Dhaka , Sunday, 29 June 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
বলিউডের ‘কাঁ’টা লাগা’ গার্ল শেফালী জারিওয়ালা আর নেই মোটরসাইকেল ও ট্রাকের সংঘ’র্ষে লালমনিরহাটে যু’বক নি’হত, আ’হত ১ রামগঞ্জে বিএনপি’র ওয়ার্ড কাউন্সিল অনুষ্ঠিত উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপুরে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা পালিত বাধ্যতামূলকভাবে সিএসআর ফা’ন্ডের একটি নির্দিষ্ট অংশ স্পোর্টসের পৃষ্ঠপোষকতায় ব্য’য় করার প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছে সরকার – – উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ রথযাত্রায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অং’শগ্র’হণ অসা’ম্প্রদা’য়িক ঐ’তিহ্যে’র প্রতিফলন- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হাতীবান্ধায় জমির আইল ভে’ঙে যাওয়ার ঘ’টনা’য় বৃ’দ্ধ নি’হত দেশে কাগজের চাহিদা পূরণ করতে কর্ণফুলীসহ পেপার মিলের উন্নয়ন করা হবে – শিল্প উপদেষ্টা ইত্তেহাদুল কুররা’র কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠান ১৩৪ বছরে সিলেটের গর্ব: ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজ খাট সরাতে গিয়ে বি’দ্যুৎস্পৃ’ষ্টে স্কুলছাত্রের মৃ’ত্যু   ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা রেজিস্ট্রার অফিসে তা’লা! অ’বরু’দ্ধ কর্মকর্তারা ছয় দ’ফাদা’বি বাস্তবায়নের দা’বিতে আ’টঘ’রিয়া’য় স্বা’স্থ্য সহকারিদের “অবস্থান কর্মসূচি” পালন নলছিটিতে গাঁ’জা-ইয়া’বা’সহ যুবক আ’টক, নগদ ৭০ হাজার টা’কা উ’দ্ধার  রূপগঞ্জে স্বা’স্থ্য সহকারীদের ছয় দ’ফা দা’বিতে অবস্থান কর্মসূচি রূপগঞ্জে পারফিসিয়েন্ট টেক্সটাইলে বি’স্ফোরণ, বিপুল পরিমাণ টাকার ক্ষ’য়ক্ষ’তি, আ’হত দুই মোংলায় ৭৭টি যানবাহনে যৌথ বাহিনীর ত’ল্লা’শি নেত্রকোণায় বিশ কেজি গাঁ’জাস’হ মা’দক ব্যবসায়ী গ্রে’ফতার কৃষি উদ্যোক্তা সৃ’ষ্টিতে লালমনিরহাটে পার্টনার কংগ্রেসের সভা লালমনিরহাটে অনূর্ধ্ব ১২ ক্রিকেট কার্নিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয়েছে গাজীপুর জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত পাইকগাছায় আ’ইনশৃ’ঙ্খলা কমিটি ও উপজেলা প’রিষ’দের মাসিক সভা কলমাকান্দায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত শরীয়তপুর-১ আসনে এমপি পদে প্রার্থী হতে চান মেহেদী হাসান রফিক চন্দনাইশে যাএীবাহী বাসে অ’ভিযা’ন চালিয়ে ১৪ হাজার পিস ইয়া’বা’সহ গ্রে’ফতা’র -১ রামুর সীমান্তে পা’চারকা’রীরা স’ক্রিয় জ’ড়িত’দের আট’কে তালিকা তৈরি  নোয়াখালীর হাতিয়াতে ছেলের ও’ষুধ কিনতে গিয়ে ন’ছিম’নের ধা’ক্কায় বাবার মৃ’ত্যু পরিবেশের দূ’ষণ রো’ধে প্লা’স্টিক প’লিথি’ন ব’র্জন করতে হবে- ইউএনও শারমিন আক্তার সুমী বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে রাজাপুরে বড়ইয়া ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

হরিপুর রাজবাড়ি ঐতিহাসিক স্থাপত্যশৈলী ও সংস্কৃতির কাজ চলমান

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 01:54:52 pm, Sunday, 15 June 2025
  • 16 বার পড়া হয়েছে
নয়ন হোসেন,
ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলা, যা  হরিপুর থানা হিসেবেও পরিচিত। বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের একটি ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ অঞ্চল। এটি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং ঠাকুরগাঁও জেলার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। যা হরিপুর রাজবাড়ী নামে পরিচিত।
হরিপুর রাজবাড়ি ছিল একটি প্রাসাদোপম অট্টালিকা, যা ১৮৯৩ সালে নির্মিত হয়। দ্বিতল ভবনের লতাপাতার নকশা ও পূর্ব দেয়ালের শীর্ষে রাজর্ষি জগেন্দ্র নারায়ণ রায়ের চৌদ্দটি আবক্ষ মূর্তি ছিল। রাজবাড়িতে একটি বড় পাঠাগার, শিব মন্দির ও নাট মন্দির ছিল। বর্তমানে রাজবাড়িটির অধিকাংশ অংশ অযত্ন ও অবহেলায় ধ্বংস হয়ে গেছে। স্থানীয়রা রাজবাড়ির সংরক্ষণে উদ্যোগী হলেও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সহায়তা প্রয়োজন।
হরিপুর উপজেলা প্রশাসনিকভাবে ঠাকুরগাঁও জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখানে হরিপুর উপজেলা পরিষদ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র অবস্থিত। স্থানীয়রা শিক্ষা ও সংস্কৃতি চর্চায় আগ্রহী, যা রাজবাড়ির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
শিব মন্দির ও নাট মন্দির: ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বসম্পন্ন স্থান। স্থানীয় গ্রাম ও বাজার: গ্রামীণ জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতির পরিচায়ক।
প্রাচীন ইতিহাস।
হরিপুরের ইতিহাস প্রাচীন ও সমৃদ্ধ। ১৪০০ খ্রিস্টাব্দে ঘনশ্যাম কুণ্ডু নামে এক ব্যবসায়ী হরিপুরে এণ্ডি কাপড়ের ব্যবসা করতে আসেন। তখন মেহেরুন্নেসা নামে এক বিধবা মুসলিম নারী এ অঞ্চলের জমিদার ছিলেন। তার জমিদারির কিছু অংশ খাজনা অনাদায়ে নিলাম হয়ে গেলে ঘনশ্যাম কুণ্ডু তা কিনে নেন।
ঘনশ্যামের বংশধর রাঘবেন্দ্র রায় ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে হরিপুর রাজবাড়ির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। তার পুত্র জগেন্দ্র নারায়ণ রায় ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষদিকে রাজবাড়ির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করেন। এসময় তিনি ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক ‘রাজর্ষি’ উপাধিতে ভূষিত হন। রাজবাড়ির দ্বিতল ভবনে লতাপাতার নকশা এবং পূর্ব দেয়ালের শীর্ষে রাজর্ষি জগেন্দ্র নারায়ণের চৌদ্দটি আবক্ষ মূর্তি ছিল।
রাজর্ষি জগেন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরী গড়ে তুলেছিলেন একটি সমৃদ্ধ পাঠাগার, যা শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে তার অনুরাগের পরিচায়ক। ভবনটির পূর্বপাশে একটি শিব মন্দির এবং মন্দিরের সামনে নাট মন্দির ছিল। রাজবাড়িতে ছিল একটি বড় পাঠাগার, যার অস্তিত্ব এখন নেই। রাজবাড়িটির যে সিংহদরজা ছিল তাও নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
হরিপুর থানা বা উপজেলা ঠাকুরগাঁও জেলার একটি ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ অঞ্চল। হরিপুর রাজবাড়ি, শিব মন্দির, নাট মন্দির ও অন্যান্য ঐতিহাসিক নিদর্শন এই অঞ্চলের গৌরবময় অতীতের সাক্ষী। যদি এই ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা যায়, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এটি একটি অমূল্য সম্পদ হয়ে থাকবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

বলিউডের ‘কাঁ’টা লাগা’ গার্ল শেফালী জারিওয়ালা আর নেই

হরিপুর রাজবাড়ি ঐতিহাসিক স্থাপত্যশৈলী ও সংস্কৃতির কাজ চলমান

আপডেট সময় : 01:54:52 pm, Sunday, 15 June 2025
নয়ন হোসেন,
ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলা, যা  হরিপুর থানা হিসেবেও পরিচিত। বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের একটি ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ অঞ্চল। এটি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং ঠাকুরগাঁও জেলার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। যা হরিপুর রাজবাড়ী নামে পরিচিত।
হরিপুর রাজবাড়ি ছিল একটি প্রাসাদোপম অট্টালিকা, যা ১৮৯৩ সালে নির্মিত হয়। দ্বিতল ভবনের লতাপাতার নকশা ও পূর্ব দেয়ালের শীর্ষে রাজর্ষি জগেন্দ্র নারায়ণ রায়ের চৌদ্দটি আবক্ষ মূর্তি ছিল। রাজবাড়িতে একটি বড় পাঠাগার, শিব মন্দির ও নাট মন্দির ছিল। বর্তমানে রাজবাড়িটির অধিকাংশ অংশ অযত্ন ও অবহেলায় ধ্বংস হয়ে গেছে। স্থানীয়রা রাজবাড়ির সংরক্ষণে উদ্যোগী হলেও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সহায়তা প্রয়োজন।
হরিপুর উপজেলা প্রশাসনিকভাবে ঠাকুরগাঁও জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখানে হরিপুর উপজেলা পরিষদ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র অবস্থিত। স্থানীয়রা শিক্ষা ও সংস্কৃতি চর্চায় আগ্রহী, যা রাজবাড়ির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
শিব মন্দির ও নাট মন্দির: ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বসম্পন্ন স্থান। স্থানীয় গ্রাম ও বাজার: গ্রামীণ জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতির পরিচায়ক।
প্রাচীন ইতিহাস।
হরিপুরের ইতিহাস প্রাচীন ও সমৃদ্ধ। ১৪০০ খ্রিস্টাব্দে ঘনশ্যাম কুণ্ডু নামে এক ব্যবসায়ী হরিপুরে এণ্ডি কাপড়ের ব্যবসা করতে আসেন। তখন মেহেরুন্নেসা নামে এক বিধবা মুসলিম নারী এ অঞ্চলের জমিদার ছিলেন। তার জমিদারির কিছু অংশ খাজনা অনাদায়ে নিলাম হয়ে গেলে ঘনশ্যাম কুণ্ডু তা কিনে নেন।
ঘনশ্যামের বংশধর রাঘবেন্দ্র রায় ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে হরিপুর রাজবাড়ির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। তার পুত্র জগেন্দ্র নারায়ণ রায় ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষদিকে রাজবাড়ির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করেন। এসময় তিনি ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক ‘রাজর্ষি’ উপাধিতে ভূষিত হন। রাজবাড়ির দ্বিতল ভবনে লতাপাতার নকশা এবং পূর্ব দেয়ালের শীর্ষে রাজর্ষি জগেন্দ্র নারায়ণের চৌদ্দটি আবক্ষ মূর্তি ছিল।
রাজর্ষি জগেন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরী গড়ে তুলেছিলেন একটি সমৃদ্ধ পাঠাগার, যা শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে তার অনুরাগের পরিচায়ক। ভবনটির পূর্বপাশে একটি শিব মন্দির এবং মন্দিরের সামনে নাট মন্দির ছিল। রাজবাড়িতে ছিল একটি বড় পাঠাগার, যার অস্তিত্ব এখন নেই। রাজবাড়িটির যে সিংহদরজা ছিল তাও নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
হরিপুর থানা বা উপজেলা ঠাকুরগাঁও জেলার একটি ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ অঞ্চল। হরিপুর রাজবাড়ি, শিব মন্দির, নাট মন্দির ও অন্যান্য ঐতিহাসিক নিদর্শন এই অঞ্চলের গৌরবময় অতীতের সাক্ষী। যদি এই ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা যায়, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এটি একটি অমূল্য সম্পদ হয়ে থাকবে।