Dhaka , Wednesday, 25 June 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
নলছিটিতে সড়ক সংস্কার ও পুনর্নির্মাণের দা’বিতে মা’নবব’ন্ধন ও মহাসড়ক অ’বরো’ধ হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজেই কা’টা হলো হাসপাতালের বি’দ্যুৎ! সৈয়দ নজরুল মে’ডিকেল কলেজ হা’সপাতা’লে ৩ ঘন্টা অ’চল স্বাস্থ্যসেবা দ্য স্কলারস ফোরাম ঢাকা’র বৃত্তি কার্যক্রম ২০২৫ এর শুভ উদ্বোধন এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ক’কটে’ল বি’স্ফোর’ণ: তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানালো এনসিপি সিলেট জেলা ও মহানগর শাখা ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দু’র্ঘটনা’য় বাবা-মেয়ে নি’হত নোয়াখালীতে ১১ মা’দকসে’বীর কা’রাদ’ন্ড কৃষ্ণ হাজংয়ের সার্বিক খোঁ’জখবর নিতে হা’সপাতা’লে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল রামগঞ্জ পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হলেন  যু’বদ’ল নে’তা পলাশ নলছিটিতে তা’মাক নিয়ন্ত্রণে বাজেট বরা’দ্দ ও বে’সরকা’রি সংগঠনগুলোর সম্পৃক্ততা নিয়ে আলোচনা সভা প্রাথমিক স্তরের বৃত্তি ছাত্রছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষায় উৎসাহিত করে ; সচিব কামরুজ্জামান রামগঞ্জে সাব ক্লাস্টার প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে ই’য়া’বাস’হ এক মা’দক কা’রবা’রিকে গ্রে’প্তার করেছে ডিবি হাতিয়ার মেঘনা নদীতে স্পিডবোট ডুবি: ২৮ যাত্রী সবাই জী’বিত উ’দ্ধার মেহেরপুরে ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত  কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘কাব কার্নিভাল ২০২৫ কোম্পানীগঞ্জে শিক্ষানুরাগী রমজান আলী রাজুর স্মরণে শোকসভা অনুষ্ঠিত বাবার মোটরসাইকেল থেকে প’ড়ে কলেজ ছাত্রীর মৃ’ত্যু আমাদের দেশপন্থী ও ভারতপন্থীদের যু’দ্ধ হবে’- মুফতী ফয়জুল করিম সোনাইমুড়ীতে দোকান দ’খল করে পাঠাগার, থা’নায় অভি’যোগ জামায়াত নেতাদের বি’রুদ্ধে লালমনিরহাটে জুলাই ওয়ারিয়র্সের বিক্ষোভ মি’ছিল ও স’মাবে’শ পঙ্কিল রা’জনী’তি বিশ্ববিদ্যালয় চ’ত্ত্বরে আনবেন না শিক্ষা উপদেষ্টা সাংবাদিকতা জগতে ও মানবিক কল্যাণে ফররুখ আহমদ চৌধুরীর অবদান  পাবনয় ২৫ কেজি গাঁ’জা, প্রাইভেট কারসহ মা’দক ব্যবসায়ী গ্রে’প্তার মা’দকের আস্তানা ও অসা’মাজি’ক কার্যকলাপের অভিযোগে হি’জরা’র ঘরে আ’গুন কালিয়াকৈরে স্মরণকালের গণজমায়েত, বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন ফরম বিতরণ অনুষ্ঠান  লালমনিরহাটে ইসলাম ধ’র্ম ও মহানবীকে নিয়ে কটূক্তির ঘ’টনা’য় মুসল্লিদের হাতে আ’টক ২ রূপগঞ্জে জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে  প্র’তিব’ন্ধী’দের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ  নলছিটিতে ইউপি চেয়ারম্যানের অ’পসা’রণ ও গ্রে’ফতা’রের দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ নলছিটিতে পরকীয়া ও স্বর্ণ চু’রির মা’মলায় প্রবাসীর স্ত্রী ও প্রেমিক গ্রে’ফতা’র, কা’রাগা’রে প্রেরণ কিশোরগঞ্জে দেওয়ানি মা’মলায় পরা’জ’য়ের জেরে নিজ ঘরে আ’গুন দিয়ে প্রতিপক্ষের ভি’রুদ্ধে মা’মলা

ঈদের ছুটির পর গার্মেন্টস খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত অপরিস্কার।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 08:24:57 pm, Tuesday, 20 July 2021
  • 187 বার পড়া হয়েছে

ঈদের ছুটির পর গার্মেন্টস খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত অপরিস্কার।

মোঃ সিরাজুল মনির ঢাকা।

গাজীপুর টঙ্গী এলাকার একটা গার্মেন্টস এর অপারেটর জিয়াউর রহমান। পরিবারের সঙ্গে ঈদুল আযহা উদযাপন করতে ময়মনসিংহে গ্রামের বাড়িতে যাবেন কি না— সেই সিদ্ধান্ত এখনও নিতে পারছেন না তিনি।

ঠিক তেমনি নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া এলাকায় একটি গার্মেন্টস এ অপারেটর হিসাবে কাজ করেন গাইবান্ধার আরিফুল ইসলাম সে অত্যন্ত দুঃখ করে বলল গত বছর ও বাড়ির পরিবারের সাথে ঈদ করতে পারিনি। এরা মালিকপক্ষ ও সরকারের রশি টানাটানির কবলে পড়ে গেছি। বুঝতে পারছিনা কি করব।

কারণ ঈদের ছুটি কত দিনের হবে, সে ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত নন। এ ছুটি যেমন তিন দিনের হতে পারে, তেমনি হতে পারে ১৭ দিনেরও।

এদের মতো আরও হাজারো পোশাক শ্রমিকের অবস্থাও একই। ২৩ তারিখ থেকে শুরু হতে যাওয়া ১৪ দিনের লকডাউনে সরকার কারখানা খোলা রাখার অনুমতি দিবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন তারা।

বিধিনিষেধ চলাকালে কারখানা বন্ধই থাকার কথা। কিন্তু, গার্মেন্ট ও টেক্সটাইল কারখানার মালিকরা ওই সময় কারখানা খোলা রাখার জন্য গত বুধবার থেকে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত যদি সরকার এতে রাজি না হয়, তবে অন্তত ৫ আগস্টের বদলে ১ আগস্ট থেকে কারখানা খোলার ব্যবস্থা করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা।

বিধিনিষেধ চলাকালে কারখানা খোলা রাখার আবেদনে সরকার সাড়া দিলে ঈদের দুদিন পর, অর্থাৎ ২৩ জুলাই লকডাউন শুরুর দিন থেকে কারখানায় উপস্থিত থাকতে হবে শ্রমিকদের। ফলে কেউ বাড়িতে গেলে তাকে ঈদের পরদিনই বাড়ি থেকে রওনা হতে হবে। এতে করে খুব অল্প সময় বাড়িতে থাকার সুযোগ পাবেন তারা।

আর যদি শ্রমিকদের ১ তারিখ থেকে কাজে ফিরতে হয়, তাতেও তাদের সমস্যায় পড়তে হবে। কারণ, ওই সময় বিধিনিষেধ চলমান থাকায় গ্রাম থেকে ফেরার মতো গণপরিবহন পাবেন না তারা।

গত বছর এমন পরিস্থিতি ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত হেঁটে কারখানায় ফিরতে হয়েছে তাদের। ফলে ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কায় এবার ঈদে অনেকে ঢাকাতেই থেকে যাবেন।

বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি তৌহিদুর রহমান জানান, বিধিনিষেধ ও কারখানা খোলা রাখা নিয়ে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তার কারণে এবার প্রায় ৩০ শতাংশ পোশাক শ্রমিক গ্রামের বাড়ি যাবেন না।

তিনি বলেন, ‘এ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে বিভ্রান্তি দূর করতে একটি স্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রয়োজন।

সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নাজমা আক্তার বলেন, লকডাউন চলাকালে বাস, ট্রেন ও লঞ্চসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় গ্রামে গিয়ে ফিরে আসতে শ্রমিকদের অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। তাই কারখানা খোলা রাখলে শ্রমিকদের নির্বিঘ্ন যাতায়াতের জন্য লকডাউনের কড়াকড়ি কমানো উচিত।

জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন বলেন, শ্রমিকদের বড় একটি দুশ্চিন্তার কারণ পরিবহন। যানবাহন না পেলে চাকরি বাঁচাতে অনেক শ্রমিককেই গত বছরের মতো গ্রাম থেকে পায়ে হেঁটে ঢাকায় ফিরতে হবে।

তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যক্রমে, কারখানা খোলার বিষয়ে এমন বিভ্রান্তিকর তথ্যের কারণে অনেক শ্রমিককে গত বছর ৫০ কিলোমিটারও হাঁটতে হয়েছে। আর যারা শরীরকে এতো ধকলে ফেলতে চাননি, তাদের দ্বিগুণ বা তিনগুণ ভাড়া দিয়ে কোনোমতে কর্মস্থলে ফিরেছেন।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘সরকারের কাছ থেকে কখন নির্দেশনা আসবে আমরা জানি না। আমরা আশা করছি সরকার লকডাউন শিথিল করবে। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তারা আমাদের আবেদন বিবেচনা নাও করতে পারে। তাই এখনও কিছুই পরিষ্কার নয়। যদিও সরকারি সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে। লকডাউনের জন‍্য জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ বিষয়ে কিছু উল্লেখ না থাকলেও আমরা আশাবাদী লকডাউন চলাকালীন গার্মেন্টস খোলা বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত আসবে।

পরিবহন সমস্যা, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয় এবং টিকা গ্রহণ—এ তিনটি কারণেই হয়তো বেশিরভাগ শ্রমিক এবার কর্মস্থল ত্যাগ করবেন না।

ফারুক হাসান জানান, গাজীপুরের দুটি কারখানায় গত রোববার থেকে পোশাক শ্রমিকদের গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। ১২ হাজারের বেশি শ্রমিক টিকা পেয়েছেন।

সমিতির সদস্য সব কারখানাকে যত দ্রুত সম্ভব শ্রমিকদের টিকা দিতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি। যেহেতু টিকা কার্যক্রম চলমান থাকবে তাই শ্রমিকরা অবস্থান থেকে না সরতে বলা হয়েছে।

ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

নলছিটিতে সড়ক সংস্কার ও পুনর্নির্মাণের দা’বিতে মা’নবব’ন্ধন ও মহাসড়ক অ’বরো’ধ

ঈদের ছুটির পর গার্মেন্টস খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত অপরিস্কার।

আপডেট সময় : 08:24:57 pm, Tuesday, 20 July 2021

মোঃ সিরাজুল মনির ঢাকা।

গাজীপুর টঙ্গী এলাকার একটা গার্মেন্টস এর অপারেটর জিয়াউর রহমান। পরিবারের সঙ্গে ঈদুল আযহা উদযাপন করতে ময়মনসিংহে গ্রামের বাড়িতে যাবেন কি না— সেই সিদ্ধান্ত এখনও নিতে পারছেন না তিনি।

ঠিক তেমনি নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া এলাকায় একটি গার্মেন্টস এ অপারেটর হিসাবে কাজ করেন গাইবান্ধার আরিফুল ইসলাম সে অত্যন্ত দুঃখ করে বলল গত বছর ও বাড়ির পরিবারের সাথে ঈদ করতে পারিনি। এরা মালিকপক্ষ ও সরকারের রশি টানাটানির কবলে পড়ে গেছি। বুঝতে পারছিনা কি করব।

কারণ ঈদের ছুটি কত দিনের হবে, সে ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত নন। এ ছুটি যেমন তিন দিনের হতে পারে, তেমনি হতে পারে ১৭ দিনেরও।

এদের মতো আরও হাজারো পোশাক শ্রমিকের অবস্থাও একই। ২৩ তারিখ থেকে শুরু হতে যাওয়া ১৪ দিনের লকডাউনে সরকার কারখানা খোলা রাখার অনুমতি দিবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন তারা।

বিধিনিষেধ চলাকালে কারখানা বন্ধই থাকার কথা। কিন্তু, গার্মেন্ট ও টেক্সটাইল কারখানার মালিকরা ওই সময় কারখানা খোলা রাখার জন্য গত বুধবার থেকে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত যদি সরকার এতে রাজি না হয়, তবে অন্তত ৫ আগস্টের বদলে ১ আগস্ট থেকে কারখানা খোলার ব্যবস্থা করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা।

বিধিনিষেধ চলাকালে কারখানা খোলা রাখার আবেদনে সরকার সাড়া দিলে ঈদের দুদিন পর, অর্থাৎ ২৩ জুলাই লকডাউন শুরুর দিন থেকে কারখানায় উপস্থিত থাকতে হবে শ্রমিকদের। ফলে কেউ বাড়িতে গেলে তাকে ঈদের পরদিনই বাড়ি থেকে রওনা হতে হবে। এতে করে খুব অল্প সময় বাড়িতে থাকার সুযোগ পাবেন তারা।

আর যদি শ্রমিকদের ১ তারিখ থেকে কাজে ফিরতে হয়, তাতেও তাদের সমস্যায় পড়তে হবে। কারণ, ওই সময় বিধিনিষেধ চলমান থাকায় গ্রাম থেকে ফেরার মতো গণপরিবহন পাবেন না তারা।

গত বছর এমন পরিস্থিতি ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত হেঁটে কারখানায় ফিরতে হয়েছে তাদের। ফলে ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কায় এবার ঈদে অনেকে ঢাকাতেই থেকে যাবেন।

বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি তৌহিদুর রহমান জানান, বিধিনিষেধ ও কারখানা খোলা রাখা নিয়ে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তার কারণে এবার প্রায় ৩০ শতাংশ পোশাক শ্রমিক গ্রামের বাড়ি যাবেন না।

তিনি বলেন, ‘এ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে বিভ্রান্তি দূর করতে একটি স্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রয়োজন।

সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নাজমা আক্তার বলেন, লকডাউন চলাকালে বাস, ট্রেন ও লঞ্চসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় গ্রামে গিয়ে ফিরে আসতে শ্রমিকদের অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। তাই কারখানা খোলা রাখলে শ্রমিকদের নির্বিঘ্ন যাতায়াতের জন্য লকডাউনের কড়াকড়ি কমানো উচিত।

জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন বলেন, শ্রমিকদের বড় একটি দুশ্চিন্তার কারণ পরিবহন। যানবাহন না পেলে চাকরি বাঁচাতে অনেক শ্রমিককেই গত বছরের মতো গ্রাম থেকে পায়ে হেঁটে ঢাকায় ফিরতে হবে।

তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যক্রমে, কারখানা খোলার বিষয়ে এমন বিভ্রান্তিকর তথ্যের কারণে অনেক শ্রমিককে গত বছর ৫০ কিলোমিটারও হাঁটতে হয়েছে। আর যারা শরীরকে এতো ধকলে ফেলতে চাননি, তাদের দ্বিগুণ বা তিনগুণ ভাড়া দিয়ে কোনোমতে কর্মস্থলে ফিরেছেন।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘সরকারের কাছ থেকে কখন নির্দেশনা আসবে আমরা জানি না। আমরা আশা করছি সরকার লকডাউন শিথিল করবে। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তারা আমাদের আবেদন বিবেচনা নাও করতে পারে। তাই এখনও কিছুই পরিষ্কার নয়। যদিও সরকারি সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে। লকডাউনের জন‍্য জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ বিষয়ে কিছু উল্লেখ না থাকলেও আমরা আশাবাদী লকডাউন চলাকালীন গার্মেন্টস খোলা বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত আসবে।

পরিবহন সমস্যা, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয় এবং টিকা গ্রহণ—এ তিনটি কারণেই হয়তো বেশিরভাগ শ্রমিক এবার কর্মস্থল ত্যাগ করবেন না।

ফারুক হাসান জানান, গাজীপুরের দুটি কারখানায় গত রোববার থেকে পোশাক শ্রমিকদের গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। ১২ হাজারের বেশি শ্রমিক টিকা পেয়েছেন।

সমিতির সদস্য সব কারখানাকে যত দ্রুত সম্ভব শ্রমিকদের টিকা দিতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি। যেহেতু টিকা কার্যক্রম চলমান থাকবে তাই শ্রমিকরা অবস্থান থেকে না সরতে বলা হয়েছে।