হোসাইন রুবেল ভোলা।
ইলিশ শিকারে গিয়ে মেঘনায় ট্রলার ডুবে ১৮জন মাঝি মাল্লা ও জেলে নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার (২৮সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর সংলগ্ন ভাসানচরের পূর্বে মেঘনা নদীর মোহনায় এফবি মা জননী-২ নামের একটি ট্রলার তলা ফেটে ডুবে যায় বলে জানান স্থানীয় জেলেরা।
ট্রলারটি উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের মাইনুদ্দিন মৎস্যঘাটের মহিউদ্দিন মিয়ার। এর আগে গত শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় ৮নং ওয়ার্ডের ১৪ জন ও পাশ্ববর্তী জাহানপুর ইউনিয়নের ১জন এবং দৌলতখান উপজেলার ২জন জেলে নিয়ে মেঘনা নদীতে মৎস্য শিকারে যায়। ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মালেক মিয়া জানান, মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় ওই ট্রলারটির তলা ফেটে গিয়েছে বলে মাঝি মহিউদ্দিন তাঁর ভাই খলিলকে ফোন করে জানিয়ে ভাসানচরের পূর্ব দিকে মেঘনায় একটি ট্রলার নিয়ে তাদেরকে উদ্ধারের জন্য বলে। তবে আবহাওয়া খারাফ হওয়ায় এবং বৃষ্টি ও ঝড়োবাতাসের ফলে ঘাট থেকে কেউ তাদের উদ্ধারে যেতে পাড়েনি। এমন ঘটনায় নিখোঁজ জেলে পল্লীতে চলছে শোকের মাতম। বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয় জেলে ও তাদের স্বজনরা উত্তাল মেঘনায় ২টি ট্রলার নিয়ে নিখোঁজদের সন্ধানে গিয়েছে বলে একাধীক জেলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
নিখোঁজ জেলেরা হলেন, মহিউদ্দিন মাঝি (৩২), দুলাল (৩৩), সাজাহান মুন্সি (৩৫), আবদুল মুনাফ (৩৭), মোসলেহ উদ্দিন (৩০), ওবায়দুল্লাহ (৩৫), নুরনবী (৪), হাবিবুল্লাহ মিঝি (৫৫), আজাদ (২০), রুবেল (২০), আলমগীর (৩৫), জাকির (২৫), সাজাহান (৬০), ফরিদ (৬০), বেলায়েত (৬০), জাহানপুরের বাসিন্দা জসিম (২৫), ও দেলাতখান উপজেলার মঞ্জু (৪০)সহ অজ্ঞাত একজন। তবে ১৮জন জেলে নিখোঁজে প্রশাসনের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। কোস্টগার্ড দক্ষিণ চর মানিকা কমান্ডার ওয়ালিউল্লাহ মিয়া বলেন, এমন ঘটনার খবর পাইনি। তবে নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে অভিযানে যাব। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার বলেন, ট্রলার ডুবির খবর পেয়েছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল নোমান বিষয়টি মৎস্য কর্মকর্তাকে জানানোর জন্য বলেন।