Dhaka , Monday, 15 December 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
সাংবাদিকদের কল্যাণে প্রয়োজনীয় সকল উদ্যোগ নেবে সরকার। তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নোয়াখালীতে যুবদলের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় মিলাদ ; দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান নির্বাচনী কেন্দ্র পরিদর্শন করলেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার চরভদ্রাসনের নবাগত ইউএনও’র সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ, বই উপহার। পঞ্চবটি বধ্যভূমিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন হাদী’র উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে এ্যাব’র মানববন্ধন ঈদগাঁওর পোকখালীতে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু পাইকগাছায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ আটক- ২ বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রস্তুত বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের সমাধীস্থল পাইকগাছায় অবৈধ মাটি কাটার বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান শ্রীপুরে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মিনু মৃধা গ্রেফতার  ভয়েসেস ফর চেঞ্জ প্রজেক্ট’-এর উদ্যোগে কক্সবাজারে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও আইনি অধিকার নিশ্চিতকরণে মতবিনিময় সভা রূপগঞ্জে সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে হামলার শিকার সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি, থানায় অভিযোগ শিক্ষকের ঘুমহীন রাত রূপগঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর মতবিনিময় সভা তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন ও আমাদের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা গোয়ালঘরে কৃষকের দুটি গরু জবাই করে রেখে গেল দুর্বৃত্তরা পাইকগাছায় রাজনৈতিক ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আচরণবিধি প্রতিপালন ও আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে কক্সবাজারে মতবিনিময় সভা শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস: পৃথিবীর ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়—কক্সবাজারে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত: ঈদগাঁওতে হামিদুল হক ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল: মাইজ পাড়ার হাতে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি যে ৫ লক্ষণ দেখে বুঝবেন মানুষটি আপনার জন্য নয় চরভদ্রাসনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস- ২০২৫ পালিতঃ আলোচনা সভা। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পরিবিহন সেক্টরে জাতীয় সমন্বিত বহুমাধ্যম ভিত্তিক মহাপিরিকল্পনা প্রনয়ণ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত নোয়াখালীতে ব্যানার, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করছে উপজেলা প্রশাসন নোয়াখালীতে গাছ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু সরাইল শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি রূপগঞ্জে ছয় প্রতিষ্ঠানের গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন

শিক্ষকের ঘুমহীন রাত

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 05:43:02 pm, Monday, 15 December 2025
  • 6 বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:

শ্রেণী কার্যক্রম বন্ধ শিক্ষকদের রাত জেগে খাতা দেখা শুরু করেছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি থাকলেও শিক্ষকরা মানুষিক ও পেশাগত ভাবে সব সময় সক্রিয় থাকেন। নির্বাচনী ও বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল শিক্ষার্থীদের হাতে দেবার পূর্ব পর্যন্ত প্রতিটি ধাপেই শিক্ষকদের কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও শিক্ষকের দায়িত্ব কখনো বন্ধ থাকে না। স্কুল বন্ধ থাকলেও শিক্ষকদের কাজের কোন শেষ নেই। নির্বাচনী, বার্ষিক পরীক্ষার খাতা
মূল্যায়ন ও ফলাফল তৈরি করে শিক্ষকরা রাত জেগে নিরব পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। শিক্ষকদের এ সব পরিশ্রম কেউ দেখেন না, উপলব্ধি করেন না। অনেকই মনে করে থাকেন স্কুল বন্ধ, শিক্ষকদের কোন কাজ নেই। এ সব কথা শিক্ষকতার পরিশ্রমকে ছোট করে ফেলা হয়। স্কুল বন্ধ থাকলেও শিক্ষকের দায়িত্ব কখনো বন্ধ থাকে না। শিক্ষকেরা রাত জেগে খাতা দেখে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য গড়ার জন্য দিন, রাত পরিশ্রম করছেন।
পাঁচদোনা স্যার কৃষ্ণ গোবিন্দ গুপ্ত স্কুল এন্ড কলেজের গনিতের শিক্ষক আনোয়ার হোসেন জানান, শিক্ষকদের গভীর রাত পর্যন্ত জেগে খাতার মূল্যায়ন করতে হয়। খাতা মূল্যায়নের সময় শিক্ষার্থীদের কোথায় ভুল করেছে তা চিহ্নিত করতে হয়।
ইংরেজি শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শিক্ষকরা শুধু খাতা মূল্যায়ন ও ফলাফল প্রকাশ করেন না। সেই সাথে সঠিক নাম লিখা, রোল নম্বর লেখা, গড় নম্বর বের করা, গ্রেড নির্ধারন করে ফলাফল প্রকাশের জন্য নথি তৈরী করতে হয়।
পলাশ থানা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সবিতা রানী সূএধর জানান, পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে যায় কিন্তু আমি রাত জেগে খাতা দেখি। আমার ছোট মেয়ে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। শিক্ষককে খাতা দেখার দায়িত্ববোধের কারনে কমপক্ষে এক সপ্তাহ আমার মেয়ে আদর থেকে বঞ্চিত।
হিসাব বিজ্ঞানের শিক্ষক নাজমুল শাহীন জানান, পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে যায় কিন্তু আমাকে রাত জেগে খাতা দেখতে হয়। খাতা দেখে সময়মত স্কুলে ফলাফল জমা দিতে হবে । শিক্ষকদের স্কুল বন্ধের মধ্যে ও এ রকম মানুষিক চাপ অন্য পেশার মানুষ বুঝে না। সবাই মনে করেন স্কুল বন্ধ শিক্ষকদের কোন কাজ নেই।
নির্বাচনী পরীক্ষা কিংবা বার্ষিক পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন কাগজে কলমে যত সহজ মনে হয় কিন্তু বাস্তবে তার চেয়েও কঠিন। শিক্ষক কিভাবে নিজের সন্তনকে সময় না দিয়ে রাত জেগে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কাজ করছেন। একজন শিক্ষক কমপক্ষে ৫ শত খাতা থেকে শুরু করে সাড়ে ৬ শত খাতা দেখে থাকেন। যে সকল স্কুলের শিক্ষার্থী সংখ্যা এক হাজার থেকে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী সেই সকল স্কুলে শিক্ষার্থীর চাপ বেশি থাকে।
মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৪ ডিসেম্বর থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসে স্কুলে আলোচনা সভা,১৬ ডিসেম্বর স্কুলে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা, ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর সাপ্তাহিক বন্ধ, শীতকালীন অবকাশ, যিশু খিষ্ট্রের জন্মদিন ছাড়াও এসএসসি নির্বাচনী পরীক্ষা ও বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল তৈরি করতে বন্ধের মধ্যে কমপক্ষে ২ দিন স্কুলে যেতে হয়। কাগজে কলমে স্কুল বন্ধ থাকলেও এ সময় শিক্ষকের ব্যস্ততা,পরিশ্রম বেশী হয়।
শিক্ষকের সম্মান জাতির অগ্রগতির
জন্য অপরিহার্য। শিক্ষক একটি জাতিকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলেন। ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার, প্রকৌশলী, সাংবাদিক সহ বিভিন্ন পেশার মানুষ শিক্ষকের কাছেই শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। অথচ সেই শিক্ষকের সম্মান দিনে দিনে কমে যাচ্ছে। শিক্ষকরাই পারে জাতির উন্নয়ন নিশ্চিত করতে। স্কুল বন্ধ মানেই শিক্ষা বন্ধ নয়। স্কুল বন্ধ মানেই শিক্ষকের দায়িত্ব শেষ নয়। কাগজে কলমেই শুধু শিক্ষকের বন্ধ। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্ঞান, নৈতিকতা, মনুষ্যত্ববোধ তৈরি করেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিকদের কল্যাণে প্রয়োজনীয় সকল উদ্যোগ নেবে সরকার। তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

শিক্ষকের ঘুমহীন রাত

আপডেট সময় : 05:43:02 pm, Monday, 15 December 2025

স্টাফ রিপোর্টার:

শ্রেণী কার্যক্রম বন্ধ শিক্ষকদের রাত জেগে খাতা দেখা শুরু করেছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি থাকলেও শিক্ষকরা মানুষিক ও পেশাগত ভাবে সব সময় সক্রিয় থাকেন। নির্বাচনী ও বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল শিক্ষার্থীদের হাতে দেবার পূর্ব পর্যন্ত প্রতিটি ধাপেই শিক্ষকদের কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও শিক্ষকের দায়িত্ব কখনো বন্ধ থাকে না। স্কুল বন্ধ থাকলেও শিক্ষকদের কাজের কোন শেষ নেই। নির্বাচনী, বার্ষিক পরীক্ষার খাতা
মূল্যায়ন ও ফলাফল তৈরি করে শিক্ষকরা রাত জেগে নিরব পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। শিক্ষকদের এ সব পরিশ্রম কেউ দেখেন না, উপলব্ধি করেন না। অনেকই মনে করে থাকেন স্কুল বন্ধ, শিক্ষকদের কোন কাজ নেই। এ সব কথা শিক্ষকতার পরিশ্রমকে ছোট করে ফেলা হয়। স্কুল বন্ধ থাকলেও শিক্ষকের দায়িত্ব কখনো বন্ধ থাকে না। শিক্ষকেরা রাত জেগে খাতা দেখে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য গড়ার জন্য দিন, রাত পরিশ্রম করছেন।
পাঁচদোনা স্যার কৃষ্ণ গোবিন্দ গুপ্ত স্কুল এন্ড কলেজের গনিতের শিক্ষক আনোয়ার হোসেন জানান, শিক্ষকদের গভীর রাত পর্যন্ত জেগে খাতার মূল্যায়ন করতে হয়। খাতা মূল্যায়নের সময় শিক্ষার্থীদের কোথায় ভুল করেছে তা চিহ্নিত করতে হয়।
ইংরেজি শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শিক্ষকরা শুধু খাতা মূল্যায়ন ও ফলাফল প্রকাশ করেন না। সেই সাথে সঠিক নাম লিখা, রোল নম্বর লেখা, গড় নম্বর বের করা, গ্রেড নির্ধারন করে ফলাফল প্রকাশের জন্য নথি তৈরী করতে হয়।
পলাশ থানা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সবিতা রানী সূএধর জানান, পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে যায় কিন্তু আমি রাত জেগে খাতা দেখি। আমার ছোট মেয়ে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। শিক্ষককে খাতা দেখার দায়িত্ববোধের কারনে কমপক্ষে এক সপ্তাহ আমার মেয়ে আদর থেকে বঞ্চিত।
হিসাব বিজ্ঞানের শিক্ষক নাজমুল শাহীন জানান, পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে যায় কিন্তু আমাকে রাত জেগে খাতা দেখতে হয়। খাতা দেখে সময়মত স্কুলে ফলাফল জমা দিতে হবে । শিক্ষকদের স্কুল বন্ধের মধ্যে ও এ রকম মানুষিক চাপ অন্য পেশার মানুষ বুঝে না। সবাই মনে করেন স্কুল বন্ধ শিক্ষকদের কোন কাজ নেই।
নির্বাচনী পরীক্ষা কিংবা বার্ষিক পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন কাগজে কলমে যত সহজ মনে হয় কিন্তু বাস্তবে তার চেয়েও কঠিন। শিক্ষক কিভাবে নিজের সন্তনকে সময় না দিয়ে রাত জেগে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কাজ করছেন। একজন শিক্ষক কমপক্ষে ৫ শত খাতা থেকে শুরু করে সাড়ে ৬ শত খাতা দেখে থাকেন। যে সকল স্কুলের শিক্ষার্থী সংখ্যা এক হাজার থেকে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী সেই সকল স্কুলে শিক্ষার্থীর চাপ বেশি থাকে।
মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৪ ডিসেম্বর থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসে স্কুলে আলোচনা সভা,১৬ ডিসেম্বর স্কুলে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা, ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর সাপ্তাহিক বন্ধ, শীতকালীন অবকাশ, যিশু খিষ্ট্রের জন্মদিন ছাড়াও এসএসসি নির্বাচনী পরীক্ষা ও বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল তৈরি করতে বন্ধের মধ্যে কমপক্ষে ২ দিন স্কুলে যেতে হয়। কাগজে কলমে স্কুল বন্ধ থাকলেও এ সময় শিক্ষকের ব্যস্ততা,পরিশ্রম বেশী হয়।
শিক্ষকের সম্মান জাতির অগ্রগতির
জন্য অপরিহার্য। শিক্ষক একটি জাতিকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলেন। ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার, প্রকৌশলী, সাংবাদিক সহ বিভিন্ন পেশার মানুষ শিক্ষকের কাছেই শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। অথচ সেই শিক্ষকের সম্মান দিনে দিনে কমে যাচ্ছে। শিক্ষকরাই পারে জাতির উন্নয়ন নিশ্চিত করতে। স্কুল বন্ধ মানেই শিক্ষা বন্ধ নয়। স্কুল বন্ধ মানেই শিক্ষকের দায়িত্ব শেষ নয়। কাগজে কলমেই শুধু শিক্ষকের বন্ধ। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্ঞান, নৈতিকতা, মনুষ্যত্ববোধ তৈরি করেন।