টা হওয়ার আগে বাঁকখালী নদীর জন্য পরিবেশকর্মী হিসেবে আসা হতো তখন থেকে এ নদীকে দখল মুক্ত করা কক্সবাজারবাসীর অনেক দিনের দাবী।

তিনি আরো বলেন, যেসব জায়গায় আদালতের স্থিতাবস্থা আছে সেগুলো আইনী ভাবে মোকাবেলা করা হবে। আশাকরি দ্রুতই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করবে প্রশাসন। তবে কবে থেকে তা বলবোনা না, এতে করে দখলদাররা বার্তা পেয়ে যাবে।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের অবস্থা দেখতে গিয়েছেন উল্লেখ করে রেজওয়ানা হাসান জানান, ওখানে যেভাবে করে নির্মাণ কাজ চলছে, এটা যদি লাগাম টেনে না ধরা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের সিবীচ কিন্তু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সিবীচ হয়ে যাবে। এটা হতে দেয়া যাবেনা না।

সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান সোনাদিয়া দ্বীপ নিয়ে বলেন, এই দ্বীপ নিয়ে আগে কথা বলেছি এখন কাজ করছি। বিগত সরকার সোনাদিয়া দ্বীপকে পরিবেশ ও প্রতিবেশগত সংকটকে অস্বীকার করে বেজাকে দিয়ে দিয়েছিলো, এখন বেজা বলছে তাদের দরকার নাই। তাই ভূমি মন্ত্রণালয় আর দুই এক দিনের মধ্যে বনকে দিয়ে দেয়া হবে।
এই সরকারের সীমিত সময়ের মধ্যে কক্সবাজার নিয়ে এসমস্ত কাজ গুলোকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে বলেও জানান।

কক্সবাজারের প্রধান নদী বাঁকখালী। বাঁকখালী নদীর দুই পাশের প্রায় ১৮ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শত শত স্থাপনা করেছে অবৈধ দখলদাররা। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় নদীর জমিতে নির্মাণ করেছে খুরুশকুল কস্তুরাঘাট ব্রীজ। নদীর পাড়ে গড়ে উঠেছে পেশকার পাড়া নামে বিশাল পাড়া।

নতুন করে নদী ভরাট করে তৈরি করা হচ্ছে কস্তুরাঘাট পয়েন্টে নতুন নতুন স্থাপনা। ৬ নম্বর ঘাট থেকে উত্তর নুনিয়াছড়া পর্যন্ত প্রায় ২৮টি অবৈধ জেটি রয়েছে বর্তমানে। সবকটিই অনুমোদনহীন। নদী থেকে বালু তুলে রাখার পাশাপাশি সিলেট থেকে পাথর ও বালু এনে বিক্রির জন্য মোট ৫টি সেল সেন্টার করা হয়েছে অবৈধভাবে। কয়েকটি তেলের বার্জও রয়েছে। এছাড়া রয়েছে বরফকল, কোল্ড স্টোরেজ, ফিশিং অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, ডকইয়ার্ড, মাছের আড়ত, শুঁটকির আড়তসহ শত শত বসতঘর।

২০২০ সালে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ) কর্তৃক প্রকাশিত তালিকায় নদী দখলদার হিসেবে জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, ব্যবসায়ী, ১৩১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করা হয়। প্রায় ৬৯ কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁকখালী নদীর একসময় প্রশস্ততা ছিল ৯৬ থেকে ১২০ মিটার পযন্ত। কিন্তু দখলের কারণে প্রশস্ততা কমে কক্সবাজার শহরের কোথাও ৫০ মিটার, কোথাও ৬০-৭০ মিটার হয়ে গেছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

নোয়াখালীতে স্বামী-স্ত্রীর একসঙ্গে বিষপান- স্ত্রীর মৃত্যু স্বামী হাসপাতালে

কক্সবাজারে বাঁকখালী নদী পরিদর্শন করলেন দুই উপদেষ্টা

আপডেট সময় : 05:43:45 pm, Thursday, 24 April 2025

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার

দখল দূষণে মৃত প্রায় কক্সবাজারের বাঁকখালী নদী পরিদর্শনে গিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং নৌপরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে বাঁকখালী নদীর কস্তুরাঘাটসহ বিভিন্ন অংশ সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং নৌপরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক সালাউদ্দিন, সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকতা নিলুফা ইয়াসমিন।

এসময় নৌপরিবহন উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ভালো হবে যারা দখল করেছেন তারা যদি নিজেরা সরে যান। তাহলে ক্ষতি হবেনা। যেখানে যেখানে আদালতের স্টে অর্ডার আছে সেগুলো ছাড়া বাকিগুলো দখল মুক্ত করবো। এখানে আর কোনো প্রশ্ন নাই। কক্সবাজার শহরের প্রধান নদী বাঁকখালীর জায়গা দখল ও প্যারাবন ধ্বংস করে গড়ে তোলা হয়েছে ১ হাজারের বেশি অবৈধ স্থাপনা। বেশ কয়েকবার জেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে কিছু স্থাপনা উচ্ছেদ করলেও ৫ আগস্টের পর তা আরো বাড়তে থাকে।

একসময় কক্সবাজারের প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত কস্তুরাঘাট এখন আবাসিক এলাকায় পরিণত হয়েছে। কক্সবাজারে নদী বন্দর করা যাচ্ছেনা দখলের কারণ উল্লেখ করে আরো বলেন, “স্থানীয় প্রশাসনকে বলা হয়েছে নদীর সীমানা নির্ধারণ করার পর উচ্ছেদ শুর হবে। নদী বন্দর যে করবো তার জন্য নদী লাগবে।

বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, উপদেষ্টা হওয়ার আগে বাঁকখালী নদীর জন্য পরিবেশকর্মী হিসেবে আসা হতো তখন থেকে এ নদীকে দখল মুক্ত করা কক্সবাজারবাসীর অনেক দিনের দাবী।

তিনি আরো বলেন, যেসব জায়গায় আদালতের স্থিতাবস্থা আছে সেগুলো আইনী ভাবে মোকাবেলা করা হবে। আশাকরি দ্রুতই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করবে প্রশাসন। তবে কবে থেকে তা বলবোনা না, এতে করে দখলদাররা বার্তা পেয়ে যাবে।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের অবস্থা দেখতে গিয়েছেন উল্লেখ করে রেজওয়ানা হাসান জানান, ওখানে যেভাবে করে নির্মাণ কাজ চলছে, এটা যদি লাগাম টেনে না ধরা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের সিবীচ কিন্তু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সিবীচ হয়ে যাবে। এটা হতে দেয়া যাবেনা না।

সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান সোনাদিয়া দ্বীপ নিয়ে বলেন, এই দ্বীপ নিয়ে আগে কথা বলেছি এখন কাজ করছি। বিগত সরকার সোনাদিয়া দ্বীপকে পরিবেশ ও প্রতিবেশগত সংকটকে অস্বীকার করে বেজাকে দিয়ে দিয়েছিলো, এখন বেজা বলছে তাদের দরকার নাই। তাই ভূমি মন্ত্রণালয় আর দুই এক দিনের মধ্যে বনকে দিয়ে দেয়া হবে।
এই সরকারের সীমিত সময়ের মধ্যে কক্সবাজার নিয়ে এসমস্ত কাজ গুলোকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে বলেও জানান।

কক্সবাজারের প্রধান নদী বাঁকখালী। বাঁকখালী নদীর দুই পাশের প্রায় ১৮ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শত শত স্থাপনা করেছে অবৈধ দখলদাররা। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় নদীর জমিতে নির্মাণ করেছে খুরুশকুল কস্তুরাঘাট ব্রীজ। নদীর পাড়ে গড়ে উঠেছে পেশকার পাড়া নামে বিশাল পাড়া।

নতুন করে নদী ভরাট করে তৈরি করা হচ্ছে কস্তুরাঘাট পয়েন্টে নতুন নতুন স্থাপনা। ৬ নম্বর ঘাট থেকে উত্তর নুনিয়াছড়া পর্যন্ত প্রায় ২৮টি অবৈধ জেটি রয়েছে বর্তমানে। সবকটিই অনুমোদনহীন। নদী থেকে বালু তুলে রাখার পাশাপাশি সিলেট থেকে পাথর ও বালু এনে বিক্রির জন্য মোট ৫টি সেল সেন্টার করা হয়েছে অবৈধভাবে। কয়েকটি তেলের বার্জও রয়েছে। এছাড়া রয়েছে বরফকল, কোল্ড স্টোরেজ, ফিশিং অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, ডকইয়ার্ড, মাছের আড়ত, শুঁটকির আড়তসহ শত শত বসতঘর।

২০২০ সালে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ) কর্তৃক প্রকাশিত তালিকায় নদী দখলদার হিসেবে জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, ব্যবসায়ী, ১৩১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করা হয়। প্রায় ৬৯ কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁকখালী নদীর একসময় প্রশস্ততা ছিল ৯৬ থেকে ১২০ মিটার পযন্ত। কিন্তু দখলের কারণে প্রশস্ততা কমে কক্সবাজার শহরের কোথাও ৫০ মিটার, কোথাও ৬০-৭০ মিটার হয়ে গেছে।