Dhaka , Saturday, 5 July 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
দেশজুড়ে থেমে থেমে বৃষ্টি, ৯ জুলাই পর্যন্ত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা নি’র্বাচ’নী আসন নিয়ে বিএনপি-মিত্র দলগুলোর স’মঝো’তার চলমান আলোচনা কুমিল্লার মুরাদনগরে মা ও দুই সন্তানের হ’ত্যা’র ৩৯ ঘণ্টা পর মা’ম’লা, দুজন আ’টক শুল্ক-কর পরিশোধে ‘এ চা’লান’: অনলাইনে সরাসরি কোষাগারে জমা বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় ওয়ানডে আজ চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে হজ ফ্লাইট আ’টকা, দুই ঘণ্টা বিমান চলাচল বন্ধ কলাতলীতে অ’স্ত্রস’হ তিন অ’স্ত্র ব্যবসায়ী গ্রেফ’তার, উ’দ্ধার বিদেশি আ’গ্নেয়া’স্ত্র ও বি’পুল পরিমাণ গু’লি রূপগঞ্জে ইলেকট্রিশিয়ানকে কু’পি’য়ে হ’ত্যা রূপগঞ্জে বৃ’ক্ষ রোপণ কর্মসূচি ও চারাগাছ বিতরণ রামুতে নি’খোঁ’জ একই পরিবারের চার শিক্ষার্থী ভারতকে ধ’মক ও রু’খে দিতে হলে বিএনপিকে ক্ষ’মতা’য় আনতে হবে : আব্দুস সালাম কালিয়াকৈরে ৩১ দ’ফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ,বিএনপির সদস্য সংগ্রহ -নবায়ন এবং দ্রুত  জাতীয় সংসদ নি’র্বাচনে’র দা’বিতে বিশাল স’মাবে’শ  প্রস্তাবিত রায়পুরা মেঘনা সেতুর দৈর্ঘ্য ১৪৭০ মিটার, নির্মাণ ব্যয় হবে ৮০০ কোটি টাকা জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ঈদ পুনর্মিলনী ও কর্মশালা কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার অ’র্থনৈ’তিক সহযোগিতা জো’রদা’রে ঢাকার আ’হ্বান শ’হীদদে’র জন্য ৫ জুলাই দেশব্যা’পী দোয়া-মাহফিলের আ’হ্বান হেফাজতে ইসলামের। লালমনিরহাটে আন্ত:সুরকিমীল ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত পাবনায় অটোরিকশা চার্জ দিতে গিয়ে বি’দ্যুৎস্পৃ’ষ্টে চালকের মৃ’ত্যু  কাঁঠালিয়ায় বিএনপির বি’ক্ষো’ভ মিছিল, খু’নি হাসিনার ফাঁ’সি ও আওয়ামী স’ন্ত্রা’সীদে’র বি’চারে’র দাবি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন মোংলা বন্দর চেয়ারম্যান পাবনায় বাস-ট্রাক সং’ঘ’র্ষে নি’হত ৩, আ’হত ১০  হাটহাজারিতে মডেল মসজিদের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন থানায় হা’মলা ও আ’সামি ছি’নতা’ইয়ে’র ঘ’টনা’য় তিনজন র‍্যাবের হাতে গ্রে’প্তার কালিয়াকৈরে ৩১ দ’ফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ,বিএনপির সদস্য সংগ্রহ -নবায়ন এবং দ্রুত  জাতীয় সংসদ নি’র্বাচনে’র দাবিতে বিশাল সমা’বেশ  হাতীবান্ধা থেকে ২৫.৫ কেজি গাঁ’জাসহ এক মা’দক ব্যবসায়ীকে গ্রে’প্তার করেছে র‍্যাব দেশীয় প্রযুক্তিতে বাং’কার বা’স্টার তৈরি করছে ভারত, আসছে অ’গ্নি-৫-এর নতুন দুই সং’স্ক’রণ চরভদ্রাসনে বিএনপি’র প্রস্তুতিমূলক কমিটিতে আওয়ামীলীগের দো’সর’দের ঠা’ই হয়েছে, তারই প্র’তিবা’দে ত্যা’গী বিএনপি’র নেতাকর্মীদের মশাল মিছিল পটুয়াখালীর মহিপুরে দুই না’রীর ওপর হা’মলা’র অ’ভিযো’গ ছাত্রদল নে’তার’ বি’রুদ্ধে রূপগঞ্জে সাত বছরেও সুবর্ণা হ’ত্যার বি’চার হয়নি, শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন, সুবর্ণার চাচাকে অ’পহ’রণ করে নি’র্যাত’ন নোয়াখালীতে কি’ডনি ডা’য়ালাইসি’স সেন্টারে দু’দকের অ’ভিযা’ন

শত প্রতিকূলতার মাঝেও এই উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে হবে- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 03:01:49 pm, Wednesday, 3 August 2022
  • 175 বার পড়া হয়েছে

শত প্রতিকূলতার মাঝেও এই উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে হবে- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

দৈনিক আজকের বাংলা ডেস্ক।।

শত প্রতিকূলতার মাঝেও এই উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে হবে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন: অনেক প্রতিকূলতা পেরিয়ে বাংলাদেশ আজ যে অবস্থানে পৌঁছেছে সেই উন্নয়নের ধারাটা যেন অব্যাহত থাকে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যদিয়ে আমরা একটা জায়গায় আসতে পেরেছি, এই ধারা যেন অব্যাহত থাকে।

শেখ হাসিনা মঙ্গলবার সকালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) নিয়মিত সভায় সূচনা বক্তব্যে একথা বলেন।

তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে মাধ্যমে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরস্থ পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রের এই বৈঠকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চিরদিন আমিও থাকব না কিন্ত বাংলাদেশের এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা যেন ব্যাহত না হয় এটাই আমি চাই। আমরা যেন এগিয়ে যেতে থাকি এবং যে আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশ গড়ে উঠেছিল সেই আদর্শ যেন বাস্তবায়ন করতে পারি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এদেশের প্রতিটি গৃহহীনকে ঘর করে দেয়া, খাদ্য নিরাপত্তা প্রদান, চিকিৎসা সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া, শিক্ষার ব্যবস্থা করা-সব ক্ষেত্রেই আজকে তাঁর সরকার সাফল্য অর্জন করেছে। তবে আরও সামনে এগিয়ে যাবার আকাঙ্খাও ব্যক্ত করেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সরকার প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ জাতির পিতার হাতে গড়া সংগঠন তাঁর আদর্শের সংগঠন তাই যখনই ক্ষমতায় এসেছে জনগণের ভাগ্যোন্নয়নেই কাজ করেছে। তাই আজকে যতটুকুই অর্জন আমি মনে করি তা জনগণেরই অবদান।

আজকে বাংলাদেশকে একটি অবস্থানে নিয়ে আসত পারার জন্য তার সহকর্মীদের এসময় ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, যেভাবে আমরা উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়েছি সেভাবেই বাস্তবায়ন করতে পেরেছি বলেই ঠিক যখন ২০২০ সালে জাতির পিতা জন্ম শতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করছি তখনই উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এটা আমাদের একটা বিরাট অর্জন। তবে আরও সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, একটানা তিনবার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় থাকতে পারার কারণে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছি এবং আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। কাজেই আমাদের ওপর জনগণের যেমন আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে তেমনি আমারও জনগণের প্রতি সেই আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে।

তার সরকার স্বল্প মেয়াদি, মধ্য মেয়াদি ও দীর্ঘ মেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা নির্ধারণ করে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য বাস্তবায়নের পাশাপাশি আশু করণীয় নির্ধারণ ও পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। তার সরকার ২০০৮ এর নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী যে রূপকল্প-২০২১ ঘোষণা করেছিল তা বাস্তবায়ন করতে সমর্থ হয়েছে।

আজকের অর্জনের পেছনে পরিকল্পনা কমিশনের একটা বিরাট অবদান রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তাদেরও ধন্যবাদ জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা ঔপনেবেশিক আমলের শাসন কাঠামোকে পরিবর্তন করে ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে চেয়েছিলেন এবং সেজন্য পদক্ষেপও নিয়েছিলেন যার সুফল দেশের মানুষ পেতে শুরু করেছিল।

তিনি বলেন, জাতির পিতা পরিকল্পনা কমিশন গঠন করেন এবং এদেশের স্বনামধন্য অর্থনীতিবিদদের নিয়ে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে দীর্ঘ পরিকল্পনা প্রণয়ণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে এদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। বাংলাদেশ যেন কারো মুখাপেক্ষী না থেকে আত্মমর্যাদাশীল ভাবে গড়ে ওঠে সেটাই ছিল তাঁর চিন্তা এবং দেশকে তিনি স্বল্পোন্নত দেশের পর্যায়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হন।

সরকার প্রধান বলেন, তিনি এদেশের যে মাটি ও মানুষ আছে তা দিয়েই বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন। এজন্য তাঁর যেমন আত্মবিশ্বাস ছিল তেমনি মাটি ও মানুষের প্রতি ছিল গভীর ভালবাসা। কারণ, তাঁর ডাকে সাড়া দিয়েই বাংলাদেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তার নির্দেশে যার যেটুকু সামর্থ্য ছিল তাই নিয়ে বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

কিন্তু যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটি দেশকে গড়ে তুলে জাতির পিতা যখন বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই আঘাত আসল, তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। শুধু তাই নয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, আদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করা হল। বাংলাদেশে আবার নেমে এলো স্থবিরতা, বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৭৫ এর পর অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল এদেশের মানুষের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন করেনি তবে, ক্ষমতাসীনদের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছে।

তিনি বলেন, মানুষেন তখন গণতান্ত্রিক অধিকার বা ভোটের অধিকার কিছুই ছিলনা, প্রতি রাতে কারফিউ থাকত। ক্ষমতা ক্যান্টনমেন্টে বন্দি ছিল। আমরাই আন্দোলন সংগ্রাম করে জনগণের ক্ষমতা আবার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেই।
আপনজন হারানোর ব্যথা বুকে ধারণ করে কেবল বাবার যে স্বপ্ন, এ দেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নেই তাঁর পথ চলা বলেও তিনি জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনজন হারানোর যে ব্যথা, বেদনা, কষ্ট তা সহ্য করা যায় না। কিন্তু আমি দেখেছি ছোটবেলা থেকে এদেশের মানুষকে ভালবাসতে এবং মানুষের জন্য কিছু একটা করার তাগিদ অনুভব করতেন তিনি। তাছাড়া তাঁর সঙ্গে যেটুকু কথা বলার সুযোগ পেতাম এই একই গল্প হতো কীভাবে এই দেশের মানুষের উন্নতিটা হবে। কাজেই আমারও সেই প্রচেষ্টা।

জাতির পিতার খুনীদের বিচার বন্ধে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জাতির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আমরা যারা ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট আপনজন হারিয়েছি তাদের কোন বিচার চাওয়ার অধিকার পর্যন্ত ছিলনা। মামলা করার বা বিচার চাওয়ার সে অধিকারটুকুও কেড়ে নেয়া হয়েছিল। আমাদের প্রতি যে অবিচারটা হয়েছিল যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছিল জানি না তা আর কেউ স্মরণ করে কি-না।

’৯৬ সালে আওয়ামী সরকারে এসে সেই ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স বাতিলের পরই কেবল মামলার সুযোগ পাই বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিল, খুনীদের পুরস্কৃত করে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করা, কূটনৈতিক মিশনে চাকরি দিয়ে তাদের উৎসাহিত করা, কি না করা হয়েছে। কত অন্যায় কাজ এদেশে হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, হত্যা হলে যে কেউ বিচার চাইতে পারে কিন্তু আমাদেরতো সে অধিকার ছিলই না বরং আমার চোখের সামনে দেখেছি জনগণের ভোট চুরি করে সেই খুনীদের খালেদা জিয়া পার্লামেন্টে বসিয়েছে। জিয়াউর রহমান তাদেরকে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছে। এরশাদ তাদের রাজনৈতিক দল করে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হবার সুযোগ করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, এই রকম অন্যায় অবিচার আমরা চোখের সামনে দেখে সবকিছু সহ্য করে, ধৈর্য্য ধরে, জনগণের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে কারণ আমরা একটাই সম্পদ ছিল জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা এবং সেটাকে মূলধন করেই আমি এগিয়ে যাবার চেষ্টা করেছি। আর আজকে জনগণের সহযোগিতায় যতটুকু এগুতে পেরেছি তা দেখে আমার বাবার আত্মা নিশ্চয়ই শান্তি পাবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

দেশজুড়ে থেমে থেমে বৃষ্টি, ৯ জুলাই পর্যন্ত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা

শত প্রতিকূলতার মাঝেও এই উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে হবে- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আপডেট সময় : 03:01:49 pm, Wednesday, 3 August 2022

দৈনিক আজকের বাংলা ডেস্ক।।

শত প্রতিকূলতার মাঝেও এই উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে হবে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন: অনেক প্রতিকূলতা পেরিয়ে বাংলাদেশ আজ যে অবস্থানে পৌঁছেছে সেই উন্নয়নের ধারাটা যেন অব্যাহত থাকে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যদিয়ে আমরা একটা জায়গায় আসতে পেরেছি, এই ধারা যেন অব্যাহত থাকে।

শেখ হাসিনা মঙ্গলবার সকালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) নিয়মিত সভায় সূচনা বক্তব্যে একথা বলেন।

তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে মাধ্যমে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরস্থ পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রের এই বৈঠকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চিরদিন আমিও থাকব না কিন্ত বাংলাদেশের এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা যেন ব্যাহত না হয় এটাই আমি চাই। আমরা যেন এগিয়ে যেতে থাকি এবং যে আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশ গড়ে উঠেছিল সেই আদর্শ যেন বাস্তবায়ন করতে পারি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এদেশের প্রতিটি গৃহহীনকে ঘর করে দেয়া, খাদ্য নিরাপত্তা প্রদান, চিকিৎসা সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া, শিক্ষার ব্যবস্থা করা-সব ক্ষেত্রেই আজকে তাঁর সরকার সাফল্য অর্জন করেছে। তবে আরও সামনে এগিয়ে যাবার আকাঙ্খাও ব্যক্ত করেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সরকার প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ জাতির পিতার হাতে গড়া সংগঠন তাঁর আদর্শের সংগঠন তাই যখনই ক্ষমতায় এসেছে জনগণের ভাগ্যোন্নয়নেই কাজ করেছে। তাই আজকে যতটুকুই অর্জন আমি মনে করি তা জনগণেরই অবদান।

আজকে বাংলাদেশকে একটি অবস্থানে নিয়ে আসত পারার জন্য তার সহকর্মীদের এসময় ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, যেভাবে আমরা উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়েছি সেভাবেই বাস্তবায়ন করতে পেরেছি বলেই ঠিক যখন ২০২০ সালে জাতির পিতা জন্ম শতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করছি তখনই উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এটা আমাদের একটা বিরাট অর্জন। তবে আরও সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, একটানা তিনবার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় থাকতে পারার কারণে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছি এবং আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। কাজেই আমাদের ওপর জনগণের যেমন আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে তেমনি আমারও জনগণের প্রতি সেই আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে।

তার সরকার স্বল্প মেয়াদি, মধ্য মেয়াদি ও দীর্ঘ মেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা নির্ধারণ করে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য বাস্তবায়নের পাশাপাশি আশু করণীয় নির্ধারণ ও পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। তার সরকার ২০০৮ এর নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী যে রূপকল্প-২০২১ ঘোষণা করেছিল তা বাস্তবায়ন করতে সমর্থ হয়েছে।

আজকের অর্জনের পেছনে পরিকল্পনা কমিশনের একটা বিরাট অবদান রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তাদেরও ধন্যবাদ জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা ঔপনেবেশিক আমলের শাসন কাঠামোকে পরিবর্তন করে ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে চেয়েছিলেন এবং সেজন্য পদক্ষেপও নিয়েছিলেন যার সুফল দেশের মানুষ পেতে শুরু করেছিল।

তিনি বলেন, জাতির পিতা পরিকল্পনা কমিশন গঠন করেন এবং এদেশের স্বনামধন্য অর্থনীতিবিদদের নিয়ে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে দীর্ঘ পরিকল্পনা প্রণয়ণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে এদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। বাংলাদেশ যেন কারো মুখাপেক্ষী না থেকে আত্মমর্যাদাশীল ভাবে গড়ে ওঠে সেটাই ছিল তাঁর চিন্তা এবং দেশকে তিনি স্বল্পোন্নত দেশের পর্যায়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হন।

সরকার প্রধান বলেন, তিনি এদেশের যে মাটি ও মানুষ আছে তা দিয়েই বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন। এজন্য তাঁর যেমন আত্মবিশ্বাস ছিল তেমনি মাটি ও মানুষের প্রতি ছিল গভীর ভালবাসা। কারণ, তাঁর ডাকে সাড়া দিয়েই বাংলাদেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তার নির্দেশে যার যেটুকু সামর্থ্য ছিল তাই নিয়ে বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

কিন্তু যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটি দেশকে গড়ে তুলে জাতির পিতা যখন বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই আঘাত আসল, তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। শুধু তাই নয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, আদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করা হল। বাংলাদেশে আবার নেমে এলো স্থবিরতা, বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৭৫ এর পর অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল এদেশের মানুষের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন করেনি তবে, ক্ষমতাসীনদের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছে।

তিনি বলেন, মানুষেন তখন গণতান্ত্রিক অধিকার বা ভোটের অধিকার কিছুই ছিলনা, প্রতি রাতে কারফিউ থাকত। ক্ষমতা ক্যান্টনমেন্টে বন্দি ছিল। আমরাই আন্দোলন সংগ্রাম করে জনগণের ক্ষমতা আবার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেই।
আপনজন হারানোর ব্যথা বুকে ধারণ করে কেবল বাবার যে স্বপ্ন, এ দেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নেই তাঁর পথ চলা বলেও তিনি জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনজন হারানোর যে ব্যথা, বেদনা, কষ্ট তা সহ্য করা যায় না। কিন্তু আমি দেখেছি ছোটবেলা থেকে এদেশের মানুষকে ভালবাসতে এবং মানুষের জন্য কিছু একটা করার তাগিদ অনুভব করতেন তিনি। তাছাড়া তাঁর সঙ্গে যেটুকু কথা বলার সুযোগ পেতাম এই একই গল্প হতো কীভাবে এই দেশের মানুষের উন্নতিটা হবে। কাজেই আমারও সেই প্রচেষ্টা।

জাতির পিতার খুনীদের বিচার বন্ধে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জাতির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আমরা যারা ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট আপনজন হারিয়েছি তাদের কোন বিচার চাওয়ার অধিকার পর্যন্ত ছিলনা। মামলা করার বা বিচার চাওয়ার সে অধিকারটুকুও কেড়ে নেয়া হয়েছিল। আমাদের প্রতি যে অবিচারটা হয়েছিল যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছিল জানি না তা আর কেউ স্মরণ করে কি-না।

’৯৬ সালে আওয়ামী সরকারে এসে সেই ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স বাতিলের পরই কেবল মামলার সুযোগ পাই বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিল, খুনীদের পুরস্কৃত করে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করা, কূটনৈতিক মিশনে চাকরি দিয়ে তাদের উৎসাহিত করা, কি না করা হয়েছে। কত অন্যায় কাজ এদেশে হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, হত্যা হলে যে কেউ বিচার চাইতে পারে কিন্তু আমাদেরতো সে অধিকার ছিলই না বরং আমার চোখের সামনে দেখেছি জনগণের ভোট চুরি করে সেই খুনীদের খালেদা জিয়া পার্লামেন্টে বসিয়েছে। জিয়াউর রহমান তাদেরকে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছে। এরশাদ তাদের রাজনৈতিক দল করে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হবার সুযোগ করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, এই রকম অন্যায় অবিচার আমরা চোখের সামনে দেখে সবকিছু সহ্য করে, ধৈর্য্য ধরে, জনগণের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে কারণ আমরা একটাই সম্পদ ছিল জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা এবং সেটাকে মূলধন করেই আমি এগিয়ে যাবার চেষ্টা করেছি। আর আজকে জনগণের সহযোগিতায় যতটুকু এগুতে পেরেছি তা দেখে আমার বাবার আত্মা নিশ্চয়ই শান্তি পাবে।