মোঃ রাকিবুল হাসান
শেরপুর প্রতিনিধি।।
শেরপুর জেলার সীমান্ত অঞ্চলে প্রকৃতির বৈরী আবহাওয়ার কারনে বোর চাষিরা নানা প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে বোর চাষের আবাদ সর্ম্পূণ করেছে। বৈরী আবহাওয়ার কারনে বোর বীজের ক্ষয়-ক্ষতি শ্রমিক সংকটের পর আবার বোর চাষে অতিরিক্ত ব্যায় বেড়ে যাওয়ায় বোর চাষিদের কষ্টের মধ্যে দিয়ে বোর চাষ করেছে। দির্ঘস্থায়ী শৈত প্রবাহ ঘন কুয়াশা ও প্রচন্ড ঠান্ডার করনে বোর চাষ মারাত্বক ভাবে বাধার মূখে পরে। নানা ধরনে সমস্যা কাটিয়ে উঠতে বোর চাষিদের হিমসিম খেতে হয়েছে। তারপরেও দমে থাকেনি বোর চাষিরা। কারন অত্র অঞ্চলের অধিকাংশ পরিবার কৃষি ফসলের উপর নির্ভরশীল। তাই উৎপাদিত ফসল দিয়ে নিজেদের পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বারতি ফসল বাজারে বিক্রি করে। অত্র এলাকার কৃষকের বারতি উৎপাদিত ফসল দিয়ে দেশের আভ্যান্তরীন চাহিদায় যুগান্তকারী ভূমিকা রাখে। যে কারনে অত্র এলাকা কৃষি ফসল উৎপাদন ভান্ডার হিসাবে পরিচিত। এলাকার কৃষকদের কাছ থেকে জানা যায় এ বছর বোর হাইব্রিড জাতের বোর চাষ করেছে, যেমনঃ তেজ-গোল্ড, হাইব্রিড-২৬, হাইব্রিড-২৮, হাইব্রিড-২৯, হিরা-১৯, হিরা-৪, শক্তি-১, শক্তি-১৪, সুপার গোল্ড, আফতাব ও এ.সি.আই গ্রæপের উন্নত জাতের বীজের চাষাবাদ করা হয়েছে। হাইব্রীড ছাড়াও উন্নত জাতের আরো অনেক জাতের বোর চাষাবাদ হয়েছে। এছাড়াও সরকারি ভাবে প্রান্তিক চাষি ও দরিদ্র কৃষকদের মাঝে হাইব্রিড বোর বীজ ও বিনামূল্যে সার কৃষি প্রণদনা হিসাবে প্রদান করা হয়েছে। এত দরিদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের বিনামূল্যে বোর বীজ ও সার পাওয়ায় বোর চাষে কৃষকরা অনেকটা উৎসাহি হয়েছে। কারন অত্র এলাকার অধিকাংশ কৃষক দরিদ্র ও প্রান্তিক চাষি। সরকারি এই কৃষি প্রনদনায় কৃষকদের জন্য বোর চাষে সহায়ক হয়েছে। ঝিনাইগাতি কৃষি সম্প্রসারন বিভাগ থেকে জানা যায় অত্র উপজেলায় ১৩ হাজার ৫শ” হেক্টর জমিতে বোর চাষের লক্ষমাত্রা। কিন্তু ধানের বাজার ভালো হওয়ায় লক্ষ মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি জমিতে বোর চাষ করেছে কৃষকেরা এমন ধারনা করা হচ্ছে বেসরকারি ভাবে। বর্তমানে চাষ কৃত বোর ফসল পরিচর্যায় সেচ ও সার বিষ প্রয়োগে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। তবে বোর চাষে খরচ বেড়ে যাওয়ায় দরিদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা আর্থিক সংকটে আছে। প্রতি একর বোর চাষে খরচ বেড়ে দারিয়েছে ৩৫/৪০ হাজার টাকা। বর্তমানে বোর ফসলের খেতের অবস্থান খুব ভালো। চাষাবাদ কৃত বোর ফসলের অবস্থান দেখে মনে হয় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা। ফসলের অবস্থা দেখে কৃষকের মুখে হাসি। যদি প্রকৃতিক দূর্যোগ না হয় তাহলে বোর উৎপাদন লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি ফলার সম্ভাবনা রয়েছে। ঝিনাইগাতি কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার, সম্প্রসারন বিভাগের কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন, নাদিয়া আক্তার ও কৃষি উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা খন্দকার মঞ্জুরুল হক, আল-আমিন এদের সাথে কথা হলে তারা জানান, চলতি বোর মৌসুমের উৎপাদিত ফসলের সার্বক্ষণিক খুজ খবর নেওয়া হচ্ছে। কৃষকের মাঠে মাঠে ফসলের সমস্যা বিষয়ক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যাতে কৃষকের ফসল উৎপাদন ব্যহত না হয় এই দিকে আমরা সর্বদায় নজর রাখছি। এছাড়াও কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার কৃষকরে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে পরিদর্শন করেন। এবং উৎপাদন যাতে ভালো হয় সে বিষয়ে নানা ধরনের পরামর্শ দেন কৃষকদের। কৃষি কর্মকর্তার এমন উৎসাহের কারণে কৃষকরা অনেকটাই সন্তুষ্ট।