
আব্বাস উদ্দিন, ব্রাহ্মণ বাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সরাইল উপজেলার,সরাইল থানার পুলিশ দুই ভূয়া পুলিশসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছেন। শনিবার রাত ১০ টার দিকে উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের জয়ধরকান্দি গ্রাম থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাদের ব্যবহৃত নিববন্ধন বিহীন ৩টি মোটর বাইকও জব্দ করে নিজেদের জিম্মায় নিয়েছেন পুলিশ। ভূয়া দুই পুলিশ হচ্ছে সরাইল উপজেলা পাকশিমুল ইউনিয়নের তেলিকান্দি গ্রামের মো. রাসেল -২২- এবং নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের বড়নগর গ্রামের মো.রাসেল মিয়া -২৪- ।
পালিয়ে গেছে তেলিকান্দি গ্রামের মোক্তার ও বাক্কার নামের আরো দুই ভূয়া পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত অপর ছয়জন হলেন জয়দরকান্দি গ্রামের দুলাল মিয়া -৪৫- মানজু মিয়া -৪৮- সোহেল মিয়া -৩০- ইছা মিয়া -৪৮- আল ইমরান -২২- এবং নান্নু মিয়া -৫০-। পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, জায়গা নিয়ে কয়েক মাস ধরে জয়ধরকান্দি গ্রামের দুলাল মিয়ার সঙ্গে আবদুর রহমানের বিরোধ চলে আসছে। উভয় পক্ষ থেকে মামলাও হয়েছে একাধিক। শনিবার রাত আটটার দিকে মো. রাসেলের নেতৃত্বে তিনটি মোটরসাইকেলে করে ছয় যুবক জয়ধরকান্দি গ্রামে যান। তারা নিজেদেরকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে নারী-পুরূষকে নাজেহাল করতে থাকে। এক পর্যায়ে পুলিশ পরিচয় দেওয়া যুবকদের আচরণে গ্রামবাসীর সন্দেহ হয়। পরে গ্রামবাসী তাদের আটক করে মারধর করে। খবর পেয়ে সরাইল থানার পুলিশ জয়ধরকান্দি গ্রামে গিয়ে দুই ভূয়া পুলিশসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় অপর ভূয়া চার পুলিশ পালিয়ে যায়। এর মধ্যে মোক্তার ও বাক্কার নামের দুইজনের কথা বলেছে বড়নগরের রাসেল। জয়ধরকান্দি গ্রামের কালা মিয়া -২৩- সহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, প্রতিপক্ষের উপর তান্ডব চালিয়ে ভয়ভীতি ও মারধর করার চুক্তিতে এদেরকে ১০ হাজার টাকায় ভাড়া এনেছেন দুলাল মিয়া। তাই তারা তিন মোটরবাইকে বিকট শব্দে ৯ জন গ্রামে প্রবেশ করে।
নিজেদেরকে পুলিশের লোক পরিচয় দিয়ে নারী পুরূষসহ সকলকে মারধর ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। প্রায় ৪৫ মিনিট তারা গ্রামের পূর্বপাড়ায় তান্ডব চালায়। আটককৃত রাসেল এই তথ্য গুলো গ্রামবাসীকে জানিয়েছে। তবে দুলালের পক্ষের লোকজন এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ -ওসি- রফিকুল হাসান বলেন,‘ ভূয়া দুই পুলিশের বিরূদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এরা নাকি দুলালের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় স্বজন। এ ছাড়া অপর ছয়জনকে সিআর মামলার আসামি হিসেবে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।