
মোঃ রাকিবুল হাসান
শেরপুর প্রতিনিধি।।
শেরপুরের ঝিনাইগাতিতে দাদন ব্যবসায়িদের কাছে থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে গিয়ে নিস্ব হচ্ছে বহু দরিদ্র পরিবার। অত্র উপজেলার অধিকাংশ দরিদ্র পরিবারের লোকজনের বসবাস। এদের মধ্যে দরিদ্র কৃষক ও প্রান্তিক চাষির সংখ্যা অধিক পাশাপাশি রয়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি ছোট-খাটো সরকারি বেসরকারি চাকরিজীবি সহ অনেক শ্রমজীবি লোক। টাকার প্রয়োজনে সংসারের বিভিন্ন কাজে কিংবা ব্যবসায়িক কাজে এবং কি বেক্তিগত প্রয়োজনে টাকা জোগাড় করতে না পেরে বাধ্য হয়ে সুদখোর মহাজনদের থেকে চড়া সুদে ঋণ নিতে বাধ্য হয়। ঋণ দেওয়ার সময় ঋণ গ্রহিতার কাছে থেকে ব্যাংকের চেকের পাতায় টাকার অংকের ঘর খালি রেখে উক্ত চেকের পাতায় ঋণ গ্রহিতার সাক্ষর রেখে ঋণের টাকা প্রদান করে। আবার অনেক সময় সুদখোর মহাজন ৩শ” টাকার স্টেম্পে সাক্ষর রেখে এবং কি জমির দলিল জমা রেখে ঋণ দেয়। এই সমস্ত দাদন ব্যবসায়িরা দৈনিক, সপ্তাহিক ও মাসিক শত করা সুদের হার যুক্ত করে ঋণের টাকা প্রদান করে। উক্ত টাকা উল্লেখিত নিয়ম অনুযায়ি দিতে ব্যর্থ হলে ঋণ গ্রহিতার উপর চলে নানা রকম জোর জুলুম। প্রকাশ থাকে যে কৃষকেরা তাদের মৌসুম সময় ধান পাট বা সবজী উৎপাদনের প্রয়োজনে সার বিষ ও শ্রমিকের বেতন ভাতা পরিশোধ করতে টাকার বিশেষ প্রয়েজন হলে এই সমস্ত সুদখোর মহাজনদের কাছে থেকে তাদের শর্তে ঋণ গ্রহন করে। ছোট খাটো ব্যবসায়িরাও ব্যবসার বিশেষ প্রয়োজনে ঋণ নিয়ে থাকে। উক্ত ঋণের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাদের সেই শর্ত সাপেক্ষে সাক্ষরিত চেক বা স্টেম্পের সাক্ষ্য দারা ঋণ গ্রহিতার বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলা হামলা শুরু হয়ে যায়। অনেকেই মামলা হামলার ভয়ে জমি-জমা ঘর-বাড়ি দোকান বিক্রি করে ঋণের সুদে আসলে কয়েগুন বারতি টাকা পরিশোধ করে নিস্ব হয়ে পরে। অনেকেই আবার ঋণের টাকা পরিশোধ না করতে পেরে বাড়ি-ঘর ছেড়ে অন্যত্রে পারি জমায়। এভাবে বহু লোক সুদখোর মহাজনদের হাতের খপ্পরে পড়ে নিস্ব হয়ে গেছে। সুদখোর মহাজনেরা এতটাই প্রভাবশালী যে তাদের বিরুদ্ধে এলাকার কোন লোক মূখ খুলতে সাহস পায় না। তাই অত্র এলাকায় দরিদ্র অসহায় পরিবারদের ঋণ দিয়ে সহায়তার কথা বলে অবশেষে ঋণের সুদে আসলে পরিশোধ করে নিস্ব হচ্ছে দরিদ্র পরিবার।