
চঞ্চল,
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার চাঞ্চল্যকর রমিজ হত্যা মামলার এজাহারনামীয় দুই ও তিন নম্বর আসামী মোঃ রহমত আলী -৫৫- ও মোঃ জসমত আলী -৬০-কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড ব্যাটালিয়ন, র্যাবের যৌথ অভিযানিক দল।
মঙ্গলবার -১ জুলাই- রাত ১০টায় একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানান র্যাব-১৩ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক -মিডিয়া- বিপ্লব কুমার গোস্বামী।
গ্রেপ্তারকৃত সহোদর রহমত ও জসমত পাটগ্রামের বেলেরবাড়ী এলাকার ইউনুস আলীর ছেলে।
এজাহারের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার এই দুই আসামী দীর্ঘদিন ধরে নিহত রহিজ উদ্দিনের সাথে জমিজমাকে কেন্দ্র করে দন্দে লিপ্ত ছিল। তারা জমি দখলকে কেন্দ্র করে নিহত রমিজকে বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি দেখাতো ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করতো। গত ১৭ জুন রমিজের জমিতে জোর করে গাছ রোপণ করতে যায় রহমত ওরফে দুলু বাউ এবং মোঃ জসমত ওরফে বড় বাউ। সেই সময় ভুক্তভোগী রমিজ বাঁধা দেওয়ায় এই দুইজন তার বুকে এলপাতাড়ি ঘুষি মারে। ফলে রমিজ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। চিকিৎসার জন্য রমিজকে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই দিনই রমিজের স্ত্রী বাদী পাটগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
র্যাব জানায়, বিষয়টি প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হলে ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। তখন বিষয়টি র্যাব-১৩, সিপিএসসি, রংপুরের নজরে আসে ও ছায়া তদন্ত শুরু হয়। পরে সুনির্দিষ্ট তথ্য ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উল্লিখিত দুই আসামীকে ধরতে বগুড়ায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-১৩, সিপিএসসি, রংপুর এবং র্যাব-১২, সিপিএসসি, বগুড়া ক্যাম্পের যৌথ অভিযানিক দল। অভিযান চলাকালে বগুড়া সদর থানা এলাকা থেকে সোমবার রাত আনুমানিক ১১.৫৫ মিনিটে রহমতকে ও মঙ্গলবার রাত ২ঃ১৫ মিনিটে জসমতকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।