মোঃ সৌরভ হোসাইন (সবুজ)
স্টাফ রিপোর্টার সিরাজগঞ্জ।।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় শাহজাহানপুর গ্রামের একটি বাঁশের ঝাড় থেকে আরাফাত হোসেন (২২) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে,উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার শাহজাহানপুর গ্রামের মতুর্জ হোসেনের ছেলে। আরাফাত একজন ভালো ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন।
মর্তুজ আরো জানান, আরাফাতের গলায় একটি চাদর ছিল। ঘাতকরা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ওই চাদর গলায় পেচিয়ে বাঁশ ঝাড়ের মধ্যে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়।
আরাফাতের পরিবার থেকে এই ঘটনাকে একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে জানিয়েছে তার পরিবার। অপরদিকে পুলিশ বলছে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত এটি হত্যা না আত্মহত্যা সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়।
আরাফাতের বাবা মতুর্জ হোসেন গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগ করেন, তার ছেলে একজন ভালো ফুটবল খেলোয়ার ছিল। বিভিন্ন ফুটবল খেলায় সে চুক্তিতে ফুটবল খেলতেন। একই সঙ্গে সে ভাংড়ির ব্যবসা করতো। ঘটনার দিন রাতে শাহজাহানপুর বাজারে পালা গানের আসর বসে। রাত ১০টার দিকে গ্রামের মৃত ছোরমান আলীর ছেলে বুদ্ধু নামের এক নেশাগ্রস্থ যুবক তাকে গানের অনুষ্ঠানে যাবার জন্য বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর আরাফাত রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। রাতেই আরাফাতকে হত্যা করা হয় বলে তার পিতা জানান। সকালে স্থানীয় লোকজন আরাফাতকে শাহজাহানপুর গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে বাঁশ ঝাড়ের একটি গাছের সাথে ফাঁসি নেওয়ার মতো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তার পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়। বিষয়টি দ্রুত থানা পুলিশকে জানানো হয়।
মর্তুজ আরো জানান, আরাফাতের গলায় একটি চাদর ছিল। ঘাতকরা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ওই চাদর গলায় পেচিয়ে বাঁশ ঝাড়ের মধ্যে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। তবে আরাফাতের দেহের নিম্নাংশ মাটিতে ঠেকানো অবস্থায় পাওয়া যায়। এতে তার পরিবার ধারনা করছে আরাফাতকে হত্যার পর ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য তার (আরাফাত) গায়ে থাকা চাদর দিয়ে ঘাতকরা ফাঁসির আদলে গাছে ঝুলিয়ে রাখে।
উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। আরাফাতকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেলেও তার পা মাটিতে ছিল। তবে এটি প্রকৃতই হত্যাকান্ড কিনা তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়। তবে পুলিশ উল্লিখিত নেশাগ্রস্থ বুদ্ধুকে উক্ত গ্রামে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত নিহত ব্যক্তির পরিবার থেকে থানায় কোন অভিযোগ দেওয়া হয়নি।