
তৌহিদ বেলাল।।
বনফুলের মতো একটি খ্যাতনামা মিষ্টান্নজাত প্রতিষ্ঠানে পঁচা মিষ্টি বিক্রি এবং মেয়াদোত্তীর্ণ রসমালাই মজুদ রাখায় মালিককে কারাগারে যেতে হয়েছে। ঘটনাটি পার্বত্য বান্দরবানের।
জানা যায়, বনফুল অ্যান্ড কোং বান্দরবান শাখার স্বত্বাধিকারী খোরশেদ আলমকে বুধবার (৫ জুলাই) বান্দরবানের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (প্রথম) বিচারক এএসএম এমরান কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
খোরশেদ আলম বান্দরবান পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত লোকমান হাকিমের পুত্র।
বান্দরবান আদালত পুলিশের পরিদর্শক (জিআরও শাখা) একে ফজলুল হক বলেন- ‘নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তার দায়ের করা মামলায় বনফুল অ্যান্ড কোং এর মালিক খোরশেদ আলমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত’।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ জুন দুপুর বারোটার দিকে বনফুল অ্যান্ড কোংয়ের বান্দরবান শাখায় অভিযান চালান নিরাপদ খাদ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা। এ সময় দোকানে পঁচা মিষ্টি ও মেয়াদোত্তীর্ণ রসমালাই পাওয়া যায়। এ ঘটনায় খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে বান্দরবানের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা শুভ্র দাশ। বুধবার অভিযুক্ত খোরশেদ আলম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা শুভ্র দাশ বলেন, ‘অভিযানের দিন বনফুলের ওই শাখায় পঁচা মিষ্টি ও মেয়াদোত্তীর্ণ রসমালাই পাওয়া যায়। এ জন্য আদালতে মামলা করা হয়েছিল। ওই মামলায় বনফুল অ্যান্ড কোং শাখার স্বত্বাধিকারী খোরশেদ আলমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে’