১। বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র, মাদক উদ্ধার, চাঞ্চল্যকর হত্যা এবং বিভিন্ন আলোচিত অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধীদের দ্রুততম সময়ে গ্রেফতারের মাধ্যমে র্যাব ইতোমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১১ গত ০৫ আগষ্ট ২০২৪ তারিখ হতে অদ্যবধি দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিভিন্ন অভিযানে চাঞ্চল্যকর অপরাধী ১১৫ জন, আরসা সদস্য-১৫ জন, হত্যা মামলায় ১৩৬ জন গ্রেফতার, ধর্ষণ মামলায় ৫৭ জন গ্রেফতার, অস্ত্র সংক্রান্ত মামলায় ১৯ জন গ্রেফতারসহ ৯১ টি অস্ত্র, ১২৯৩ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার এবং ৩১৪ জন এর অধিক মাদক কারবারি গ্রেফতারসহ বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করে র্যাব-১১। পাশাপাশি ৪৯ জন অপহরণকারী গ্রেফতারসহ ৫৭ জন ভিকটিম উদ্ধার এবং ছিনতাইকারী ও ডাকাত ৬১ জন, জেল পলাতক ৩৭ জন, প্রতারণার আসামী-১৩ জন সহ অন্যান্য অপরাধী প্রায় ৩১৬ জনকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে র্যাব-১১ জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
২। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে খালপাড় এলাকা থেকে রতন (৩৮) নামে এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১৭ জুন, ২০২৫ইং তারিখ রোজ রোববার সকালে সোনারগাঁ উপজেলার ভারগাঁও এলাকার ওলামা নগর খালপাড় বেরিবাঁধের পূর্ব পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত রতন কাঁচপুর এলাকার মো. মালেক মোল্লার ছেলে। তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সোনারগাঁয়ের নাওড়া বিটা এলাকার দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, সকালে খালপাড় এলাকায় রক্তাক্ত অবস্থায় একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে সোনারগাঁ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠান।
৩। স্থানীয় ও গণমাধ্যম সূত্রে সোনারগাঁওয়ে খালপাড় থেকে যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধারের সংবাদটি প্রাপ্ত হয়ে র্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরবর্তীতে এই নৃশংস, নির্মম ও ক্লুলেস হত্যার সাথে জড়িত আসামিদেরকে গ্রেফতারের জন্যে র্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ ছায়াতদন্ত শুরু করে। এরই প্রেক্ষিতে নিজস্ব গোয়েন্দা নজরদারি ও সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত ক্লুলেস হত্যাকরে ঘটনায় জড়িত ০২ জন আসামিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানার দিঘি বরাবো এলাকা হতে অদ্য ১৮ জুন, ২০২৫ ইং তারিখ রাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলো; ১। ইসমাইল প্রধান (২৪), পিতা- ইউনুস প্রধান, মাতা- মমতাজ, সাং- দিঘি বরাবো এবং ২। ওসমান গনি (২৩), পিতা- মনির হোসেন, মাতা- আফসানা আক্তার দোলন, সাং- মোঘড়াকুর, উভয় থানা- রুপগঞ্জ, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। গ্রেফতারকৃত আসামিদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা হহত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
৪। গ্রেফতারকৃত আসামি দ্বয়’কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
