Dhaka , Tuesday, 7 January 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
ঝিনাইগাতীতে ৩০০ বোতল ফেনসিডিল সহ ১ যুবক গ্রেফতার।। ফরিদপুরের মধুখালী ডুমাইন ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা আহত ঘটনায় গ্রেফতার -১।। ফরিদপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত।। দেবহাটা উপজেলা জামায়াতের বার্ষিক পরিকল্পনা ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম।। ব্যাটারি চুরির অপবাদে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যুবককে পিটিয়ে হত্যা।। কিশোরগঞ্জে ৪ বছরের মেয়েকে দর্শনের চেষ্টা করে ফজলুর রহমান।। সাংবাদিকদের সাথে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সভা একগুচ্ছ সুপারিশ।। রূপগঞ্জ পূর্বাচলে অজ্ঞাত নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার।। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শীত উপহার বিতরণ।। ২৯ বছর পালিয়ে থাকা হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার করলো র‍্যাব।। বদরখালীতে সিএনজি থেকে নামিয়ে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ।। ভোলা সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল জামিয়াতুল হামিউচ্ছুন্নাহ মাদ্রাসায় বার্ষিক পরীক্ষা ফলাফল প্রকাশ।। আড়িয়াল খাঁ-নদের  ওপর সেতু না থাকায়  দুর্ভোগে দুই জেলার হাজারো মানুষ।। মোংলায় কম্বল নিয়ে অসহায়দের পাশে ইউএনও আফিয়া শারমিন।। সুন্দরগঞ্জে ৮০ হাসকিং চাতাল বন্ধ।। নরসিংদীর শিবপুরে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালী অনুষ্ঠিত।। পাইকগাছায় তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা।। লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে তিন অবৈধ ইটভাটার ৫ লাখ টাকা জরিমানা।।  চাঁদাবাজির অডিও ক্লিপ ফাঁস যুবদল নেতা বহিষ্কার।। কোম্পানীগঞ্জের ইউএনওর নম্বর ক্লোন করে শিক্ষকের কাছে টাকা দাবি।। লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থেকে দেশীয় অস্ত্র এলজি উদ্ধার যুবক আটক।। অনলাইনে চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ ন্যাশনাল সিকিউরিটি সার্ভিসের বিরুদ্ধে।। আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি- আবু বকর সিদ্দিক ক্লোজ।। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা তরুণ দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে রাসেলের বিশাল শোডাউন। হাটহাজারিতে মীর নোয়াবুল হক মেমোরিয়াল হাইস্কুলে বই বিতরণ।। ফরিদপুরের নগরকান্দায় গলা কেটে হত্যার পর লাশ মাটিচাপা পুলিশের উদ্ধার।। সৈয়দপুরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ও ডিমলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সায়েম গ্রেপ্তার।। লক্ষ্মীপুরে পিক-আপ গাড়ির চাপায় প্রাণ গেল শিশুর।। দেবহাটায় কুলিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের কমিটি গঠন ও কর্মী সমাবেশ।। ঘুমধুমে ইউনিয়নে উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ অভিযান ৪ লক্ষ ইট জব্দ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা।।

কি সুবিধায় চলছে ইটভাটা? অতিরিক্ত কার্বণ-ডাই অক্সাইডের কারণে ফসল ও এলাকার পরিবেশ নষ্ট

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 09:46:56 pm, Tuesday, 22 March 2022
  • 373 বার পড়া হয়েছে

কি সুবিধায় চলছে ইটভাটা? অতিরিক্ত কার্বণ-ডাই অক্সাইডের কারণে ফসল ও এলাকার পরিবেশ নষ্ট

মেহেরপুর প্রতিনিধি।।

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার প্রাপ্ত তথ্যমতে গাংনী উপজেলায় মোট ৩৮ টি ইটভাটা রয়েছে। যার একটিরও কোন অনুমোদন নেই। ইটভাটা গুলোতে গড়ে একদিনে ১০ হাজার মন জ্বালানী হিসাবে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে । ছড়াচ্ছে বিভিন্ন রোগবালাই । এতে পরিবেশ যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনি নষ্ট হচ্ছে আবাদী জমি, উজাড় হচ্ছে গাছ পালা, ভারসাম্য হারাচ্ছে প্রকৃতি। পরিবেশ অধিদপ্তর মাস তিনেক আগে কয়েকটি ইটভাটায় অভিযান চালায়। এর পর আর তাদের দেখা মেলেনি। অভিযানের পর ভাটা চালু থাকলেও এর প্রভাব পড়েছে ভোক্তাদের উপর। ইটের দাম বেড়ে হয়েছে প্রায় দেড়গুন। ইটের পরিমাপ দৈর্ঘ প্রস্থ্য নিয়েও রয়েছে নানা অভিযোগ। তবে ক্রেতা ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্মকর্তাদের কোন কার্যক্রম চোখে পড়ার মতো নেই।

প্রভাবশালী ব্যক্তিরা প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে ক্ষমতার জোরে ইটভাটা তৈরী করেছে। সচেতন মহলের অভিযোগ, যেখানে সেখানে ইটভাটা তৈরী হওয়ায় আবাদী জমিগুলো নষ্ট হচ্ছে। একটি ইটভাটা তৈরী করতে কমপক্ষে ৭/৮ একর জমির প্রয়োজন হয়। অনেক সময় মাটির প্রয়োজন হলে এলাকার লোকজনের কাছ থেকে আবাদি জমির উপরের এক থেকে দেড়ফুট মাটি কেটে ইট তৈরী করে। এতে ফসলী জমির উর্বরা শক্তি নষ্ট হয়। শুধু তাই নয়, ইটভাটার নির্গত কালো ধোয়ায় এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে ও আশপাশের আবাদি জমির ফসল নষ্ট হচ্ছে। কোন ইটভাটায় অনুমতিপত্রের শর্তনুযায়ী কয়লা ব্যবহার করা হয় না । ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠ। বিশেষ করে ফলজ ও বনজ বৃক্ষ ছাড়াও বাঁশের মোথা ব্যবহারের ফলে বাঁশঝাড় উজাড় হচ্ছে। বেশ কয়েকটি ভাটায় স্থাপন করা হয়েছে অস্থায়ী কাঠ ফাড়ায় করা (স’) মিল।
ইটপোড়ানো নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৮৯ ও ২০০১ সনের ১৭ নং অনুচ্ছেদের ৪ ও ৫ ধারায় উল্লেখ রয়েছে যে, আবাদি জমিতে কোন ইটভাটা তৈরী করা যাবেনা। এছাড়াও কাঠ পোড়ানো যাবেনা। অথচ সকল ইটভাটায় কয়লার বদলে কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে। মাঝে মধ্যে প্রশাসনের লোকজন জরিমানা আদায় করলেও ইটভাটা বন্ধ করেনা। ফলে প্রভাবশালীরা প্রতি বছর নতুন নতুন ইটভাটা তৈরী করছে। স্থানীয়রা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, প্রতি বছর পরিবশে অধিদপ্তর ও ভাটামালিকদের যোগসাজসে নাম মাত্র অভিযান চালানো হয়। পরে আবার সব ভাটায় চালু থাকে। যে কয়েকটি ভাটায় জরিমানা করা হয় সেই জরিমানার টাকা সব ভাটার ওপর সমান ভাগে ভাগ করে দেয় মালিক সমিতি।

সদর উপজেলার রামদাসপুর গ্রামের ইটভাটা মালিক নজরুল ইসলাম জানান, আমরা ভ্যাট দিচ্ছি ও বিভিন্ন ফান্ডে টাকা দিচ্ছি কিন্তু অনুমোদন মিলছেনা। আমাদের ভাটা যদি অবৈধ হয় তাহলে ভ্যাট অফিস রশিদ দিয়ে টাকা আদায় করছেন কিভাবে।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার রেজা জানান, ইটভাটায় নির্গত কালো ধোয়ায় মানুষের শ্বাসকষ্ট, হাপানি, ক্যান্সারসহ নানা রোগের সৃষ্টি হয়। তাছাড়া অতিরিক্ত কার্বণ-ডাই অক্সাইডের কারণে ফসল ও এলাকার পরিবেশ নষ্ট হয়।অনতি বিলম্বে পরিবেশ রক্ষায় প্রশাসনিক পদক্ষেপ জরুরী।

ক্রেতারা জানান, মাস তিনেক আগে পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযান চালানোর সময় এক নম্বর ইটের দাম ছিল প্রতি হাজার ১৪ হাজার টাকা। বর্তমানে দাম বেড়ে দাড়িয়েছে ১৮ হাজার টাকা। অভিযানের পরপরই দাম বেড়ে গেছে। ৬টি ইটভাটায় অভিযান জালিয়ে জরিমানা করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তর। পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান অব্যাহত থাকার কথা থাকলেও অদ্যবধি আর কোনো অভিযান হয়নি। ফলে অভিযান নিয়েও বিতর্ক তুলছেন বিভিন্ন মহল। অভিযানঅভিযানের পর আর কোন অভিযান পরিচালিত হয়নি। অজ্ঞাত কারণে থমকে গেছে।
একটি সুত্র জানায়, প্রতি বছরই ইটভাটা মালিকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা উত্তোলন করেন মালিক সমিতি। এ টাকা দিয়েই সব দপ্তরকে ম্যানেজ করতে হয়। এদিকে ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি এনামুল হক জানান, জেলা প্রশাসকের দপ্তরে আবেদন জানানো হয়েছে কিন্তু অনুমোদন মেলেনি। সব জায়গাতে কথা বলে ম্যানেজ করেই ইটভাটা চালানো হয়। কাকে কিভাবে ম্যানেজ করেন তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন তিনি।

কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আতাউর রহমান জানান, অভিযানের জন্য একজন ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজন হয়। এর জন্য জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে পত্র দেয়া হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট পাওয়া গেলে অভিযান চালানো হবে।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খামন বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে আমার কাছে আবেদন করেনি। আবেদন পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

 

 

ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

ঝিনাইগাতীতে ৩০০ বোতল ফেনসিডিল সহ ১ যুবক গ্রেফতার।।

কি সুবিধায় চলছে ইটভাটা? অতিরিক্ত কার্বণ-ডাই অক্সাইডের কারণে ফসল ও এলাকার পরিবেশ নষ্ট

আপডেট সময় : 09:46:56 pm, Tuesday, 22 March 2022

মেহেরপুর প্রতিনিধি।।

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার প্রাপ্ত তথ্যমতে গাংনী উপজেলায় মোট ৩৮ টি ইটভাটা রয়েছে। যার একটিরও কোন অনুমোদন নেই। ইটভাটা গুলোতে গড়ে একদিনে ১০ হাজার মন জ্বালানী হিসাবে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে । ছড়াচ্ছে বিভিন্ন রোগবালাই । এতে পরিবেশ যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনি নষ্ট হচ্ছে আবাদী জমি, উজাড় হচ্ছে গাছ পালা, ভারসাম্য হারাচ্ছে প্রকৃতি। পরিবেশ অধিদপ্তর মাস তিনেক আগে কয়েকটি ইটভাটায় অভিযান চালায়। এর পর আর তাদের দেখা মেলেনি। অভিযানের পর ভাটা চালু থাকলেও এর প্রভাব পড়েছে ভোক্তাদের উপর। ইটের দাম বেড়ে হয়েছে প্রায় দেড়গুন। ইটের পরিমাপ দৈর্ঘ প্রস্থ্য নিয়েও রয়েছে নানা অভিযোগ। তবে ক্রেতা ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্মকর্তাদের কোন কার্যক্রম চোখে পড়ার মতো নেই।

প্রভাবশালী ব্যক্তিরা প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে ক্ষমতার জোরে ইটভাটা তৈরী করেছে। সচেতন মহলের অভিযোগ, যেখানে সেখানে ইটভাটা তৈরী হওয়ায় আবাদী জমিগুলো নষ্ট হচ্ছে। একটি ইটভাটা তৈরী করতে কমপক্ষে ৭/৮ একর জমির প্রয়োজন হয়। অনেক সময় মাটির প্রয়োজন হলে এলাকার লোকজনের কাছ থেকে আবাদি জমির উপরের এক থেকে দেড়ফুট মাটি কেটে ইট তৈরী করে। এতে ফসলী জমির উর্বরা শক্তি নষ্ট হয়। শুধু তাই নয়, ইটভাটার নির্গত কালো ধোয়ায় এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে ও আশপাশের আবাদি জমির ফসল নষ্ট হচ্ছে। কোন ইটভাটায় অনুমতিপত্রের শর্তনুযায়ী কয়লা ব্যবহার করা হয় না । ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠ। বিশেষ করে ফলজ ও বনজ বৃক্ষ ছাড়াও বাঁশের মোথা ব্যবহারের ফলে বাঁশঝাড় উজাড় হচ্ছে। বেশ কয়েকটি ভাটায় স্থাপন করা হয়েছে অস্থায়ী কাঠ ফাড়ায় করা (স’) মিল।
ইটপোড়ানো নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৮৯ ও ২০০১ সনের ১৭ নং অনুচ্ছেদের ৪ ও ৫ ধারায় উল্লেখ রয়েছে যে, আবাদি জমিতে কোন ইটভাটা তৈরী করা যাবেনা। এছাড়াও কাঠ পোড়ানো যাবেনা। অথচ সকল ইটভাটায় কয়লার বদলে কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে। মাঝে মধ্যে প্রশাসনের লোকজন জরিমানা আদায় করলেও ইটভাটা বন্ধ করেনা। ফলে প্রভাবশালীরা প্রতি বছর নতুন নতুন ইটভাটা তৈরী করছে। স্থানীয়রা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, প্রতি বছর পরিবশে অধিদপ্তর ও ভাটামালিকদের যোগসাজসে নাম মাত্র অভিযান চালানো হয়। পরে আবার সব ভাটায় চালু থাকে। যে কয়েকটি ভাটায় জরিমানা করা হয় সেই জরিমানার টাকা সব ভাটার ওপর সমান ভাগে ভাগ করে দেয় মালিক সমিতি।

সদর উপজেলার রামদাসপুর গ্রামের ইটভাটা মালিক নজরুল ইসলাম জানান, আমরা ভ্যাট দিচ্ছি ও বিভিন্ন ফান্ডে টাকা দিচ্ছি কিন্তু অনুমোদন মিলছেনা। আমাদের ভাটা যদি অবৈধ হয় তাহলে ভ্যাট অফিস রশিদ দিয়ে টাকা আদায় করছেন কিভাবে।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার রেজা জানান, ইটভাটায় নির্গত কালো ধোয়ায় মানুষের শ্বাসকষ্ট, হাপানি, ক্যান্সারসহ নানা রোগের সৃষ্টি হয়। তাছাড়া অতিরিক্ত কার্বণ-ডাই অক্সাইডের কারণে ফসল ও এলাকার পরিবেশ নষ্ট হয়।অনতি বিলম্বে পরিবেশ রক্ষায় প্রশাসনিক পদক্ষেপ জরুরী।

ক্রেতারা জানান, মাস তিনেক আগে পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযান চালানোর সময় এক নম্বর ইটের দাম ছিল প্রতি হাজার ১৪ হাজার টাকা। বর্তমানে দাম বেড়ে দাড়িয়েছে ১৮ হাজার টাকা। অভিযানের পরপরই দাম বেড়ে গেছে। ৬টি ইটভাটায় অভিযান জালিয়ে জরিমানা করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তর। পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান অব্যাহত থাকার কথা থাকলেও অদ্যবধি আর কোনো অভিযান হয়নি। ফলে অভিযান নিয়েও বিতর্ক তুলছেন বিভিন্ন মহল। অভিযানঅভিযানের পর আর কোন অভিযান পরিচালিত হয়নি। অজ্ঞাত কারণে থমকে গেছে।
একটি সুত্র জানায়, প্রতি বছরই ইটভাটা মালিকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা উত্তোলন করেন মালিক সমিতি। এ টাকা দিয়েই সব দপ্তরকে ম্যানেজ করতে হয়। এদিকে ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি এনামুল হক জানান, জেলা প্রশাসকের দপ্তরে আবেদন জানানো হয়েছে কিন্তু অনুমোদন মেলেনি। সব জায়গাতে কথা বলে ম্যানেজ করেই ইটভাটা চালানো হয়। কাকে কিভাবে ম্যানেজ করেন তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন তিনি।

কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আতাউর রহমান জানান, অভিযানের জন্য একজন ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজন হয়। এর জন্য জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে পত্র দেয়া হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট পাওয়া গেলে অভিযান চালানো হবে।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খামন বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে আমার কাছে আবেদন করেনি। আবেদন পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।