Dhaka , Wednesday, 6 August 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
ডাইং কারখানা বিষাক্ত বর্জ্যরে পনিতে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তি বছরজুড়ে রূপগঞ্জে ক্ষিপ্ত হয়ে পানির পাইপ বন্ধ করে দিলো এলাকাবাসী সোনারগাঁ’য়ে চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ১ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিজয় র‍্যালি অনুষ্ঠিত মির্জাপুরে ৩৬ জুলাই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে বিজয় মিছিল পাবনায় মসজিদের নির্মাণকাজ নিয়ে সংঘর্ষে আহত আরও একজনের মৃত্যু চালকের চোখে ঘুম……মাইক্রোবাস খালে পড়ে একই পরিবারের ৭জনের মৃত্যু কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের মরদেহ নোয়াখালী -৪ আসন থেকে দুটি ইউনিয়ন বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ তিতাসে ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের ১ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিজয় র‍্যালী উদযাপন চন্দনাইশে সেনাবাহিনীর অভিযানে বাংলা মদ ও গাঁজাসহ আটক ২ কক্সবাজার ত্যাগ করেছেন এনসিপি’র শীর্ষ নেতারা, দল থেকে শোকজ নোটিশ  রূপগঞ্জে পরিষদ ভবন/সড়ক ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন রূপগঞ্জে টানা বর্ষণে ত্রিশ গ্রামে জলাবদ্ধতায় প্লাবিত, লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি পোকখালী ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছৈয়দ নুর: দায়িত্বশীল নেতৃত্বে আস্থা স্থানীয়দের জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ২০২৫: কক্সবাজারে শ্রদ্ধা, স্মরণ ও শপথে অনন্য পালিত অবস্থান থেকে অবরোধ: নগর জীবনে এর প্রভাব ও দায়িত্বশীলতার প্রশ্ন লালমনিরহাট ও দিনাজপুরে র‍্যাবের পৃথক অভিযানে অভিযানে মাদক জব্দসহ গ্রেপ্তার ৪ ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সহযোগিতায়  চতুর্থ ধাপে ৪৬ জনের চোখের অপারেশন সম্পন্ন দুর্গাপুরে ৪ শহীদদের স্মরণে গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি স্মরণে দুর্গাপুরে ছাত্র ইউনিয়নের সমাবেশ অনুষ্ঠিত পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে কলমাকান্দায় চা দোকানি খুন নির্বাচনের আগে এসপি-ওসিদের বদলি হবে লটারির মাধ্যমে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চালকের ঘুমেই সর্বস্বান্ত হলোএকই পরিবারের ৭ টি তাজা প্রাণ হিলভিউ আবাসিক এলাকার দালিলিক ইতিহাস, আবাসনের অনন্য এলাকা “স্মৃতিতে জুলাই” সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও পুরষ্কার বিতরণী সভায় প্রধান অতিথি ডাক্তার শাহাদাত হোসেন বলেন,গণঅভ্যুত্থানের অর্জন ধরে রাখতে হবে চট্টগ্রামে জুলাই গনঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে প্রেসক্লাবের সমাবেশে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় জুলাই অভ্যূত্থানে ছাত্র-জনতা জীবন ও রক্ত দিয়েছিলো- পীর সাহেব চরমোনাই ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের বর্ষপূর্তিতে সরাইলে জনতার উল্লাস দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই’২৪ গণহত্যার বিচার করতে হবে————-জাহাঙ্গীর কবির সুন্দরগঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে বিএনপি ও জামায়াতের র‌্যালি সমাবেশ  হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালিত।

হিলভিউ আবাসিক এলাকার দালিলিক ইতিহাস, আবাসনের অনন্য এলাকা

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 05:33:20 pm, Wednesday, 6 August 2025
  • 25 বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

প্রায় ৪৫ বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠিত এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হিলভিউ আবাসিক এলাকাটি চট্টগ্রাম মহানগরীর মধ্যে অন্যতম পরিচিত একটি আবাসিক এলাকা হয়। এখানে ৩ শতাধিক বহুতল ভবন নির্মিত হয়েছে ও ১০০ এর বেশি ভবনের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে এবং ভবনগুলোতে প্রায় ৩০ হাজারের মত লোক বসবাস করছে। হিলভিউ আবাসিকের ভূমি ১০০ বছরের ইতিহাসে কখনও সরকারি খাস সম্পত্তি ছিল না। আর এস; পিএস; বিএস ভূমি জরিপে এই ভূমি ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তি হিসেবে রেকর্ড হয় এবং আর এস খতিয়ান নং-১৪৯১ পিএস খতিয়ান নং-১৯ এবং তৎ বিএস খতিয়ান নং-১৮০৫ শুদ্ধরূপে প্রচারিত ও প্রকাশিত আছে। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি ফজলুল করিম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. আব্দুল করিম, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. এনামুল হক, ড. সানাউল্লাহ, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার অসংখ্য ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, প্রবাসী ও প্রতিষ্ঠিত সম্মানিত ব্যক্তিবর্গের প্লট রয়েছে এবং বসবাস করছেন।

নিম্নে হিলভিউ আবাসিক এর দালিলিক তথ্য-
১. আরএস খতিয়ান নং-১৪৯১ অবলা সুন্দরী দেবী নামে চূড়ান্তভাবে লিপি আছে।

২. পিএস জরীপে ত্রুটি দেখা দিলে এস.এ এক্ট-১৯৫০ এ মিস মামলা নম্বর ৫২৪/৩১৮-১৯৬২-৬৩ইং এর ১৯৬৪ ইং এর আদেশক্রমে মোছাম্মৎ আনজুমান্ননেসা এর নামে পিএস খতিয়ান ১৯ সৃজিত হয়। পরবর্তীতে উক্ত পিএস খতিয়ানের আলোকে নামজারী খতিয়ান ১৯/২০৮ ও ১৯/২০৯ সৃজিত হয়।

৩. এর ধারাবাহিকতায় বিএস চূড়ান্ত খতিয়ান ১৮০৫ হিলভিউ হাউজিং কোং এর নামে শুদ্ধভাবে ছাপানো আছে। পরবর্তীতে উক্ত খতিয়ানের অনুসরণে ১৪৯টি ভিন্ন ভিন্ন বরাদ্দ প্রাপ্ত ভূমির মালিকগণের অনুকুলে ১৮০৫/১-১৪৯টি খতিয়ান সৃজন পূর্বক খাজনাদি ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত পরিশোধিত হইয়াছে। ১৯৯৫ ইংরেজিতে সহকারী কমিশনার ভূমি-এর আন্তঃ বিভাগীয় পত্রের ফলশ্রুতিতে নামজারী ও খাজনা পরিশোধ স্থগিত থাকে।

৪. এই প্রেক্ষপটে ২০০৫ইং সালে নামজারী ও খাজনা স্থগিত রাখাকে চেলেঞ্জ করে হিলভিউ কল্যাণ সমিতি মহামান্য হাইকোটে ৬২৯৬নং রিট মামলা দায়ের হয়। রিট মামলা প্রেক্ষিতে নামজারী ও খাজনা স্থগিত রাখা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না মর্মে রুল জারী হয়।

৫. রুল জারীর প্রেক্ষিতে সরকার/ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক স্মারক সূত্র নং ভূঃসং/শা-৯ (নামজারী) ২২/৯৯-৪৭৯, তাং- ০৯/০৪/২০০৬ইং সালে জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম মহোদয়কে পশ্চিম ষোলশহর মৌজার হিলভিউ হাউজিং কোম্পানী লিমিটেড কর্তৃক বিক্রিত ভূমি মালিকগণের অনুকুলে নামজারী পূর্বক ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করার জন্য বিহিত আদেশ হয়।

৬. ৬২৯৬/২০০৫ইং রিট মামলা ২৫-০২-২০১০ইং তারিখের রায়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্তৃক নামজারী স্থগিতকরণ পূর্বক খাজনা আদায় বন্ধ রাখা অবৈধ এবং যাহার আইনগত কোন ভিত্তি নাই মর্মে রায় প্রদান করেন এবং নামজারী ও খাজনা আদায়ের আদেশ মহামান্য হাইকোট কর্তৃক যথাযথভাবে জারী হয়।

৭. রীট মামলার রায়ের প্রেক্ষিতে ১২৩জন ভূমির মালিক সহকারী কমিশনার (ভূমি) সদর পাঁচলাইশ, চট্টগ্রাম বরাবরে আবেদন করিলে দেওয়ানী আদালতে বিচারাধীন ৮৪/২০০০ এবং ৫৯৮/২০১০ মামলার অজুহাতে সমুদয় নামজারী মামলাগুলো খারিজ করিয়া দেন। মহামান্য হাইকোট বিভাগের রায় বাস্তবায়ন বিলম্বিত/অকার্যকর করার মানসে উচ্চ আদালতের রায় ঘোষণার পর তড়িঘড়ি করে নিম্ন আদালতে অপর মামলা নং-৫৯৮/২০১০ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আনয়ন করা হইয়াছে যাহা কোনভাবেই আইনসিদ্ধ বিবেচিত হয় না বরং ব্যক্তিগতভাবে সকল তথ্য উপাত্ত অবগত না হয়ে তৎকালীন এসিল্যাণ্ড (বর্তমান অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার- রাজস্ব) জনাব মোয়াজ্জেম হোসাইন করেছেন বলে প্রতিয়মান হয়।

৮. অপর মামলা ৫৯৮/২০১০ উভয় পক্ষের শুনানি শেষে জজ কোট চট্টগ্রামে ২০২০ সালে খারিজ হয়। উক্ত খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন মহামান্য হাইকোটে ১ম আপীল মামলা নং-৮৯/২০২৩ দায়ের করেন। আপীল মামলাটি গত ২৩/০২/২০২৫তাং উভয় পক্ষের শুনানী শেষে ডিসমিস হয়। ১ম আপীল মামলা নিষ্পত্তির পর জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ ২০০টির বেশি নামজারী মামলা নিষ্পত্তি করেছে এবং খাজনা গ্রহণ চলমান আছে।

এমতাবস্থায়, একটি গোষ্ঠীর ভিত্তিহীন তথ্য, মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে হিলভিউ এলাকার বৈধ ভূমি মালিকদের সামাজিক ও আইনগত অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা বন্ধ করা উচিত।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

ডাইং কারখানা বিষাক্ত বর্জ্যরে পনিতে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তি বছরজুড়ে রূপগঞ্জে ক্ষিপ্ত হয়ে পানির পাইপ বন্ধ করে দিলো এলাকাবাসী

হিলভিউ আবাসিক এলাকার দালিলিক ইতিহাস, আবাসনের অনন্য এলাকা

আপডেট সময় : 05:33:20 pm, Wednesday, 6 August 2025

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

প্রায় ৪৫ বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠিত এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হিলভিউ আবাসিক এলাকাটি চট্টগ্রাম মহানগরীর মধ্যে অন্যতম পরিচিত একটি আবাসিক এলাকা হয়। এখানে ৩ শতাধিক বহুতল ভবন নির্মিত হয়েছে ও ১০০ এর বেশি ভবনের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে এবং ভবনগুলোতে প্রায় ৩০ হাজারের মত লোক বসবাস করছে। হিলভিউ আবাসিকের ভূমি ১০০ বছরের ইতিহাসে কখনও সরকারি খাস সম্পত্তি ছিল না। আর এস; পিএস; বিএস ভূমি জরিপে এই ভূমি ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তি হিসেবে রেকর্ড হয় এবং আর এস খতিয়ান নং-১৪৯১ পিএস খতিয়ান নং-১৯ এবং তৎ বিএস খতিয়ান নং-১৮০৫ শুদ্ধরূপে প্রচারিত ও প্রকাশিত আছে। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি ফজলুল করিম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. আব্দুল করিম, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. এনামুল হক, ড. সানাউল্লাহ, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার অসংখ্য ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, প্রবাসী ও প্রতিষ্ঠিত সম্মানিত ব্যক্তিবর্গের প্লট রয়েছে এবং বসবাস করছেন।

নিম্নে হিলভিউ আবাসিক এর দালিলিক তথ্য-
১. আরএস খতিয়ান নং-১৪৯১ অবলা সুন্দরী দেবী নামে চূড়ান্তভাবে লিপি আছে।

২. পিএস জরীপে ত্রুটি দেখা দিলে এস.এ এক্ট-১৯৫০ এ মিস মামলা নম্বর ৫২৪/৩১৮-১৯৬২-৬৩ইং এর ১৯৬৪ ইং এর আদেশক্রমে মোছাম্মৎ আনজুমান্ননেসা এর নামে পিএস খতিয়ান ১৯ সৃজিত হয়। পরবর্তীতে উক্ত পিএস খতিয়ানের আলোকে নামজারী খতিয়ান ১৯/২০৮ ও ১৯/২০৯ সৃজিত হয়।

৩. এর ধারাবাহিকতায় বিএস চূড়ান্ত খতিয়ান ১৮০৫ হিলভিউ হাউজিং কোং এর নামে শুদ্ধভাবে ছাপানো আছে। পরবর্তীতে উক্ত খতিয়ানের অনুসরণে ১৪৯টি ভিন্ন ভিন্ন বরাদ্দ প্রাপ্ত ভূমির মালিকগণের অনুকুলে ১৮০৫/১-১৪৯টি খতিয়ান সৃজন পূর্বক খাজনাদি ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত পরিশোধিত হইয়াছে। ১৯৯৫ ইংরেজিতে সহকারী কমিশনার ভূমি-এর আন্তঃ বিভাগীয় পত্রের ফলশ্রুতিতে নামজারী ও খাজনা পরিশোধ স্থগিত থাকে।

৪. এই প্রেক্ষপটে ২০০৫ইং সালে নামজারী ও খাজনা স্থগিত রাখাকে চেলেঞ্জ করে হিলভিউ কল্যাণ সমিতি মহামান্য হাইকোটে ৬২৯৬নং রিট মামলা দায়ের হয়। রিট মামলা প্রেক্ষিতে নামজারী ও খাজনা স্থগিত রাখা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না মর্মে রুল জারী হয়।

৫. রুল জারীর প্রেক্ষিতে সরকার/ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক স্মারক সূত্র নং ভূঃসং/শা-৯ (নামজারী) ২২/৯৯-৪৭৯, তাং- ০৯/০৪/২০০৬ইং সালে জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম মহোদয়কে পশ্চিম ষোলশহর মৌজার হিলভিউ হাউজিং কোম্পানী লিমিটেড কর্তৃক বিক্রিত ভূমি মালিকগণের অনুকুলে নামজারী পূর্বক ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করার জন্য বিহিত আদেশ হয়।

৬. ৬২৯৬/২০০৫ইং রিট মামলা ২৫-০২-২০১০ইং তারিখের রায়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্তৃক নামজারী স্থগিতকরণ পূর্বক খাজনা আদায় বন্ধ রাখা অবৈধ এবং যাহার আইনগত কোন ভিত্তি নাই মর্মে রায় প্রদান করেন এবং নামজারী ও খাজনা আদায়ের আদেশ মহামান্য হাইকোট কর্তৃক যথাযথভাবে জারী হয়।

৭. রীট মামলার রায়ের প্রেক্ষিতে ১২৩জন ভূমির মালিক সহকারী কমিশনার (ভূমি) সদর পাঁচলাইশ, চট্টগ্রাম বরাবরে আবেদন করিলে দেওয়ানী আদালতে বিচারাধীন ৮৪/২০০০ এবং ৫৯৮/২০১০ মামলার অজুহাতে সমুদয় নামজারী মামলাগুলো খারিজ করিয়া দেন। মহামান্য হাইকোট বিভাগের রায় বাস্তবায়ন বিলম্বিত/অকার্যকর করার মানসে উচ্চ আদালতের রায় ঘোষণার পর তড়িঘড়ি করে নিম্ন আদালতে অপর মামলা নং-৫৯৮/২০১০ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আনয়ন করা হইয়াছে যাহা কোনভাবেই আইনসিদ্ধ বিবেচিত হয় না বরং ব্যক্তিগতভাবে সকল তথ্য উপাত্ত অবগত না হয়ে তৎকালীন এসিল্যাণ্ড (বর্তমান অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার- রাজস্ব) জনাব মোয়াজ্জেম হোসাইন করেছেন বলে প্রতিয়মান হয়।

৮. অপর মামলা ৫৯৮/২০১০ উভয় পক্ষের শুনানি শেষে জজ কোট চট্টগ্রামে ২০২০ সালে খারিজ হয়। উক্ত খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন মহামান্য হাইকোটে ১ম আপীল মামলা নং-৮৯/২০২৩ দায়ের করেন। আপীল মামলাটি গত ২৩/০২/২০২৫তাং উভয় পক্ষের শুনানী শেষে ডিসমিস হয়। ১ম আপীল মামলা নিষ্পত্তির পর জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ ২০০টির বেশি নামজারী মামলা নিষ্পত্তি করেছে এবং খাজনা গ্রহণ চলমান আছে।

এমতাবস্থায়, একটি গোষ্ঠীর ভিত্তিহীন তথ্য, মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে হিলভিউ এলাকার বৈধ ভূমি মালিকদের সামাজিক ও আইনগত অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা বন্ধ করা উচিত।