
নোয়াখালী প্রতিনিধি,
নোয়াখালীর হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাট থেকে নলচিরাগামী একটি স্পিডবোট মেঘনা নদীতে ডুবে যায়। সোমবার সকাল ১০টার দিকে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাইয়ের কারণে বোটটি নদীর মাঝপথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডুবে যায়।
স্পিডবোটটিতে মোট ২৮ জন যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনার পরপরই নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড ও স্থানীয় জেলেরা তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন। তাঁদের যৌথ প্রচেষ্টায় সব যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্পিডবোটটি ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করে। মাঝনদীতে প্রবল ঢেউয়ের মুখে পড়ে বোটটি উল্টে যায়। এসময় যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন।
উদ্ধার কাজে অংশ নেওয়া জেলে হোরণ মাঝি বলেন, “আমরা নদীতে মাছ ধরছিলাম। হঠাৎ দেখি লোকজন পানিতে হাত নাড়াচ্ছে। সাথে সাথে আমরা ছুটে যাই এবং অন্যদের ডেকে আনি।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই এই রুটে নিরাপত্তা উপেক্ষা করে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত তদারকির অভাবেই এমন দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলা উদ্দিন জানান, “ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সৌভাগ্যজনকভাবে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। আমরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছি এবং অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।