
তৌহিদুল ইসলাম চঞ্চল, বিশেষ প্রতিনিধি
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি-, লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন -১৫ বিজিবি- আনুমানিক ৩ কোটি টাকা মূল্যমানের বিভিন্ন মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে।
বুধবার -২১ মে- সকালে ১৫ বিজিবি’র প্রশিক্ষণ মাঠে মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়।
ধ্বংসকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে- নিষিদ্ধ মাদক ফেনসিডিল: ২৮ হাজার ৯২৮ বোতল, ইস্কাফ সিরাপ: ১৩ হাজারব ৮০৮ বোতল, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিদেশি মদ: ১ হাজার ৫৬ বোতল, গাঁজা: ৯৬৪.১১৩ কেজি, ইয়াবা ট্যাবলেট: ১২ হাজার ৯৪ পিস, হেরোইন: ৩৩ গ্রাম, টাপেন্টাডল ট্যাবলেট: ২১ হাজার ৪১৮ পিস, কডিসেপ সিরাপ: ৪ বোতল, বিদেশি বিয়ার: ৮৭ ক্যান/বোতল।
এই মাদকগুলো রংপুর সেক্টর এর অধীন ১৫ বিজিবি, ৫১ বিজিবি –রংপুর- ও ৬১ বিজিবি -তিস্তা ব্যাটালিয়ন- কর্তৃক বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের বিভিন্ন বিজিবি ক্যাম্পের আশেপাশের এলাকা থেকে বিভিন্ন সময় মালিকবিহীন অবস্থায় আটক করে সংশ্লিষ্ট টহল দল। জব্দ মাদকদ্রব্যগুলো সব একসাথে পুড়িয়ে কিংবা রোলার দিয়ে পিষে ধ্বংস করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য দেন লালমনিরহাট ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম, পিএসসি। তিনি বলেন “সমাজে মাদকের কুফল তুলে ধরে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। আমাদের বিভিন্ন অভিযানে বেসামরিক প্রশাসন, পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও গণমাধ্যম যে সহায়তা করেছেন এর জন্য ধন্যবাদ জানাই।“
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজিবি রংপুরের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস. এম. জাহিদুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সাব্বির আহমেদ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহিদুর রহমান বলেন, “মাদক হল একটি ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধি। যা শুধু ব্যক্তিকে নয়, পরিবার ও সমাজকেও ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়। বিজিবির পাশাপাশি সমাজের প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষকে একযোগে এই মরণনেশার বিস্তার রোধে কাজ করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লালমনিরহাটের অতি. জেলা প্রশাসক, সহ : কমিশনার -জুডিশিয়াল মুন্সিখানা-, অতি. পুলিশ সুপার, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহ : পরিচালক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, শিক্ষার্থীবৃন্দ।
মাদক সেবন, পরিবহণ ও কেনাবেচার বিরুদ্ধে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই ধরনের উদ্যোগ চলমান থাকবে বলে জানায় বিজিবি।