Dhaka , Wednesday, 5 February 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
নগরকান্দায় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিজ কার্যালয়কে বানিয়েছেন বাসস্থান নোয়াখালীতে থানার গোলঘরে মারামারি, আটক ৬ মেহেরপুরে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন লক্ষ্মীপুরে ১১ বছর পর বিএনপি নেতাকে ফেরত চেয়ে মানব বন্ধন   ‘অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে তিতাসে অভিযান’ গবিতে প্রথম  ক্যান্সার দিবস উদযাপন  গাজীপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন  সাভারে ইয়ামিনের লাশ উত্তোলন করতে এসে পরিবারের বাধায় ফিরে গেলেন ম্যাজিস্ট্রেট-পুলিশ দুর্গাপুর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়ন কৃষকদলের  কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত  মেহেরপুরে মাদক মামলা থেকে মুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন  সাতকানিয়ায় কৃষি জমির মাটি কাটার অভিযোগের ভিত্তিতে GBM ব্রিকফিল্ডে মোবাইল কোর্টের অভিযান এক লক্ষ টাকা জরিমানা ব্রাহ্মণ বাড়িয়া সরাইলে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত-২ নোয়াখালীতে শিশু ধর্ষণে চেষ্টার অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার মণিরামপুর উপজেলায় তিনদিন ব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি প্রদর্শনী মেলা শুরু নোয়াখালীতে বালুবাহী ট্রাকচাপায় তরুণের মৃত্যু  ৯৯৯ এ কল করে সহায়তা চেয়ে উল্টো এক পরিবারের ৭জনকে গ্রেপ্তারের অভিযোগ চরভদ্রাসন উপজেলায় গোপালপুর ঘাটে চলছে মাটি কাটার মহাউৎসব রূপগঞ্জে মেশিনারিজ দোকানে আগুন ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি গবিতে বিদ্যার দেবীর আরাধনা বাফুফেকে চট্টগ্রাম এম. এ আজিজ স্টেডিয়াম ২৫ বছরের ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত সাতকানিয়ায় SBL ব্রিকফিল্ডে মোবাইল কোর্টের অভিযান- পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে ক্যাম্পাসে দাবি দাওয়া পেশ করুন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান এই জাতির অস্তিত্ব পাওয়ার লড়াই শুরু করতে হবে- ডা.শফিকুর রহমান বাংলাদেশে অবৈধভাবে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে টাস্কফোর্স গঠন চরভদ্রাসনের চর হরিরামপুর ইউনিয়নের আমিন খাঁর হাটে সানফ্লাওয়ার প্রি- ক্যাডেট স্কুল এর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বায়ুদূষণ ও নিষিদ্ধ পলিথিন বিরোধী অভিযানে ৪০ লাখ টাকা জরিমানা, ১১ ইটভাটা বন্ধ সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম শিল্পীর পরিবারের উপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে, জড়িতদের বিচার দাবি করছে সিএমইউজে দাফনের ৬ মাস পর গণঅভ্যুত্থানে নিহত লক্ষ্মীপুরের রিপনের মরদেহ উত্তোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের পক্ষ হতে সরস্বতী পূজামন্ডপ পরিদর্শন কুয়েতকে আরো বেশি জনশক্তি নেয়ার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

শেরপুরের ঝিনাইগাতি সীমান্তে হাতির তান্ডবে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি – হতাশায় কৃষক

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 09:23:39 pm, Saturday, 25 March 2023
  • 206 বার পড়া হয়েছে

মোঃ রাকিবুল হাসান, শেরপুর প্রতিনিধি।।

শেরপুরের ঝিনাইগাতি সীমান্তে ভারত থেকে বন্য হাতি নেমে এসেছে এবং গত ২ দিন থেকে সীমান্তের বোর ফসলের উপর চলছে হাতির তান্ডব। এমন পরিস্থিতে সীমান্তের বোর চাষি ও প্রান্তিক কৃষকের ফসল নষ্ট হওয়ায় আতঙ্কে নিরঘুম রাত কাটাচ্ছে সীমান্তবাসী।

ইতি মধ্যেই বন্য হাতি সীমান্তের বহু জমির ফসল খেয়ে সাবার করে দিয়েছে। এমন অবস্থা দেখে সীমান্তের বাকি কৃষকদের ঘুম হারাম হয়ে পরেছে। সীমান্ত অঞ্চলের কৃষকরা ভাবছে তাদের ফসল ঘরে তুলতে পারবেনা। এ বছর বোর চাষ করতে বিগত বছরের তুলনায় দ্বিগুন খরচ হয়েছে কৃষকের।

কষ্ট অর্জিত উঠতি বোর ফসল বন্য হাতির কারনে ঘরে তুলতে না পারলে সীমাহিন কষ্টের মধ্যে পরবে সীমান্তের কৃষকেরা। গত ২ দিনে সীমান্তের আদিবাসী সম্প্রদায়ের গারো কুচ হাজং সহ আরো অনেক কৃষকের উঠতি বোর ফসল খেয়ে সাবার করে দিয়েছে। ধান খেত বাচাতে কৃষকেরা জীবনের ঝুকি নিয়ে রাত জেগে মশাল জালিয়ে রাত ভর ফসল রক্ষার চেষ্টা করছে। ইতি পূর্বে সীমান্তের কৃষকের ফসল ও ঘর-বাড়ি রক্ষা করতে গিয়ে হাতির পায়ে পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছে। দির্ঘ দিন থেকেই চলছে বন্য হাতি আর মানুষের মধ্যে চলছে বাচা মরার লড়াই।

দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বন্য হাতির এই তান্ডব চলছে। সীমান্তবর্তী অঞ্চলের এই বিপর্যয়ের মধ্যে মানুষ এমনিতেই চরম দূর্ভোগে রয়েছে এর মধ্যে আবার বন্য হাতির তান্ডবে সীমান্তবাসীর জীবন হতাশা ও সংকিত করে তুলেছে। দীর্ঘ সময় থেকে সীমান্ত অঞ্চলে বন্য হাতির তান্ডবে প্রাণহানী, পুঙ্গত্ব, বাড়ি-ঘর সহ বিভিন্ন ফসলের ব্যপক ক্ষতি সাধন করে চলেছে। অনেক পরিবারের লোকজন প্রাণহানীর ভয়ে অন্যত্রে পারি জমিয়েছে। কিন্তু অনেক দরিদ্র পরিবারের লোকজন ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকেরা বাপ দাদার ভিটে মাটি ছেড়ে যাওয়ার কোন সুযোগ না থাকায় জীবনের ঝুকি নিয়ে অত্র সীমান্ত অঞ্চলেই বসবাস করছে।

এই সীমান্তবাসীর উৎপাদন কৃত ফসল প্রায়ই হাতির খুরাক হয়। উৎপদন করেও কৃষকরা ফসল ঘরে তুলতে পারে না। পাকা ধান কাটার সময় নেমে আসে ভারত থেকে বন্য হাতির দল। এই সমস্ত বন্য হাতির দলের তান্ডবে তাদের উৎপাদিত ফসল সহ ঘর বাড়ির ক্ষয় ক্ষতি করার সময় লোকজন তাদের ফসল ও ঘরবাড়ি রক্ষার চেষ্টা করতে গিয়ে জীবন দিতে হয়। তার পরেও সীমান্তবাসীর উপায় না থাকায় জীবন মরণের ঝুকি নিয়েই বসবাস করতে হচ্ছে সীমান্তে। তাই সীমান্ত বাসীর দাবি তাদের জান মাল রক্ষায় সরকারি ভাবে সুরক্ষা নিশ্চিত করা দরকার। যদি তা না করা হয় ভারত থেকে নেমে আসা বন্য হাতির তান্ডবে মানুষের জান মাল রক্ষা করার কোন উপায় নেই। প্রায় এক যুগ ধরে অর্ধশত প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে শতাধিক বেক্তি পুঙ্গত্ব বরণ করেছে। এছাড়া কোটি কোটি টাকার কৃষকের উৎপাদিত ফসলের ক্ষতি সাধন করে চলেছে বন্য হাতির দল। রক্ষা করার কোন উপায় নেই!

ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

নগরকান্দায় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিজ কার্যালয়কে বানিয়েছেন বাসস্থান

শেরপুরের ঝিনাইগাতি সীমান্তে হাতির তান্ডবে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি – হতাশায় কৃষক

আপডেট সময় : 09:23:39 pm, Saturday, 25 March 2023

মোঃ রাকিবুল হাসান, শেরপুর প্রতিনিধি।।

শেরপুরের ঝিনাইগাতি সীমান্তে ভারত থেকে বন্য হাতি নেমে এসেছে এবং গত ২ দিন থেকে সীমান্তের বোর ফসলের উপর চলছে হাতির তান্ডব। এমন পরিস্থিতে সীমান্তের বোর চাষি ও প্রান্তিক কৃষকের ফসল নষ্ট হওয়ায় আতঙ্কে নিরঘুম রাত কাটাচ্ছে সীমান্তবাসী।

ইতি মধ্যেই বন্য হাতি সীমান্তের বহু জমির ফসল খেয়ে সাবার করে দিয়েছে। এমন অবস্থা দেখে সীমান্তের বাকি কৃষকদের ঘুম হারাম হয়ে পরেছে। সীমান্ত অঞ্চলের কৃষকরা ভাবছে তাদের ফসল ঘরে তুলতে পারবেনা। এ বছর বোর চাষ করতে বিগত বছরের তুলনায় দ্বিগুন খরচ হয়েছে কৃষকের।

কষ্ট অর্জিত উঠতি বোর ফসল বন্য হাতির কারনে ঘরে তুলতে না পারলে সীমাহিন কষ্টের মধ্যে পরবে সীমান্তের কৃষকেরা। গত ২ দিনে সীমান্তের আদিবাসী সম্প্রদায়ের গারো কুচ হাজং সহ আরো অনেক কৃষকের উঠতি বোর ফসল খেয়ে সাবার করে দিয়েছে। ধান খেত বাচাতে কৃষকেরা জীবনের ঝুকি নিয়ে রাত জেগে মশাল জালিয়ে রাত ভর ফসল রক্ষার চেষ্টা করছে। ইতি পূর্বে সীমান্তের কৃষকের ফসল ও ঘর-বাড়ি রক্ষা করতে গিয়ে হাতির পায়ে পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছে। দির্ঘ দিন থেকেই চলছে বন্য হাতি আর মানুষের মধ্যে চলছে বাচা মরার লড়াই।

দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বন্য হাতির এই তান্ডব চলছে। সীমান্তবর্তী অঞ্চলের এই বিপর্যয়ের মধ্যে মানুষ এমনিতেই চরম দূর্ভোগে রয়েছে এর মধ্যে আবার বন্য হাতির তান্ডবে সীমান্তবাসীর জীবন হতাশা ও সংকিত করে তুলেছে। দীর্ঘ সময় থেকে সীমান্ত অঞ্চলে বন্য হাতির তান্ডবে প্রাণহানী, পুঙ্গত্ব, বাড়ি-ঘর সহ বিভিন্ন ফসলের ব্যপক ক্ষতি সাধন করে চলেছে। অনেক পরিবারের লোকজন প্রাণহানীর ভয়ে অন্যত্রে পারি জমিয়েছে। কিন্তু অনেক দরিদ্র পরিবারের লোকজন ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকেরা বাপ দাদার ভিটে মাটি ছেড়ে যাওয়ার কোন সুযোগ না থাকায় জীবনের ঝুকি নিয়ে অত্র সীমান্ত অঞ্চলেই বসবাস করছে।

এই সীমান্তবাসীর উৎপাদন কৃত ফসল প্রায়ই হাতির খুরাক হয়। উৎপদন করেও কৃষকরা ফসল ঘরে তুলতে পারে না। পাকা ধান কাটার সময় নেমে আসে ভারত থেকে বন্য হাতির দল। এই সমস্ত বন্য হাতির দলের তান্ডবে তাদের উৎপাদিত ফসল সহ ঘর বাড়ির ক্ষয় ক্ষতি করার সময় লোকজন তাদের ফসল ও ঘরবাড়ি রক্ষার চেষ্টা করতে গিয়ে জীবন দিতে হয়। তার পরেও সীমান্তবাসীর উপায় না থাকায় জীবন মরণের ঝুকি নিয়েই বসবাস করতে হচ্ছে সীমান্তে। তাই সীমান্ত বাসীর দাবি তাদের জান মাল রক্ষায় সরকারি ভাবে সুরক্ষা নিশ্চিত করা দরকার। যদি তা না করা হয় ভারত থেকে নেমে আসা বন্য হাতির তান্ডবে মানুষের জান মাল রক্ষা করার কোন উপায় নেই। প্রায় এক যুগ ধরে অর্ধশত প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে শতাধিক বেক্তি পুঙ্গত্ব বরণ করেছে। এছাড়া কোটি কোটি টাকার কৃষকের উৎপাদিত ফসলের ক্ষতি সাধন করে চলেছে বন্য হাতির দল। রক্ষা করার কোন উপায় নেই!