শাহিন ফকির।।
পিরোজপুর-নাজিরপুর সড়কের কদমতলা নুরানীগেট এলাকায় একটি প্রাইভেটকার খালে পড়ে নারী শিশুসহ দুই পরিবারের আটজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দিবাগত আনুমানিক রাত ২.১৫ মিনিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহতেরা হলেন—নাজিরপুরের হোগাবুনিয়া এলাকার মৃত আসাদ মৃধার ছেলে শাওন -৩২-তাঁর স্ত্রী আমেনা বেগম -২৫- শিশু সন্তান শাহাদাত -১০-ও আব্দুল্লাহ -৩-। অপর পরিবারের শেরপুরের দিঘিপাড়া রঘুনাথপুর নিজামুদ্দিনের ছেলে মো. মোতালেব -৪৫- তার স্ত্রী সাবিনা -৩০- মেয়ে মুক্তা -১২- ও দুই বছর ছেলে শিশু সোয়াইব।
নিহত শাওনের খালাতো ভাই মুরাদ জানান, ছুটি কাটাতে শাওন ও তাঁর বন্ধু পরিবার নিয়ে কুয়াকাটা গিয়েছিলেন। সেখান থেকে গ্রামের বাড়ি নাজিরপুরের হোগলা বুনিয়া ফেরার পথে রাত ২.১৫ মিনিটের দিকে পিরোজপুর-নাজিরপুর সড়কের নূরানী গেট এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেট কারটি খালে পড়ে যায়। স্থানীয়রা ও ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিরোজপুর সদর, মামুনুর রশীদ, সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনা স্থলে এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
উপ – সহকারী পরিচালক ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স পিরোজপুর, মুহাম্মদ সেলিম হোসেন মিয়া বলেন,
রাত দুইটা সতেরো মিনিটে আমরা সংবাদ পাই কদমতলা এলাকায় নূরানী গেটে একটি প্রাইভেট কার খালে পড়ে গেছে সাথে সাথে আমি ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট সেখানে পাঠাই এবং আমি নিজেই সেখানে উপস্থিত হয়ে দ্রুত লাশ উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করি ।
পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের আরএমও বলেন, একটি প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় আটজনকে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সোবাহান বলেন-খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলে যাই। ফায়ার সার্ভিস পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়।
উক্ত দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বিকেল ৪.৩০ মিনিট এর সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বরিশাল বিভাগের রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ মনজুর মোরশেদ আলম-এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ আবু নাসের-অতিরিক্ত পুলিশ সুপার -প্রশাসন ও অর্থ-মোহ মোস্তাফিজুর রহমান- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার -ক্রাইম এন্ড অপারেশনস- মোঃমুকিত হাসান খাঁন-ডেপুটি নেজারত কালেক্টর -এনডিসি-মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান সহ প্রসাশনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
রেঞ্জ ডিআইজি বলেন দুর্ঘটনার খবর শুনে শুনে আমি ব্যথিত ও মর্মাহত-আমি সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি নাজিরপুরের নিহত ৪ জনের বাড়িতে যান এবং পরিবারের সবাইকে সমবেদনা জানান-
উল্লেখ্য,ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।