![](https://dainikajkerbangla.net/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
মোঃ মনির মন্ডল, সাভার
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সাভারে ১৮ জুলাই গুলিবিদ্ধ হয়ে মিরপুরের এমআইএসটি’র কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাইখ আসহাবুল ইয়ামিন নিহত হন।
ওই রাতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাঁকে দাফন করা হয়। পরে এ হত্যার ঘটনায় মামলা করা হলে লাশ ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার -৪ ফেব্রুয়ারি- দুপুরে সাভারের ব্যাংক টাউন কবরস্থানে শহীদ ইয়ামিনের লাশ উত্তোলনে গেলে তার পরিবার আপত্তি জানায়।এ অবস্থায় কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করে কবর থেকে লাশ উত্তোলনের কার্যক্রম স্থগিতের নির্দেশ দেন ঢাকা জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলী হাসান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার পরিদর্শক হেলাল উদ্দিন জানান, গত বছরের ১৮ জুলাই ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে পুলিশের সাঁজোয়া যানের ওপরে উঠে গুলিতে নিহত হন শহীদ শাইখ আসহাবুল ইয়ামিন।
এ ঘটনায় শহীদ ইয়ামিনের মামা আব্দুল্লাহ আল কাবির বাদী হয়ে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে সাভার মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।
পরে এ মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে দাফনের প্রায় সাড়ে ৬ মাস পর কবর থেকে ইয়ামিনের মরদেহ তুলতে গেলে পরিবারের বাধার মুখে শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে ঢাকা জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলী হাসান জানান, শহীদ ইসামিনের মরদেহ উত্তোলনের জন্য বিজ্ঞ আদালত থেকে আমাকে নিয়োগ করা হয়। সেই আলোকে আমরা সাভারে এসেছি এবং কবরস্থানে গিয়েছি। কবরস্থানে যাওয়ার পরে শহীদ ইয়ামিনের বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেছি এবং মামলার বাদীর সঙ্গে কথা বলেছি। তারা কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনে অনিচ্ছুক। উনারা আমার কাছে একটি ফরমাল আবেদন দিয়েছেন। সেখানে উল্লেখ করেছেন, শহীদ ইয়ামিন শহীদী মর্যাদা পেয়েছে বিধায় তারা লাশ উত্তোলনে অনিচ্ছুক। এ বিষয়টি আমরা বিজ্ঞ আদালতকে অবহিত করব এবং পরে আদালতের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।