শিমুল তালুকদার- সদরপুর থেকে।।
যে বয়োসী শিশুদের স্কুলে যাওয়ার কথা, হৈ হুল্লোড় করে, সহপাঠীদের সাথে আড্ডা দেওয়ার কথা, ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে সেই বয়সে শিশু তায়েবা ঘরে বসে থাকে। স্কুলে যাওয়ার প্রচন্ড ইচ্ছা থাকলেও অসুস্থ্যতার কারনে তায়েবা স্কুলে যেতে পারেনা। নিয়োতির কাছে হেরে গিয়েছে ছোট শিশু তায়েবা। তার হার্টের ভালবে সমস্যা জন্মের পর থেকে। ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ফুকুরহাটি গ্রামের বাসিন্দা ফারুক মোল্যা ভাড়া থাকেন সদরপুর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামে।ফারুক মোল্যা ও ফাহিমার ৯ বছরের শিশু কন্যা তায়েবা। উপজেলার শ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্রী সে। শারীরিক অসুস্থতা নিয়েই পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছে তায়েবা। তার মা ফাহিমা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে এই প্রতিবেদককে জানান- ৪ বছর বয়সে তার হার্টের সমস্যা ধরা পরে। কিন্তু অর্থের অভাবে তখন চিকিৎসা করাতে পারি নি। এখন প্রায়ই বুকে প্রচন্ড ব্যাথা ও স্বাসকস্ট হয়। ডাক্তাররা বলেছেন ঢাকায় গিয়ে দ্রুত অপারেশন করাতে হবে। কিন্ত অপারেশন খরচের এত টাকা আমরা কোথায় পাবো বলে হাউমাউ করে অঝরে কাঁদতে থাকে তায়েবার অসহায় পিতা ফারুক মোল্যা। তিনি সমাজের বিত্তবানদের কাছে তার মেয়েটিকে সুস্থ্য করতে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন। শিশু তায়েবার বাবা ফারুক মোল্যা আরো বলেন- আমার অভাবের সংসারে তিন মেয়ে একছেলে। তায়েবা সবার ছোট।
একটা দুর্ঘটনায় আজ প্রায় ৩ বছর যাবৎ আমি নিজেই পঙ্গু হয়ে যাই। এর পর থেকে কোন কাজ কর্ম করতে পারিনা। অভাবের সংসারে নিজেদের খাবার জোগাতেই হিমসিম খাচ্ছি- মেয়ের চিকিৎসা করাবো কিভাবে। তাই আমি আপনাদের মাধ্যমে বিত্তবান ও প্রবাসীদের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করছি।আপনাদের সামান্যতম সহযোগিতায় হয়তোবা আমার মেয়েটিকে সুস্থ্য করতে পারবো। ফুটফুটে শিশু তায়েবা বলেন- আমি পড়ালেখা করতে চাই- সুস্থ্য হয়ে প্রতিদিন স্কুলে যেতে চাই। আপনাদের কাছে দোয়া চাই। আমি যেন সুস্থ্য হয়ে অন্য সব শিশুদের মতো স্কুলে গিয়ে পড়ালেখা করতে পারি। খেলাধুলা করতে পারি।
আমরাও চাই-কোমলপ্রাণ শিশু তায়েবার অদম্য ইচ্ছাশক্তির কাছে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস পরাজিত হোক। অন্য সব শিশুর মতো প্রতিদিন স্কুলে যাবে- পড়ালেখা করবে- হৈ হুল্লোড়- আর হেসে খেলে জীবন পার করবে। মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে এমনটাই প্রতাশা আমাদের।
কোন সহৃয়বান ব্যাক্তি যদি শিশু তায়েবার চিকিৎসার জন্য নুন্যতম সাহায্য পাঠাতে চান তবে- তায়েবার মায়ের পার্সোনাল বিকাশ নাম্বারে সাহায্য পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা গেল। বিকাশ নম্বর পার্সোনাল ০১৭৪২০২৫৫৮২।