স্টাফ রিপোর্টার ভোলা।।
অবশেষে চারদিন পরে হলেও সন্ধান মিলল ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় সরিষা খেতে গত পাঁচ দিন আগে পাওয়া এক অজ্ঞাত বৃদ্ধের লাশের। জানা যায়, যদিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কল্যাণে চারদিন পরে হলেও এই অজ্ঞাত লাশের পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
জানা যায়, মারা যাওয়া বৃদ্ধের নাম মোহাম্মদ আলী। তিনি ভোলা সদর উপজেলা রাজাপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর তুলাতলি গ্রামের বাসিন্দা। তার বড় ছেলে মো. জাকির হাওলাদার পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। তিনিসহ বৃদ্ধের আত্নীয়স্বজন শনিবার (২৮ জানুয়ারি) দক্ষিণ আইচা থানায় যান।
জাকির হাওলাদার জানান, গত ২২ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে বাড়ি থেকে পাঁচশ টাকা নিয়ে ভোলার উদ্দেশে বের হন তিনি। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ। তিনদিন অপেক্ষার পর ২৫ জানুয়ারি ওই বৃদ্ধের আত্নীয়স্বজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার ছবি দিয়ে একটি পোষ্ট দেন।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) ওই পোষ্টটি ভোলার একজন গণমাধ্যম কর্মীর নজরে আসে। এরপর তিনি বৃদ্ধের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওই বৃদ্ধের পরিবার ছবি দেখে লাশ নিশ্চিত করেন। এরপর শনিবার (২৮ জানুয়ারি) বৃদ্ধের দুই ছেলে ও এই প্রতিবেদকসহ তার আত্নীয়স্বজন দক্ষিণ আইচা থানায় যায় এবং ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন।
বৃদ্ধের মৃত্যুর ঘটনায় দক্ষিণ আইচা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তার স্বজনরা ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণ আইচা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রিয়াজুল ইসলাম মিলনের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও পুলিশের এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
গত ২৪ জানুয়ারি বিকেল ৩টার দিকে ভোলার দক্ষিণ আইচা থানা সংলগ্ন চর মানিকা ইউনিয়নের উত্তর চর মানিকা গ্রামের একটি সরিষা ক্ষেত থেকে বৃদ্ধ মোহাম্মদ আলীর মরদেহ উদ্ধার করে দক্ষিণ আইচা থানা পুলিশ।
লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্ত শেষে লাশের কোনো পরিচয় না পাওয়ার কারণে ২৫ জানুয়ারি লাশটি বেওয়ারিশ হিসেবে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম ভোলা শহরের আলিয়া মাদরাসা কবরস্থানে বেওয়ারিশ হিসেবে লাশটি দাফন করে।