
মুজাহিদ শেখ, শ্রীপুর (মাগুরা)প্রতিনিধি:
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার চরমহেশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জীবন কুমার মন্ডল এর বিরুদ্ধে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা অমান্য স্বেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোরের বোর্ড চেয়ারম্যান মহোদয়ের এর নির্দেশিত বিদ্যালয় পরিদর্শক ড.মোঃ কামরুজ্জামান সাক্ষরিত চিঠিকে উপেক্ষা করে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের এডহক কমিটির নির্বাচিত সভাপতি জিনাত সুলতানার দায়িত্ব হস্তান্তরে গড়িমসি ও টালবাহনা অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর মধ্যে নিন্দা ও চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
যশোর শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক মনোনীত এডহক কমিটির সভাপতি জিনাত সুলতানা সাংবাদিকদের জানান, চরমহেশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড বিগত ০৩-০৬-২৫ খ্রী. তারিখে বিঅ/৬/৭০৯২/৩৭.১১.৪০৪১.৫০১.০১.৬.২০.২২৩৪১ স্মারকে বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. মো. কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এডহক কমিটিতে তাকে সভাপতি মনোনীত করেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক জীবন কুমার মন্ডল বিভিন্ন অজুহাতে তাকে সভাপতির দায়িত্ব হস্তান্তরে গড়িমসি করছেন। বোর্ড কর্তৃক আদেশ জারীর প্রায় দেড়মাস অতিবাহিত হলেও প্রধান শিক্ষক এডহক কমিটির কোন সভায় আহ্বান করেননি। প্রধান শিক্ষকের পছন্দের লোক সভাপতি নির্বাচিত না হওয়ায় তিনি এই ধরণের আচরণ করছেন। তিনি সভা আহবান করে নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর না করে এডহক কমিটির সভাপতির ৬’মাসের দায়িত্বের মেয়াদ শেষ করার পরিকল্পনায় মত্ত রয়েছেন। এমন কি এডহক কমিটির সভাপতি যাতে দায়িত্ব নিতে না পারে সেজন্যও বিভিন্ন স্থানে ধর্ণা দিচ্ছেন। এই সু-চতুর প্রধন শিক্ষক এখানের ক্ষ্যান্ত ছিলেন না তিনি বিগত সরকারের আমলে তিনি তার পছন্দের লোককে কমিটিতে স্থান দিয়ে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে লাখ লাখ টাকার নিয়োগ বানিজ্যসহ বিভিন্ন ধরণের দূর্ণীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এবারের কমিটিতে যিনি সভাপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তাকে দিয়ে হয়তবা প্রধান শিক্ষক সেই সুযোগ নিতে পারবেন না বলেই এমন আচরণ করছেন।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক জীবন কুমার মন্ডল জানান, গত ২ জুলাই বুধবার সভার আহ্বান করলেও জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতাদের হস্তক্ষেপে কোন সভা করতে পারিনি। তবে, এ বিষয়ে সমস্যা সমাধানের দায়িত্বটা উনারা নিয়েছেন। আশা করি অতিদ্রুতই এ একটা সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, আব্দুল গণি জানান, যেহেতু শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক সভাপতিকে মনোনীত করা হয়েছে। সেহেতু প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নিজগুণে সভা আহ্বান করবেন এবং প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলমান রাখবেন। বিষয়টি আমার গোচরে আসার পর আমি নিজে প্রধান শিক্ষককে ডেকে সভা আহ্বান করতে বলেছি কিন্ত তিনি তা না করে রাজনৈতিক নেতাদের নাম ভাঙাচ্ছেন যা সরকারি নিয়মনীতি বহির্ভূত।