Dhaka , Wednesday, 13 November 2024
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
কক্সবাজারের পেকুয়ার জিয়া উদ্দিন ইয়াবাসহ আটক।। ইবিতে আলফিকহ বিভাগের অধ্যাপকের নতুন বই প্রকাশ।। নির্বাচনের ডেটলাইন দিতে এতো দ্বিধা এতো সংকোচ কেন অন্তর্বর্তী সরকারকে রিজভী।। ফরিদপুরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ একাধিক ছাই তৈরি কারখানা অর্থাৎ চারকোন।সমস্যায় ভুগছে সাধারন মানুষ।। পিরোজপুর পৌরসভার ০৯ নং ওয়ার্ডের মৎস্যজীবীদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত।। জনগণের  চলাচলের সুবিধার্থে ব্যারিস্টার কায়সার কামালের উদ্যোগে নদীতে ব্রীজ নির্মাণ।।  দুর্গাপুরে নানা আয়োজনে ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত।। ডেমরায় ভূয়া ডাক্তার গ্রেফতার- মেট্রিক পাশ না করেও তিনি ডাক্তার।। হামলার মামলায় কুড়িগ্রামে ৩ আওয়ামীলীগ নেতা আটক।। পাইকগাছায় উপকূল দিবস পালিত।। নির্বাচনের ডেটলাইন দিতে এতো দ্বিধা এতো সংকোচ কেন অন্তর্বর্তী সরকারকে রিজভী।। পাইকগাছায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালতি।। চুয়াডাঙ্গায় সিনজেনটা কোম্পানীর ফুলকপির বীজে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মানববন্ধন।। স্বতন্ত্র ফ্লোরের দাবিতে বিক্ষোভ ইবির আরবী বিভাগের শিক্ষার্থীদের।। মোংলায় বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প।। মেহেরপুরে জামায়াতে ইসলামীর রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত।। সুন্দরগঞ্জ পৌরবাসি পানীয় জল সংকটে চার বছরেও চালু হয়নি পানি শোধনাগার।। রূপগঞ্জে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অপসারনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ পাঠদান ব্যহত।। হাটহাজারিতে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যাক্তির মৃত্যু।।  গাজীপুরে ১৬ ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বে প্যানেল চেয়ারম্যান।। পিরোজপুরের কদমতলায় চলছে চার দিনব্যাপী শ্রী শ্রী জগদ্ধাত্রী পূজা উপলক্ষ্যে নানা আয়োজন।। রূপগঞ্জে ব্যবসায়ীর বাড়িতে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা ভাংচুর ও লুটপাট।।  সুবর্ণচরে ছেলের মামলা-হামলায় বাড়িছাড়া বৃদ্ধা মা।। মেহেরপুরে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ২০লাখ টাকা পুরস্কারে কলেজ ছাত্র।। পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ইসিজি মেশিন ছিনতাই মূলহোতা আটক।। বর্ণাঢ্য আয়োজনে দেবহাটা প্রেসক্লাবের নব কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান।। দেবহাটায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন।। দেবহাটায় মাজলিসুল মুফাসসিরীন উপজেলা কমিটি গঠন।। যারা খেলাধূলা করছে তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না।। সুনামগঞ্জে মোহনা টিভির জন্মদিন পালিত।।

সালথায় মৌসুম ছাড়াই দেশী পাট বীজ উৎপাদন করে লাভবান কৃষক মোক্তার।।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 12:50:42 pm, Saturday, 9 November 2024
  • 14 বার পড়া হয়েছে

সালথায় মৌসুম ছাড়াই দেশী পাট বীজ উৎপাদন করে লাভবান কৃষক মোক্তার।।

 

মামুন মিঞা

ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি।।

  

পাট উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত ফরিদপুরের সালথা-নগরকান্দা উপজেলা। প্রতিবছর এই উপজেলায় অন্তত ১২-১৫ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়।

এখানকার কৃষকরা দেশীয় বিভিন্ন জাতসহ ভারতীয় বিভিন্ন জাতের বীজ বপন করে পাট আবাদ করে থাকেন।

তবে গত চার বছর ধরে সালথা উপজেলা সদরের কৃষক মুক্তার মোল্যা নিজের উৎপাদিত দেশীয় বীজ দিয়ে পাট আবাদ করে আসছেন।

এই সাফল্যের ফল হিসেবে জেলার শ্রেষ্ঠ কৃষি উদ্যোক্তা নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এরই ধারবাহিকতায় এবারও তিনি ৪০ শতাংশ জমিতে পাটের বীজ আবাদ করেছেন।

শুক্রবার বার (৮ নভেম্বর) সকালে দেশীয় পাটের বীজ উৎপাদনের বিষয় নিয়ে কথা হয় কৃষি উদ্যোক্তা মোঃ মুক্তার মোল্যার সঙ্গে। তিনি বলেন, আমাদের এলাকার কৃষকরা দেশীয়সহ  ভারতীয় নানা জাতের বীজ দিয়ে পাট আবাদ করেন।

আমি গত চার বছর ধরে সবুজ সোনা-৯ নামে বীজ উৎপাদন করে আসছি। গত বছর ৫০ শতাংশ জমিতে পাটের বীজ আবাদ করেছিলাম। এতে আমার খরচ হয়েছিল ১০ হাজার টাকা। ওই জমি থেকে আমি অন্তত ২০০ কেজি বীজ পেয়েছিলাম।

তিনি আরও বলেন, নিজের উৎপাদিত সেই বীজ দিয়ে গত বছর আমি ১৪ বিঘা জমিতে পাট আবাদ করেছিলাম। ১৪ বিঘা জমিতে আমার ১৪ কেজি বীজ লেগেছিল। আমার উৎপাদিত একটা বীজও নষ্ট হয়নি। প্রতিটা বীজ থেকে পাট গাছের জন্ম হয়েছে। ফলনও হয়েছে ভালো।

বাকি ১৮৬ কেজি বীজ বিক্রি করে ১৮ হাজার ৬০০ টাকা আয় করেছি। তাতে আমার নিজের ১৪ বিঘা জমির প্রয়োজন মিটিয়েও ৮ হাজার টাকা লাভ হয়েছে।

প্রতিবিঘা জমিতে ২ কেজি করে ভারতীয় বীজ লাগে। আবার অনেক বীজ নষ্টও হয়ে যায়। কিন্তু আমার উৎপাদিত ১ কেজি বীজ দিয়ে এক বিঘা জমিতে পাট আবাদ করা যায়। বপন করার পর একটা বীজও নষ্ট হয় না।

ফলনও ভারতীয় বীজের চেয়ে ভালো হয়। এবারও আমি ৪০ শতাংশ জমিতে পাটের বীজ আবাদ করেছি। ইতিমধ্যে পাটের গাছ থেকে ফুল আসতে শুরু করেছে। আশা করি, ওই ৪০ শতাংশ জমি থেকে এবারো ১৫০ থেকে ১৬০ কেজি বীজ পাবো। আমার মতো অন্য কৃষকরা যদি নিজে বীজ উৎপাদন করে পাটের আবাদ করেন, তাহলে তারা লাভবান হবেন বলে আমি মনে করি।

সালথা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুদর্শন সিকদার বলেন, পাট গবেষণা থেকে বীজ এনে কৃষক মুক্তার মোল্যা পাটের বীজ উৎপাদন করছেন।

সালথায় ইতিমধ্যে এই বীজের জনপ্রিয়তা অনেকটা বেড়েছে। যদিও ভারতীয় বীজের চেয়ে দেশীয় এই বীজের চাহিদা কম। তবে কৃষকরা যদি নিজেরা বীজ উৎপাদন করে, তাহলে তাদের খরচ কম হবে। আবার ফলনও ভালো পাবে।

মুক্তার মোল্যার মতো অন্য কৃষকরা যদি পাটের বীজ উৎপাদনে এগিয়ে আসেন, তাহলে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

কক্সবাজারের পেকুয়ার জিয়া উদ্দিন ইয়াবাসহ আটক।।

সালথায় মৌসুম ছাড়াই দেশী পাট বীজ উৎপাদন করে লাভবান কৃষক মোক্তার।।

আপডেট সময় : 12:50:42 pm, Saturday, 9 November 2024

 

মামুন মিঞা

ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি।।

  

পাট উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত ফরিদপুরের সালথা-নগরকান্দা উপজেলা। প্রতিবছর এই উপজেলায় অন্তত ১২-১৫ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়।

এখানকার কৃষকরা দেশীয় বিভিন্ন জাতসহ ভারতীয় বিভিন্ন জাতের বীজ বপন করে পাট আবাদ করে থাকেন।

তবে গত চার বছর ধরে সালথা উপজেলা সদরের কৃষক মুক্তার মোল্যা নিজের উৎপাদিত দেশীয় বীজ দিয়ে পাট আবাদ করে আসছেন।

এই সাফল্যের ফল হিসেবে জেলার শ্রেষ্ঠ কৃষি উদ্যোক্তা নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এরই ধারবাহিকতায় এবারও তিনি ৪০ শতাংশ জমিতে পাটের বীজ আবাদ করেছেন।

শুক্রবার বার (৮ নভেম্বর) সকালে দেশীয় পাটের বীজ উৎপাদনের বিষয় নিয়ে কথা হয় কৃষি উদ্যোক্তা মোঃ মুক্তার মোল্যার সঙ্গে। তিনি বলেন, আমাদের এলাকার কৃষকরা দেশীয়সহ  ভারতীয় নানা জাতের বীজ দিয়ে পাট আবাদ করেন।

আমি গত চার বছর ধরে সবুজ সোনা-৯ নামে বীজ উৎপাদন করে আসছি। গত বছর ৫০ শতাংশ জমিতে পাটের বীজ আবাদ করেছিলাম। এতে আমার খরচ হয়েছিল ১০ হাজার টাকা। ওই জমি থেকে আমি অন্তত ২০০ কেজি বীজ পেয়েছিলাম।

তিনি আরও বলেন, নিজের উৎপাদিত সেই বীজ দিয়ে গত বছর আমি ১৪ বিঘা জমিতে পাট আবাদ করেছিলাম। ১৪ বিঘা জমিতে আমার ১৪ কেজি বীজ লেগেছিল। আমার উৎপাদিত একটা বীজও নষ্ট হয়নি। প্রতিটা বীজ থেকে পাট গাছের জন্ম হয়েছে। ফলনও হয়েছে ভালো।

বাকি ১৮৬ কেজি বীজ বিক্রি করে ১৮ হাজার ৬০০ টাকা আয় করেছি। তাতে আমার নিজের ১৪ বিঘা জমির প্রয়োজন মিটিয়েও ৮ হাজার টাকা লাভ হয়েছে।

প্রতিবিঘা জমিতে ২ কেজি করে ভারতীয় বীজ লাগে। আবার অনেক বীজ নষ্টও হয়ে যায়। কিন্তু আমার উৎপাদিত ১ কেজি বীজ দিয়ে এক বিঘা জমিতে পাট আবাদ করা যায়। বপন করার পর একটা বীজও নষ্ট হয় না।

ফলনও ভারতীয় বীজের চেয়ে ভালো হয়। এবারও আমি ৪০ শতাংশ জমিতে পাটের বীজ আবাদ করেছি। ইতিমধ্যে পাটের গাছ থেকে ফুল আসতে শুরু করেছে। আশা করি, ওই ৪০ শতাংশ জমি থেকে এবারো ১৫০ থেকে ১৬০ কেজি বীজ পাবো। আমার মতো অন্য কৃষকরা যদি নিজে বীজ উৎপাদন করে পাটের আবাদ করেন, তাহলে তারা লাভবান হবেন বলে আমি মনে করি।

সালথা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুদর্শন সিকদার বলেন, পাট গবেষণা থেকে বীজ এনে কৃষক মুক্তার মোল্যা পাটের বীজ উৎপাদন করছেন।

সালথায় ইতিমধ্যে এই বীজের জনপ্রিয়তা অনেকটা বেড়েছে। যদিও ভারতীয় বীজের চেয়ে দেশীয় এই বীজের চাহিদা কম। তবে কৃষকরা যদি নিজেরা বীজ উৎপাদন করে, তাহলে তাদের খরচ কম হবে। আবার ফলনও ভালো পাবে।

মুক্তার মোল্যার মতো অন্য কৃষকরা যদি পাটের বীজ উৎপাদনে এগিয়ে আসেন, তাহলে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।