
শওকত আলম, কক্সবাজার:
জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে কক্সবাজারে পালন করা হয়েছে ৭৭তম বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। প্রতি বছরের মতো এবারও ১০ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষার অঙ্গীকার, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সারাবিশ্বে নানা কর্মসূচি পালিত হয়। ১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতিসংঘ মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র গ্রহণ করে এবং ১৯৫০ সাল থেকে ১০ ডিসেম্বর দিনটি ‘বিশ্ব মানবাধিকার দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এ বছরের প্রতিপাদ্য ছিল— “জনবান্ধব রাজনৈতিক দাবিতে”।
হিউম্যান এইড ইন্টারন্যাশনাল কক্সবাজার জেলা কমিটির উদ্যোগে দিবসটি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, মানববন্ধন ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর ২০২৫) সকাল ১১টায় কক্সবাজার শহীদ মিনার পয়েন্ট থেকে শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কসমূহ প্রদক্ষিণ করে পুনরায় শহীদ মিনার চত্বরে সমবেত হয়। পরে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন হিউম্যান এইড ইন্টারন্যাশনাল কক্সবাজার জেলা কমিটির সভাপতি খোরশেদ আলম এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক নুরুল হোসাইন।
আলোচনায় বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ-সভাপতি কেফায়েত উল্লাহ সাজ্জাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আমানুল ইসলামসহ হিউম্যান এইডের সহ-সভাপতি জামাল হোসেন, আবু বক্কর ছিদ্দিক, মো. বেলাল, মানবাধিকার কর্মী মো. সুমানুল হক সুমন, আব্দু রহিম বাবু, একে আবুল কালাম আজাদ, নাছিমা আক্তার ও হাফেজ হাফিজ উদ্দিন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন হিউম্যান এইড কক্সবাজার জেলা শাখার নেছার আহমদ, মো. ইসমাইল, গিয়াস উদ্দিন, ফয়েজুল করিম, নেজাম উদ্দিন, জোবাইদা আকতার, মো. জুলফিকার ভুট্রো, মো. শাহরিয়ার মানিক, সাইমুন আকতার ইমান, হাফিজ উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, মো. রাসেল আলী তালুকদার, ইউছুপ আলীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ।
সাধারণ সম্পাদক নুরুল হোসাইন তার বক্তব্যে বলেন—
“হিউম্যান এইড সবসময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সোচ্চার। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বন্ধে সচেতনতা সৃষ্টি, দারিদ্র্য দূরীকরণ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় প্রতিষ্ঠানটি আপোষহীন ভূমিকা পালন করছে।”
সিনিয়র সহ-সভাপতি কেফায়েত উল্লাহ সাজ্জাদ বলেন—
“মৌলিক অধিকার নিশ্চিত না হলে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। হিউম্যান এইড মানবিক ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে কাজ করে যাচ্ছে।”
সভাপতি খোরশেদ আলম বলেন—
“মানবাধিকার শুধু একটি দিবসের আলোচনার বিষয় নয়, বরং এটি মানুষের জন্মগত অধিকার। দুর্বল ও নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।”
তিনি আরও বলেন—
“বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উদযাপনে কক্সবাজার জেলা কমিটির কার্যক্রম প্রশংসনীয়।”
আলোচনা শেষে উপস্থিত সকল নেতাকর্মীর জন্য দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।
সার্বিকভাবে শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর ও অংশগ্রহণমূলক পরিবেশে কক্সবাজারে ৭৭তম বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালিত হয়।

























