ইসমাইল ইমন
চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা.শাহাদাত হোসেন বলেছেন, শিক্ষাঙ্গনকে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য মুক্ত করতে হবে। আমরা বিগত ১৬ বছর ধরে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি দেশের গণতন্ত্র, ভোটার অধিকার, সন্ত্রাস মুক্ত নৈরাজ্যমুক্ত শিক্ষাঙ্গন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত ছিল। দীর্ঘ ১৬ টি বছর আওয়ামী লীগ প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছে। গত ১৬ বছরের শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু মান বৃদ্ধি পায়নি। শিক্ষার্থীরা বৈষম্য শিক্ষার হয়েছে।
রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। এমনকি শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস নৈরাজ্য সৃষ্টি করে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেছিল। দলীয়করণ মুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিবেশ তৈরি করতে পারলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা শিক্ষার পরিবেশ পাবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে শিক্ষাঙ্গনকে সন্ত্রাসমুক্ত করে শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কাজ করতে গিয়ে বিগত ১৬ বছরে অনেক ছাত্রদলের নেতাকর্মী নিহত হয়েছে এবং হামলা-নির্যাতনের শিকার হয়েছে । বিগত ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর শিক্ষাঙ্গনের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কাজ করে যাচ্ছে। গত এক মাস ধরে চট্টগ্রাম কলেজে আওয়ামী সন্ত্রাসী দোসরা শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ বিনষ্টের পাঁয়তারা চালাচ্ছে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষাঙ্গনের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য প্রিন্সিপালের নিকট অভিযোগ দিলেই তাদের উপর সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। যার প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম কলেজ এর যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল করীম আরিয়ান, শরীফুল ইসলাম আবির, আজিজুল হক নাঈম ভূইয়া, সদস্য শুয়াইবুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলামসহ ৮ থেকে ১০ জন ছাত্রদলের নেতা কর্মী আহত হয়েছেন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
তিনি ২৭ সেপ্টেম্বর -শুক্রবার- দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সন্ত্রাসী কর্তৃক আহত চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের নেতাদের কর্মীদের দেখতে গেলে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
ডা.শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, শিক্ষাঙ্গনের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। সন্ত্রাসী যারাই করুক না কেন তাদের ছাড় দেওয়া যাবে না। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা স্বৈরাচার মুক্ত একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। বৈষম্য কোথায় ও থাকবে না। কারো দখলের কোন শিক্ষাঙ্গন হতে দেওয়া যাবে না। সন্ত্রাসমুক্ত, নৈরাজ্যমুক্ত করে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। শিক্ষাঙ্গনের শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করতে, ছেলেমেয়েদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে, অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে, দলীয়করণ মুক্ত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ তৈরি করতে অভিভাবকদের সহযোগিতা করতে হবে, সরকারের প্রশাসনের সহযোগিতা করতে হবে, রাজনীতিবিদদের সহযোগিতা করতে হবে তবেই শিক্ষাঙ্গনে পরিবেশ সৃষ্টি হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ড্যাব চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি ডা: তমিজ উদ্দিন মানিক , চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. সারওয়ার আলম, বিএনপি নেতা জসিম উদ্দীন চৌধুরী,চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সালাহউদ্দীন সাহেদ, সাবেক যুগ্ন সম্পাদক আমজাদ হোসেন শাকিল, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক সাফরাজ নুরী সিজ্জি,সি: যুগ্ম আহবায়ক বোরহানুল হক,চকবাজার থানা ছাত্রদলের আহবায়ক আলাউদ্দীন আলো, সদস্য সচিব ইমরান লিটন,কলেজ যুগ্ন আহবায়ক রিদুয়ান আলী,শওকত হোসেন বিজয়,মনজুরন আলম প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।