মো.সাইদুল ইসলাম
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি।।
সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সারাদেশের ন্যায় তীব্র দাবদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মৌলভীবাজার কমলগঞ্জ শ্রীমঙ্গলের জনজীবন। শুধু তাই নয়, রাতেও ভ্যাপসা গরমে হাঁপিয়ে উঠছেন জেলার মানুষ। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গরমের স্বস্তি পেতে এ জেলায় হাজার হাজার পর্যটকের আনাগোনা হয়ে থাকে। চলতি বছরের মে থেকে শুরু হওয়া তাপপ্রবাহ দেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেলেও এ জেলার মানুষ অনেকটাই স্বস্তিতে ছিল।
শুক্রবার (২৪ মে) বিকাল ৩ টায় জেলার তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলমান এ তাপমাত্রা শনিবার থেকে কমতে শুরু করবে বলে জানিয়েছে শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিস। তবে গত ১৫ দিন ধরে এ জেলায় ৩৬-৩৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠানামা করছে।
এদিকে জেলা ঘুড়ে দেখা যায় অসহ্য গরমে কৃষি মাঠে, রিকশা ও বিভিন্ন ধরনের ছোট খাট গাড়ি চালকরা রাস্তায় বের হওয়া মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। এ অবস্থায় মানুষের জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। রাস্তায় বের হলে যেন চোখে-মুখে আগুনের তাপ লাগছে। গরমের কারণে রাস্তায় যানবাহন এবং সাধারণ মানুষের সংখ্যা কম দেখা গেছে।
কমলগঞ্জ এর আলীনগরের দিনমুজুর জলাল মিয়া ও প্রেমানন্দ দেব নাথ বলেন, ‘এই গরমে কষ্ট হলেও সংসারের কথা চিন্তা করে প্রতিদিন কাজে আসতে হয়। কাজে না আসলে সংসারের সবার না খেয়ে থাকতে হবে। আমাদের একা রুজিতে চলে সংসার।’
কৃষক রহমান শাকিল জানান, ‘এত দিন খুব বেশি গরম ছিল না। কিছুদিন থেকে অতিরিক্ত গরম পড়েছে। রোদটা সরাসরি গায়ে লেগে শার্টটা বা গেন্জী থাকলে ঘামে ভিজে গেছে। গরমের কারণে এক টানা ৩০ মিনিটও কাজ করতে পারি না। গরমে একেবারে ক্লান্ত হয়ে যাই। কিন্তু পেটের টানে তো বের হতে হয়।’
গরমে সন্তানদের নিয়ে হাঁপিয়ে উঠেছেন গৃহবধূ নাজমা আক্তার। তিনি বলেন, বাচ্চারা ঘরের বাইরে বের হতে চাচ্ছে না। লেখাপাড়াও ব্যাহত হচ্ছে।
এদিকে শ্রীমঙ্গলের আনারস,লেবু ও নাগামরিচ চাষি সামছুল হক জানান, গরম ও পানির কারনে ফসল ভালো ভাবে পরিচর্যা করতে পারছি না। অনেক ফসল নষ্ট হওয়ার উপক্রম।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সহকারী আবহাওয়াবিদ আনিসুর রহমান বলেন, ‘চলমান পরিস্থিতি আর হয়তো থাকবে না। আগামীকাল শনিবার থেকে নিন্ম চাপের কারনে বৃষ্টি হতে পারে। তখন আর এই তাপমাত্র থাকবে না।’
নোট: ছবি সংযুক্ত। ফাইল ছবি। রোদে কিছুটা স্বস্তির খোঁজে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর গল্ফ মাঠ লেকে গোসল আর পানিতে শিশুদের খেলায় মেতে ওঠার চিরচেনা দৃশ্য