একেএম কামাল উদ্দিন টগর
নওগাঁ প্রতিনিধি।।
–বিশা পালপাড়ার কৃষক সুশান্ত পাল(53 হাটে এসে খুব হতাশ ও নির্বাক হয়েছিলেন।নওগাঁর আত্রাই উপজেলা সমসপাড়াহাটে তিন মন ধান বিক্রির জন্য এনেছিলেন তিনি। প্রতিমন 90 ধান 1150 টাকা দরে তিন মন ধান বিক্রি করেন।
নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার বিশা ইউনিয়নের কৃষক অছির উদ্দিনের মতো হাটে আসা অন্য কৃষকদেরও গত শুক্রবার সকালে হতাশ দেখাগেছে। হরেন্দ্র নাথ সাংবাদিককে বলেন, সার ও ডিজেলের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক ভাবে। আমাদের উৎপাদিত ধানের দাম বাড়ে নাই। এখনো কম দামে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে।
এক মাস আগে যে ধান প্রতিমন এক হাজার এক শত পঞ্চাশ টাকা দরে বিক্রি করেছিলাম তা এখন বিক্রি করতে হচ্ছে এক হাজার পঞ্চাশ টাকা দরে।জমিতে ফসল উৎপাদন করলেই ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে”
ধান বিক্রি করতে আসা উপজেলার দশন গ্রামের কৃষক আয়েজ উদ্দিন (62) সাংবাদিককে বলেন, সার ও ডিজেলের দাম অস্বাভাবিক বাবে বেড়ে যাওয়ায় আমরা হতাশ ও নির্বাক।তিনি জানান, গত শনিবার প্রতি বিঘা জমি পাওয়ার টিলার দিয়ে চাষ করতে খরচ হয়েছে তিন শত টাকা। পরের দিন খরচ হয়েছে চার শত টাকা।তিনি আরো বলেন, সার, কিটনাশকের দাম বেড়েছে। কৃষি শ্রমিকের মজুরি বেড়েছে। কিন্তু আমাদের উৎপাদিত ফসলের দাম বাড়েনি। কৃষি কাজ ছেড়ে দিতে হবে।এভাবে আর কুলাতে পারছি না।হাটে আসা উপজেলার পৈঁসাওতা গ্রামের মনিরউদ্দিন (58) বলেন, হাটে পাঁচ শত মন ধান এনেছি বিক্রির জন্য। দেড় ঘন্টা অপেক্ষার পর অবশেষে কম দামে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছি। প্রতিমন ধান এক হাজার একশত পঞ্চাশ টাকা দরে বিক্রি করেছি। আমরা অসহায়, বাকহীন। আমাদের কথা কেউ ভাবেন না।সমসপাড়া হাটে ধান ক্রেতা কছিমুদ্দিন বলেন, বর্তমানে বাজারে প্রতিমন ধান এক হাজার একশত পঞ্চাশ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ধানের দাম আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। কৃষকদের কাছ থেকে কিনে তা মহাজসদের কাছে বিক্রি করি। প্রতি মন ধানে দশ-পনর টাকা লাভ করতে পারি। সমসপাড়া হাটে ধান ক্রেতা পাইকার অহির উদ্দিন বলেন, বর্তমানে বাজারে প্রতিমন ধান এক হাজার একশত পঞ্চাশ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ধানের দাম আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনে তা মহাজনদের কাছে বিক্রি করি। প্রতিমনে দশ-পনর টাকা লাভ করতে পারি। সিংড়ার চাচকোর-গুরুদাশপুর ধান চালের মহাজন আব্দুল মজিদ মিয়া বলেন, গুদামে পর্যাপ্ত ধান মজুদ আছে। এ ছাড়া বিদেশ থেকে চাল আমদানি করা হচ্ছে। আগের তুলনায় বাজারে ধানের দাম কিছুটা কম।