Dhaka , Monday, 30 June 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
রূপগঞ্জে সেনাবাহিনীর ভু’য়া মে’জর গ্রে’প্তার অ’পরা’ধের ঘ’টনা’য় আ’ইনশৃ’ঙ্খলা বাহিনী যথাসম্ভব দ্রুত ব্য’বস্থা নিচ্ছে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রূপগঞ্জে পি’স্তলে’র গু’লিস’হ ছাত্রদল নে’তা গ্রে’প্তার নোয়াখালীতে ১০ বছরের সা’জাপ্রা’প্ত প’লাত’ক আ’সামি গ্রে’প্তার দী’র্ঘদিনের অ’স্থা’য়ী ২৯৫ জনকে যা’চাই করে স্থায়ী করলেন মেয়র শাহাদাত সাভারের আশুলিয়ায় একদিনে ঘ’টে গেছে তিনটি ভ’য়াব’হ স’ন্ত্রা’সী ঘ’টনা সাবেক মন্ত্রীর চার আ’ত্মীয়ের বি’রু’দ্ধে ভু’য়া সনদে চা’করি করার অ’ভিযো’গ লালমনিরহাট জেলা পুলিশের বৃ’ক্ষরো’পণ কর্মসূচি লালমনিরহাটে পুলিশের অ’ভিযা’নে মা’দক ও মোটরসাইকেল জ’ব্দসহ গ্রে’প্তার ২ বাবুই ছানা হ’ত্যাকা’ণ্ডে মা’মলা’র তিন ঘণ্টার মধ্যে গা’ছকা’টার মূল আ’সামী গ্রে’প্তার কুড়িগ্রাম ভূরুঙ্গামারীতে নি’খোঁ’জের ৩ দিন পর ক’বরস্থা’ন থেকে না’রীর মর’দেহ উ’দ্ধার শরীয়তপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দ্রুত বা’স্তবায়’নের দা’বিতে গোলটেবিল বৈ’ঠক পাইকগাছায় উ’ন্মু’ক্ত লটারির মাধ্যমে এলসিএস ক’র্মী নি’র্ধার’ণ  প্রে’মের কারণে বাংলাদেশে আসলেন ভারতীয় আরিয়ান এরপর…আ’টক নি’খোঁ’জ এইচএসসি পরীক্ষার্থী মাহিরা সাভার থেকে উ’দ্ধা’র বাবুই ছানা হ’ত্যাকা’ণ্ডে ঝালকাঠিতে দু’টি মা’মলা অ’সহা’য় শতাধিক প্রা’ণের মৃ’ত্যু, গ্রে’ফতা’রের প্র’ক্রিয়া চলমান ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতিকে ইউপি চেয়ারম্যান চাঁ’দা না দেওয়ায় প’রিষ’দে আ’টদিন ধ’রে তা’লাব’দ্ধ, সেবা থেকে ব’ঞ্চিত হাজারো মানুষ বা’য়ুদূষ’ণ নি’য়ন্ত্র’ণে ও চীনা বিশেষজ্ঞদের সাথে পরিবেশ উপদেষ্টার বৈ’ঠক সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে পু’লিশে’র বিশেষে অ’ভিযা’নে নিয়মিত ও পরো’য়া’নাভু’ক্ত আ’সা’মিস’হ গ্রে’ফতা’র-৩ স’মকামি’তা ও হ’য়রা’নির অ’ভিযো’গে হাফিজুল ইসলাম অ’পসা’রিত পাইকগাছায় দিনব্যা’পী পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর সাইমুম সাজিদের বাড়িতে হা’ম’লা, ভা’ঙচু’র ও লু’টপা’ট শরীয়তপুরে আলিম পরিক্ষায় ন’কলে’র দা’য়ে একজন ব’হিষ্কা’র  সাভারের আশুলিয়ায় জমি বি’রো’ধে গু’লিবি’নিম’য়, এলাকায় চ’রম আ’ত’ঙ্ক আওয়ামী নে’তা’দের বি’রু’দ্ধে মা’মলা দেওয়ার হুঁ’শিয়া’রি ডা. সালাউদ্দিন বাবুর শিল্পাঞ্চল আশুলিয়া বিভিন্ন সময় চাঁ’দাবা’জির ঘ’ট’না চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বি.কে ওয়াই জু’ট মিলসে শ্র’মিক আ’ন্দোল’ন বেতন বৃ’দ্ধি ও চাকরি স্থা’য়ীকর’ণের দাবিতে উ’ত্তাল পরিবেশ নোয়াখালীর সুবর্ণচরে বি’ধবা’কে গ’ণধর্ষ’ণে’র অভি’যো’গে এক যুবক গ্রে’প্তার বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির রামগঞ্জ উপজেলা শাখার নি’র্বাচ’নে বাসার ইউসুফ পরিষদের পরিচিতিসভা তিতাসে বৃ’ক্ষরো’পণ ও বিতরণ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত 

সুপারির রাজ্য লক্ষ্মীপুরে ফলন কম হলেও দামে সন্তুষ্ট  কৃষকরা।।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 01:09:30 pm, Wednesday, 4 December 2024
  • 87 বার পড়া হয়েছে

সুপারির রাজ্য লক্ষ্মীপুরে ফলন কম হলেও দামে সন্তুষ্ট  কৃষকরা।।

মোঃ মাসুদ রানা মনি
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি।।
লক্ষ্মীপুরের লক্ষী হলো এ জেলার সুপারি। তবে এ বছর সুপারীর ফলন কিছুটা কম হয়েছে, কিন্তু দাম বেশী হওয়ায় সন্তুষ্ট এ অঞ্চলের কৃষক। জানা গেছে এ বছর প্রায় ৭০০ কোটি টাকার সুপারী বিক্রি করা হয়েছে।
সুপারি লক্ষ্মীপুরের একটি অর্থকরী ফসল। জেলার প্রায় প্রতিটি বাড়িতে রয়েছে সুপারি গাছ। মৌসুমে সুপারি বিক্রি করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন জেলার অনেকে।
এছাড়া মৌসুমী এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন জেলার অনেক মানুষ। প্রায় সারাদেশেই চাহিদা রয়েছে লক্ষ্মীপুরের সুপারির। লক্ষ্মীপুরের মাটি এবং আবহাওয়া সুপারি চাষের জন্য উপযোগী। তাই প্রতিটি স্থানেই দেখা মেলে গাছটির। গেল বছর জেলাতে সুপারির বাম্পার ফলন হলেও চলতি মৌসুমে ফলন নেমে গেছে অর্ধেকে। ফলন কম হওয়ায় বাজারে দাম কিছুটা বেড়েছে। বিক্রেতা এবং ব্যবসায়ীদের কথা বলে জানা গেছে-গত বছরের এ সময়ে প্রতি পোন -৮০পিস- সুপারি বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। চলতি বছর বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৭০ টাকা দামে।
সুপারির বাগান মালিকরা জানায়- সুপারী গাছ অল্প পরিমাণ জমিতে বেড়ে উঠে। রাস্তার পাশে- বাড়ির আঙ্গিনায়- ঝোপ-ঝাড়ে- ফসলি খেতের কাছে- পুকুর বা খাল পাড়সহ আনাচে-কানাচে লাগানো হয় গাছটি। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুপারি বাগান রয়েছে রায়পুর উপজেলাতে। এছাড়া লক্ষ্মীপুরের দক্ষিণ অঞ্চলের তুলনায় উত্তর এবং পশ্চিম অঞ্চলে সুপারির আবাদ বেশি হচ্ছে।
জানা গেছে- লক্ষ্মীপুর উত্তর তেমুহনী- জকসিন-মান্দারী-বটতলী- হাজিরপড়া- চন্দ্রগঞ্জ- ভবানীগঞ্জ, রায়পুরের হায়দরগঞ্জ- বাসাবাড়ি- মোল্লারহাটসহ জেলা এবং উপজেলার সবগুলো বাজারেই বসে সুপারি ক্রয়-বিক্রয়ের হাট। এছাড়া প্রায় প্রত্যেক গ্রামগঞ্জের আনাচে-কানাচে এবং রাস্তার মোড়ে খুচরা ব্যবসায়ীরা গেরস্তো থেকে সুপারি ক্রয় করে বাজারগুলোতে এনে পাইকারী দামে বিক্রি করে।
লক্ষ্মীপুরে সুপারি গননা হয় পোন এবং ক্রাউনে। ৮০টি সুপারিতে এক পোন এবং ১৬ পোনকে এক ক্রাউন ধরা হয়।
লক্ষ্মীপুর উত্তর তেমুহনী সুপারীর হাটে গিয়ে দেখা যায়- আকার ভেদে পাকা প্রতি পোন সুপারি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭৯ টাকা পর্যন্ত। আর কাঁচা সুপারির পোন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। তবে প্রতি হাটে বাজার মূল্য উঠানামা করে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
আল আমিন নামে ব্যক্তি বলেন- ৫ পোন সুপারি বিক্রি করেছি ৮০০ টাকায়। এ টাকা দিয়ে বাজার সদাই করবো।
আবুল কালাম নামে এক বাগান মালিক বলেন- এবার গাছে সুপার খুবই কম। কিন্তু গত দুই বছর ভাল ফলন হয়েছে- কিন্তু দাম কম ছিল। এবার ফলন কম হওয়ায় দাম বেশি।
কয়েকজন সুপারি বাগান মালিক ও গেরস্তোর সঙ্গে কথা বলেন জানা গেছে- সুপারি লাভজনক ফসল হওয়ায় প্রত্যেকে পতিত জমিতে সুপারির চারা বা বীজ রোপণ করেন তারা। মৌসুমে ভালো মানের সুপারিগুলো বীজ হিসেবে সংরক্ষণ করে তা মাটিতে পুতে রাখেন। বর্ষা মৌসুমে খালি জমিতে বা বাড়ির আঙ্গিনায় চারা গাছ রোপন করেন। তেমন কোনো পরিচর্যা ছাড়াই প্রাকৃতিক পরিবেশে গাছ বড় হতে থাকে। ৫-৭ বছরের মধ্যেই গাছে ফল আসতে শুরু হয়। একবার ফল দেওয়া শুরু করলে প্রতিটি গাছ ২৫-৩০ বছর পর্যন্ত ফলন দিতে থাকে। তবে গাছের বয়স যত বেশি হবে, ফলনের পরিমাণ তত কমতে থাকবে। প্রাপ্ত বয়স্ক একটি গাছে মৌসুমে ৪-৫ পোন সুপারি ধরে।
তারা আরও জানান- দিন দিন সুপারির বাগানের পরিধি কমতে শুরু করেছে। বাগান উজাড় করে ঘর-বাড়ি নির্মাণের ফলে সুপারির উৎপাদন কমে যাচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক সোহেল মো. শামসুদ্দীন ফিরোজ বলেন- লক্ষ্মীপুরে এবার ৭ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে সুপারির আবাদ হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে ৪০ হাজার মেট্রিক টন সুপারি। যার বাজারমূল্য ৭০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। এবার ফলন কম হলেও এবার সুপারির দাম বেশি। তাই চাষিদের পোষাচ্ছে। একেক বাগান মালিক মৌসুমে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার সুপারি বিক্রি করতে পারে। এটা চাষিদের জন্য অর্থের বড় একটা সংস্থান।
সুপারীর ফলন বাড়াতে এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সুপারি বাগান মালিকদের ভাল মানের চারা রোপণ এবং দূরত্ব বজায় রেখে চারা লাগানোর পরামর্শ দেন এ কৃষি কর্মকর্তা।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

রূপগঞ্জে সেনাবাহিনীর ভু’য়া মে’জর গ্রে’প্তার

সুপারির রাজ্য লক্ষ্মীপুরে ফলন কম হলেও দামে সন্তুষ্ট  কৃষকরা।।

আপডেট সময় : 01:09:30 pm, Wednesday, 4 December 2024
মোঃ মাসুদ রানা মনি
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি।।
লক্ষ্মীপুরের লক্ষী হলো এ জেলার সুপারি। তবে এ বছর সুপারীর ফলন কিছুটা কম হয়েছে, কিন্তু দাম বেশী হওয়ায় সন্তুষ্ট এ অঞ্চলের কৃষক। জানা গেছে এ বছর প্রায় ৭০০ কোটি টাকার সুপারী বিক্রি করা হয়েছে।
সুপারি লক্ষ্মীপুরের একটি অর্থকরী ফসল। জেলার প্রায় প্রতিটি বাড়িতে রয়েছে সুপারি গাছ। মৌসুমে সুপারি বিক্রি করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন জেলার অনেকে।
এছাড়া মৌসুমী এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন জেলার অনেক মানুষ। প্রায় সারাদেশেই চাহিদা রয়েছে লক্ষ্মীপুরের সুপারির। লক্ষ্মীপুরের মাটি এবং আবহাওয়া সুপারি চাষের জন্য উপযোগী। তাই প্রতিটি স্থানেই দেখা মেলে গাছটির। গেল বছর জেলাতে সুপারির বাম্পার ফলন হলেও চলতি মৌসুমে ফলন নেমে গেছে অর্ধেকে। ফলন কম হওয়ায় বাজারে দাম কিছুটা বেড়েছে। বিক্রেতা এবং ব্যবসায়ীদের কথা বলে জানা গেছে-গত বছরের এ সময়ে প্রতি পোন -৮০পিস- সুপারি বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। চলতি বছর বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৭০ টাকা দামে।
সুপারির বাগান মালিকরা জানায়- সুপারী গাছ অল্প পরিমাণ জমিতে বেড়ে উঠে। রাস্তার পাশে- বাড়ির আঙ্গিনায়- ঝোপ-ঝাড়ে- ফসলি খেতের কাছে- পুকুর বা খাল পাড়সহ আনাচে-কানাচে লাগানো হয় গাছটি। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুপারি বাগান রয়েছে রায়পুর উপজেলাতে। এছাড়া লক্ষ্মীপুরের দক্ষিণ অঞ্চলের তুলনায় উত্তর এবং পশ্চিম অঞ্চলে সুপারির আবাদ বেশি হচ্ছে।
জানা গেছে- লক্ষ্মীপুর উত্তর তেমুহনী- জকসিন-মান্দারী-বটতলী- হাজিরপড়া- চন্দ্রগঞ্জ- ভবানীগঞ্জ, রায়পুরের হায়দরগঞ্জ- বাসাবাড়ি- মোল্লারহাটসহ জেলা এবং উপজেলার সবগুলো বাজারেই বসে সুপারি ক্রয়-বিক্রয়ের হাট। এছাড়া প্রায় প্রত্যেক গ্রামগঞ্জের আনাচে-কানাচে এবং রাস্তার মোড়ে খুচরা ব্যবসায়ীরা গেরস্তো থেকে সুপারি ক্রয় করে বাজারগুলোতে এনে পাইকারী দামে বিক্রি করে।
লক্ষ্মীপুরে সুপারি গননা হয় পোন এবং ক্রাউনে। ৮০টি সুপারিতে এক পোন এবং ১৬ পোনকে এক ক্রাউন ধরা হয়।
লক্ষ্মীপুর উত্তর তেমুহনী সুপারীর হাটে গিয়ে দেখা যায়- আকার ভেদে পাকা প্রতি পোন সুপারি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭৯ টাকা পর্যন্ত। আর কাঁচা সুপারির পোন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। তবে প্রতি হাটে বাজার মূল্য উঠানামা করে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
আল আমিন নামে ব্যক্তি বলেন- ৫ পোন সুপারি বিক্রি করেছি ৮০০ টাকায়। এ টাকা দিয়ে বাজার সদাই করবো।
আবুল কালাম নামে এক বাগান মালিক বলেন- এবার গাছে সুপার খুবই কম। কিন্তু গত দুই বছর ভাল ফলন হয়েছে- কিন্তু দাম কম ছিল। এবার ফলন কম হওয়ায় দাম বেশি।
কয়েকজন সুপারি বাগান মালিক ও গেরস্তোর সঙ্গে কথা বলেন জানা গেছে- সুপারি লাভজনক ফসল হওয়ায় প্রত্যেকে পতিত জমিতে সুপারির চারা বা বীজ রোপণ করেন তারা। মৌসুমে ভালো মানের সুপারিগুলো বীজ হিসেবে সংরক্ষণ করে তা মাটিতে পুতে রাখেন। বর্ষা মৌসুমে খালি জমিতে বা বাড়ির আঙ্গিনায় চারা গাছ রোপন করেন। তেমন কোনো পরিচর্যা ছাড়াই প্রাকৃতিক পরিবেশে গাছ বড় হতে থাকে। ৫-৭ বছরের মধ্যেই গাছে ফল আসতে শুরু হয়। একবার ফল দেওয়া শুরু করলে প্রতিটি গাছ ২৫-৩০ বছর পর্যন্ত ফলন দিতে থাকে। তবে গাছের বয়স যত বেশি হবে, ফলনের পরিমাণ তত কমতে থাকবে। প্রাপ্ত বয়স্ক একটি গাছে মৌসুমে ৪-৫ পোন সুপারি ধরে।
তারা আরও জানান- দিন দিন সুপারির বাগানের পরিধি কমতে শুরু করেছে। বাগান উজাড় করে ঘর-বাড়ি নির্মাণের ফলে সুপারির উৎপাদন কমে যাচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক সোহেল মো. শামসুদ্দীন ফিরোজ বলেন- লক্ষ্মীপুরে এবার ৭ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে সুপারির আবাদ হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে ৪০ হাজার মেট্রিক টন সুপারি। যার বাজারমূল্য ৭০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। এবার ফলন কম হলেও এবার সুপারির দাম বেশি। তাই চাষিদের পোষাচ্ছে। একেক বাগান মালিক মৌসুমে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার সুপারি বিক্রি করতে পারে। এটা চাষিদের জন্য অর্থের বড় একটা সংস্থান।
সুপারীর ফলন বাড়াতে এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সুপারি বাগান মালিকদের ভাল মানের চারা রোপণ এবং দূরত্ব বজায় রেখে চারা লাগানোর পরামর্শ দেন এ কৃষি কর্মকর্তা।