Dhaka , Saturday, 22 February 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
দুই ওসির পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, আসামি লাপাত্তা রূপগঞ্জে বিএনপির ৩১দফা বাস্তবায়নে সমাবেশ মানসিক প্রতিবন্ধী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক-ক্লাস না নিলেও উঠছে বেতন রূপগঞ্জে যুবদলের কার্যালয় উদ্বোধন   নির্বাচনে কালো টাকার প্রভাব রোধে প্রচারণা রমজানে এলেই নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি, আমরা উদ্বিগ্ন প্রেসক্লাব পাইকগাছার জরুরী সভা অনুষ্ঠিত  নীলফামারীতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত নরসিংদীতে ত্রিমুখী সংঘর্ষে আহত অর্ধ শতাধিক নোয়াখালীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সামাই তৈরী করায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ফরিদুলের ৬ মিথ্যা মামলা, পুলিশী ষড়যন্ত্র আটকে আছে পাসপোর্ট মোংলা বন্দরে আমদানিকরা সেই চিঁটাগুড় রেলযোগে বাঘাবাড়িতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বাউল দল নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার পক্ষ থেকে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তব অর্পণ সংস্কারের গল্প আমাদেরকে বলার দরকার নেই ভাষা শহীদদের স্মরণে ঈদগাহ প্রেসক্লাবের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন আজ ইসলামপুর ইউনিয়ন যুবদলের পক্ষ থেকে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত ২১ ফেব্রুয়ারী উপলক্ষে বর্নাঢ্য আয়োজন মীর নোয়াবুল হক মেমোরিয়াল হাই স্কুলের চরভদ্রাসনে ২১শে ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রহরে উপজেলা শহীদ মিনারে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদদের স্মরণে পুষ্পক অর্পণ একুশে পাঠচক্রের নিয়মিত আসর অনুষ্ঠিত  ফরিদপুরে পৃথক অভিযানে ১৫৩ বোতল ফেন্সিডিলসহ ০২  মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩  সাঙ্গু বিজ্রপাড়া কাটগড় এলাকায় মাদকসম্রাজ্ঞী ভূট্টোনি ইয়াবা ট্যাবলেট ও নগদ অর্থসহ গ্রেপ্তার নরসিংদীতে মহান শহিদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন গাজীপুরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন  নোয়াখালীতে বিএনপি নেতার নামে স্লোগান দিয়ে মোটরসাইকেল শোডাউন মণিরামপুরে যুবলীগের আহবায়কসহ দুই কাউন্সিলর কারাগারে একুশে ফেব্রুয়ারিতে মীর নোয়াবুল হক মেমোরিয়াল হাইস্কুলের পুষ্পমাল্য  অর্পন মোংলায় ১৭ বছর পর শহিদ দিবসে পৃথক পৃথক পুষ্পস্তবক অর্পণ বিএনপির ভাষা শহীদদের প্রতি মণিরামপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি নালিতাবাড়ীতে একুশের প্রথম প্রহরে পালিত হলো প্রভাতফেরি 

ফরিদুলের ৬ মিথ্যা মামলা, পুলিশী ষড়যন্ত্র আটকে আছে পাসপোর্ট

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 12:39:18 pm, Saturday, 22 February 2025
  • 3 বার পড়া হয়েছে

ফরিদুলের ৬ মিথ্যা মামলা, পুলিশী ষড়যন্ত্র আটকে আছে পাসপোর্ট

শওকত আলম, কক্সবাজার

  

মেজর সিনহা হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি বহিস্কৃত. খুনী ওসি প্রদীপ কুমার দাসের হাতে অমানবিক নির্যাতনের শিকার নির্যাতিত সম্পাদক ফরিদুল মোস্তফা খান এখনো পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
রয়েছেন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায়।
মামলার খরচ চালাতে চালাতে তিনি এখন নিঃস্ব। রাষ্ট্র তথা সাংবাদিক কল্যান ট্রাষ্টের সাহায্য সহযোগিতা পাওয়াতো দুরের কথা তার মামলা নিষ্পত্তি, জানমালের নিরাপত্তা, আটকে রাখা পাসপোর্ট উদ্ধারে এই পর্যন্ত এগিয়ে আসননি কোন মানবতারর ফেরিওয়ালা।
৫ বছর আগে জামিনে কারামুক্তির পর এবং এর আগে পরিবারের পক্ষ থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, পুলিশ সদর দপ্তর, ডিসি, এসপি সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহলে আবেদন নিবেদন করা হলেও রহস্যজনক কারণে তা ঝুলে আছে। প্রত্যাহার হয়নি মামলা।
শুধু আবেদনের রিসিভ কপি আর দীর্ঘশ্বাস ছাড়া এই মুহূর্তেে নির্যাতিত ফরিদুল মোস্তফার আর কিছুই নেই বললেই চলে।
তিনি বলছেন, মামলার বুঝা সইতে পারছেননা আর। কষ্টেের মাত্রা সীমাহীন হয়ে পড়ছে।
আর্থিক দৈন্যদশার কারণে ফরিদুল মোস্তফা ও তার ফরিবার সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন।

বাংলাদেশে বিচার বহির্ভুত মানুষ হত্যা, উখিয়া টেকনাফের সাবেক এমপি মাদকের গডফাদর আবদু রহমান বদি, ওসি প্রদীপ এবং তার লালিত মাদক ঘুষ সিন্ডিকেটের মাদক নির্মুলের নামে নিজেদের মাদক ব্যবসার বিরুদ্বে ”
টাকা না দিলে ক্রসফায়ার দেন টেকনাফের ওসি প্রদীপ শিরোনামে ২০১৯ সালে কয়েকটি বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রকাশ এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় তিনি তৎকালীন কক্সবাজারের সাবেক পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন সিন্ডিকেটের রোষানলে পড়েন।
ফলে সেই সময়ে মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সাথে দেখা করে জীবনের নিরাপত্তা এবং মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে আবেদন করেন ফরিদুল।
কিন্তু দুর্ভাগ্য জুলুম নির্যাতন হয়রানি থেকে রেহাই পাওয়াতো দুরের কথা ফরিদুল মোস্তফা কে বীনা ওয়ারেন্টে উল্টো ঢাকা থেকে ওসি প্রদীপের টেকনাফ থানা পুলিশ তুলে এনে ২০১৯ সালে কয়েক দিন পৈশাচিক নির্যাতন চালিয়ে অস্ত্র, মাদক ও চাঁদাবাজীর ৬ সাজানো মামলা দিয়ে চালান দেন আদালতে।
আবেদন করেন রিমান্ড।

এই মামলায় তিনি টানা ১১ মাস ৫ দিন কারাভোগ করে তিনি জামিনে মুক্ত হন। ওই সময় আদালতে মামলা ডিসার্জের আবেদন করা হলেও রহস্যজনক করনে চার্জ গঠিত হয়।
পরবর্তীতে অবশ্যই এই ঘটনায় কক্সবাজারের সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ ইসমাইল বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফার উপর ঘটে যাওয়া ওসি প্রদীপের জুলুমের কথা উল্লেখ করে সহমর্মিতা প্রকাশ, নিজের সীমাবদ্ধতা এবং তার মিথ্যা মামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রকাশ্যে বক্তব্য দেন।
এই অবস্থায় দায়েরকৃত ৬ মিথ্যা মামলা গত ৬ বছর হয়ে গেলেও এখনও প্রত্যাহার হয়নি।
সাজানো মামলায় টানা ১১ মাস ৫ দিন কারাভোগের পর জামিনে এসে প্রদীপ গংয়ের বিরুদ্ধে আদালতে দায়েরকৃত তার ফৌজদারি মামলাটি রেকর্ড হয়নি আজও।
আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে গত ৫ বছর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেননি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দবারবার সময়ের দরখাস্ত দিয়ে সময় ক্ষেপন করায় নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফার আইনজীবিরা পুলিশের পরিবর্তে মামলাটি বিচারবিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে আমলে নেওয়ার আবেদন করলেও তা কার্যকর হয়নি।
একই সাথে ফরিদুলের সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, থানার রেকর্ড পত্র পর্যালোচনা সিডিএমএস সংশোধন ও জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে তার স্ত্রীর দায়েরকৃত মহামান্য হাইকোর্টে রীট আবেদনটি নিষ্পত্তি হয়নি গত ৬ বছরে।

 

কেন তার জীবনের নিরাপত্তা দেওয়া হবেনা মর্মে স্বরাষ্ট্র সচিব কক্সবাজারের ডিসি এসপি সহ বিবাদীদের রুলেই আটকে আছে রিট পিটিশন।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই কে এ ঘটনার ৪ সপ্তাহের ভিতরে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও পিবিআই রহস্যজনক কারেনে গত ৬ বছর ধরে হাইকোর্টে
উক্ত প্রতিবেদনটি জমা না দিয়ে আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে।
শুধু তাই নয়,নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা কারাগার থেকে বের হওয়ার পর তার নামে পূর্বের ইস্যুকৃত ডিজিটাল পাসপোর্ট টি মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় নবায়নের আবেদন করলেও পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের অজুহাতে পাসপোর্টটি স্থগিত করে দেন পাসপোর্ট মহা পরিচালকের পক্ষে এক কর্মকর্তা। অথচ ডিজিটাল পাসপোর্ট নবায়নের ক্ষেত্রে পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদনের প্রয়োজন নেই মর্মে পাসপোর্ট ডেলিভারি স্লিপ দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের কারণে টানা ৫ বছর পাসপোর্ট নবায়ন করে না দেওয়া দুর্বলের উপর সবলের জুলম বলে মনে করছেন ফরিদুল মোস্তফার স্বজনরা। এই অবস্থায় নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফাও তার পরিবার মামলা প্রত্যাহার, পাসপোর্ট ফিরিয়ে পাওয়া, থানার রেকর্ডপত্র সিডি এমএস সংশোধন, পরিবারের জানমালের নিরাপত্তা এবং রাষ্ট্রীয় সহায়তা পেতে প্রধান উপদেষ্টা, আইন মন্ত্রণালয়,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সাংবাদিক কল্যান ট্রাষ্ট, পুলিশ সদর দপ্তর, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, আদালত, উচ্চ আদালত, সকল গোয়েন্দা সংস্থা, পাসপোর্ট সদর দপ্তর, মহা পরিচালক পাসপোর্ট এন্ড ইমিগ্রিশন,
দেশী বিদেশি মানবাধিকার সংগঠন ও সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কতৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
তিনি ফরিদুল মোস্তফা একজন পেশাদার কারা নির্যাতিত মজলুম সাংবাদিক।
দুই যুগের অধিককাল ধরে তিনি বাংলাদেশ বেতার সহ জাতীয় স্থানীয় বিভিন্ন গনমাধ্যামে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছেন।
ফরিদুল মোস্তফা কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক কক্সবাজারবাণী পত্রিকার সম্পাদকও প্রকাশক।

পেশাগত রোষানলের শিকার ও লেখালেখির অপরাধে নিঃস্ব ফরিদুল নিজের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও ন্যায় বিচারের দাবিতে আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন এখনো।
কোন কুল কিনারা পাচ্ছেননা তিনি।
এতে করে মিথ্যা মামলায় আদালতের মুল্যবান সময় যেমন নষ্ট হচ্ছে অন্য দিকে একজন পেশাদার সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফার ফরিবার হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
সাংবাদিক ফরিদের অভিযোগ, প্রদীপের ৬ মিথ্যা অভিযোগে দায়েরকৃত মামলাগুলো প্রত্যাহার চেয়ে গত ৫ বছর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বাংলাদেশ অনলাইন সংবাদপত্র সম্পাদক পরিষদ বনেক ও আবেদন করেছেন।
মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বিএমএসএফ সহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও সাংবাদিক নেতারা এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বহুল আলোচিত এসব সাজানো মামলায় মাসে মাসে ধার্য তারিখে কক্সবাজার আদালতে হাজিরা দিতে দিতে তিনি এখন ক্লান্ত বলে ও জানান প্রতিবেদককে।
এছাড়া ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর জুডিশিয়াল ম্যজিষ্ট্রেট আদালতে তৎকালীন সময়ে দায়েরকৃত তার মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিও জানান ভুক্তভোগী।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

দুই ওসির পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, আসামি লাপাত্তা

ফরিদুলের ৬ মিথ্যা মামলা, পুলিশী ষড়যন্ত্র আটকে আছে পাসপোর্ট

আপডেট সময় : 12:39:18 pm, Saturday, 22 February 2025

শওকত আলম, কক্সবাজার

  

মেজর সিনহা হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি বহিস্কৃত. খুনী ওসি প্রদীপ কুমার দাসের হাতে অমানবিক নির্যাতনের শিকার নির্যাতিত সম্পাদক ফরিদুল মোস্তফা খান এখনো পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
রয়েছেন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায়।
মামলার খরচ চালাতে চালাতে তিনি এখন নিঃস্ব। রাষ্ট্র তথা সাংবাদিক কল্যান ট্রাষ্টের সাহায্য সহযোগিতা পাওয়াতো দুরের কথা তার মামলা নিষ্পত্তি, জানমালের নিরাপত্তা, আটকে রাখা পাসপোর্ট উদ্ধারে এই পর্যন্ত এগিয়ে আসননি কোন মানবতারর ফেরিওয়ালা।
৫ বছর আগে জামিনে কারামুক্তির পর এবং এর আগে পরিবারের পক্ষ থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, পুলিশ সদর দপ্তর, ডিসি, এসপি সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহলে আবেদন নিবেদন করা হলেও রহস্যজনক কারণে তা ঝুলে আছে। প্রত্যাহার হয়নি মামলা।
শুধু আবেদনের রিসিভ কপি আর দীর্ঘশ্বাস ছাড়া এই মুহূর্তেে নির্যাতিত ফরিদুল মোস্তফার আর কিছুই নেই বললেই চলে।
তিনি বলছেন, মামলার বুঝা সইতে পারছেননা আর। কষ্টেের মাত্রা সীমাহীন হয়ে পড়ছে।
আর্থিক দৈন্যদশার কারণে ফরিদুল মোস্তফা ও তার ফরিবার সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন।

বাংলাদেশে বিচার বহির্ভুত মানুষ হত্যা, উখিয়া টেকনাফের সাবেক এমপি মাদকের গডফাদর আবদু রহমান বদি, ওসি প্রদীপ এবং তার লালিত মাদক ঘুষ সিন্ডিকেটের মাদক নির্মুলের নামে নিজেদের মাদক ব্যবসার বিরুদ্বে ”
টাকা না দিলে ক্রসফায়ার দেন টেকনাফের ওসি প্রদীপ শিরোনামে ২০১৯ সালে কয়েকটি বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রকাশ এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় তিনি তৎকালীন কক্সবাজারের সাবেক পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন সিন্ডিকেটের রোষানলে পড়েন।
ফলে সেই সময়ে মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সাথে দেখা করে জীবনের নিরাপত্তা এবং মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে আবেদন করেন ফরিদুল।
কিন্তু দুর্ভাগ্য জুলুম নির্যাতন হয়রানি থেকে রেহাই পাওয়াতো দুরের কথা ফরিদুল মোস্তফা কে বীনা ওয়ারেন্টে উল্টো ঢাকা থেকে ওসি প্রদীপের টেকনাফ থানা পুলিশ তুলে এনে ২০১৯ সালে কয়েক দিন পৈশাচিক নির্যাতন চালিয়ে অস্ত্র, মাদক ও চাঁদাবাজীর ৬ সাজানো মামলা দিয়ে চালান দেন আদালতে।
আবেদন করেন রিমান্ড।

এই মামলায় তিনি টানা ১১ মাস ৫ দিন কারাভোগ করে তিনি জামিনে মুক্ত হন। ওই সময় আদালতে মামলা ডিসার্জের আবেদন করা হলেও রহস্যজনক করনে চার্জ গঠিত হয়।
পরবর্তীতে অবশ্যই এই ঘটনায় কক্সবাজারের সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ ইসমাইল বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফার উপর ঘটে যাওয়া ওসি প্রদীপের জুলুমের কথা উল্লেখ করে সহমর্মিতা প্রকাশ, নিজের সীমাবদ্ধতা এবং তার মিথ্যা মামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রকাশ্যে বক্তব্য দেন।
এই অবস্থায় দায়েরকৃত ৬ মিথ্যা মামলা গত ৬ বছর হয়ে গেলেও এখনও প্রত্যাহার হয়নি।
সাজানো মামলায় টানা ১১ মাস ৫ দিন কারাভোগের পর জামিনে এসে প্রদীপ গংয়ের বিরুদ্ধে আদালতে দায়েরকৃত তার ফৌজদারি মামলাটি রেকর্ড হয়নি আজও।
আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে গত ৫ বছর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেননি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দবারবার সময়ের দরখাস্ত দিয়ে সময় ক্ষেপন করায় নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফার আইনজীবিরা পুলিশের পরিবর্তে মামলাটি বিচারবিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে আমলে নেওয়ার আবেদন করলেও তা কার্যকর হয়নি।
একই সাথে ফরিদুলের সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, থানার রেকর্ড পত্র পর্যালোচনা সিডিএমএস সংশোধন ও জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে তার স্ত্রীর দায়েরকৃত মহামান্য হাইকোর্টে রীট আবেদনটি নিষ্পত্তি হয়নি গত ৬ বছরে।

 

কেন তার জীবনের নিরাপত্তা দেওয়া হবেনা মর্মে স্বরাষ্ট্র সচিব কক্সবাজারের ডিসি এসপি সহ বিবাদীদের রুলেই আটকে আছে রিট পিটিশন।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই কে এ ঘটনার ৪ সপ্তাহের ভিতরে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও পিবিআই রহস্যজনক কারেনে গত ৬ বছর ধরে হাইকোর্টে
উক্ত প্রতিবেদনটি জমা না দিয়ে আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে।
শুধু তাই নয়,নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা কারাগার থেকে বের হওয়ার পর তার নামে পূর্বের ইস্যুকৃত ডিজিটাল পাসপোর্ট টি মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় নবায়নের আবেদন করলেও পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের অজুহাতে পাসপোর্টটি স্থগিত করে দেন পাসপোর্ট মহা পরিচালকের পক্ষে এক কর্মকর্তা। অথচ ডিজিটাল পাসপোর্ট নবায়নের ক্ষেত্রে পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদনের প্রয়োজন নেই মর্মে পাসপোর্ট ডেলিভারি স্লিপ দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের কারণে টানা ৫ বছর পাসপোর্ট নবায়ন করে না দেওয়া দুর্বলের উপর সবলের জুলম বলে মনে করছেন ফরিদুল মোস্তফার স্বজনরা। এই অবস্থায় নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফাও তার পরিবার মামলা প্রত্যাহার, পাসপোর্ট ফিরিয়ে পাওয়া, থানার রেকর্ডপত্র সিডি এমএস সংশোধন, পরিবারের জানমালের নিরাপত্তা এবং রাষ্ট্রীয় সহায়তা পেতে প্রধান উপদেষ্টা, আইন মন্ত্রণালয়,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সাংবাদিক কল্যান ট্রাষ্ট, পুলিশ সদর দপ্তর, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, আদালত, উচ্চ আদালত, সকল গোয়েন্দা সংস্থা, পাসপোর্ট সদর দপ্তর, মহা পরিচালক পাসপোর্ট এন্ড ইমিগ্রিশন,
দেশী বিদেশি মানবাধিকার সংগঠন ও সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কতৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
তিনি ফরিদুল মোস্তফা একজন পেশাদার কারা নির্যাতিত মজলুম সাংবাদিক।
দুই যুগের অধিককাল ধরে তিনি বাংলাদেশ বেতার সহ জাতীয় স্থানীয় বিভিন্ন গনমাধ্যামে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছেন।
ফরিদুল মোস্তফা কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক কক্সবাজারবাণী পত্রিকার সম্পাদকও প্রকাশক।

পেশাগত রোষানলের শিকার ও লেখালেখির অপরাধে নিঃস্ব ফরিদুল নিজের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও ন্যায় বিচারের দাবিতে আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন এখনো।
কোন কুল কিনারা পাচ্ছেননা তিনি।
এতে করে মিথ্যা মামলায় আদালতের মুল্যবান সময় যেমন নষ্ট হচ্ছে অন্য দিকে একজন পেশাদার সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফার ফরিবার হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
সাংবাদিক ফরিদের অভিযোগ, প্রদীপের ৬ মিথ্যা অভিযোগে দায়েরকৃত মামলাগুলো প্রত্যাহার চেয়ে গত ৫ বছর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বাংলাদেশ অনলাইন সংবাদপত্র সম্পাদক পরিষদ বনেক ও আবেদন করেছেন।
মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বিএমএসএফ সহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও সাংবাদিক নেতারা এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বহুল আলোচিত এসব সাজানো মামলায় মাসে মাসে ধার্য তারিখে কক্সবাজার আদালতে হাজিরা দিতে দিতে তিনি এখন ক্লান্ত বলে ও জানান প্রতিবেদককে।
এছাড়া ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর জুডিশিয়াল ম্যজিষ্ট্রেট আদালতে তৎকালীন সময়ে দায়েরকৃত তার মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিও জানান ভুক্তভোগী।