
তৌহিদুল ইসলাম চঞ্চল, বিশেষ প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের হাজরানীয়া বাজারের ১৭টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর-লুট ও ব্যবসায়ীদের উপর হামলায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও ওই সময় টাকা ও মালামাল লুটের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার “১৮ মার্চ”রেয়াজুল ইসলাম নামে একজন ব্যবসায়ী বাদী হয়ে ১৬ জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৩০-৩৫ জনের জড়িত থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মঙ্গলবার রাতে কালীগঞ্জ থানার ওসি সেলিম মালিক একজন গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. দুখু মিয়া-৩২- তিনি একই উপজেলার ভোটমারী এলাকার ফরহাদ হোসেনের ছেলে।
হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন মিন্টু ,মোজাম খাঁ, রবিউল, ইসমাইল, ঝন্টু, মকসুদার রহমান, আব্দুর রসিদ, জিয়ারুল, রেয়াজুল, ভুট্টু, বুলু, একাব্বর, জাহাঙ্গির, ফরিদুল, আবু সায়েম ও নয়ন মিয়া।
পুলিশ, ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা জানায়, গত সোমবার রাতে ভোটমারী এলাকার কিছু মানুষের সাথে হাজরানিয়া বাজারের ব্যবসায়ী মশিউর রহমান মিন্টুর কথা কাটাকাটি হয়। সেই ঘটনার জেরে কিছুক্ষণ পরে লাঠিসোঁটা নিয়ে বাজারে এসে মোজাম খাঁ এর উপর হামলা চালায় ও মারধর করেন কিছু দুর্বৃত্ত। এর প্রতিবাদ করায় মিন্টুসহ অন্তত ১৫ থেকে ১৬ জন ব্যক্তিকে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হামলা করেন । এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন । আহতদের মধ্যে ৩ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মারধরের ওই ঘটনার সময় অভিযুক্তরা বাজারের বেশ কিছু দোকানে ভাঙচুর, অর্থ ও মালামাল লুটপাট করে ওই স্থান ত্যাগ করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ব্যবসায়ী ইসমাইল বলেন, “তারা আমাদের দোকানে এভাবে আক্রমণ করবে ও ভাঙচুর চালাবে আমরা ধারণা করতে পারিনি। দোকানের মালপত্র ও টাকা লুট করে নিয়ে যান তারা। ঈদের আগে এই ঘটনা ঘটায় পরিবারের নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।”
ব্যবসায়ী ও হামলার শিকার ব্যক্তিরা দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান।
ওসি সেলিম মালিক বলেন, “পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। একটি মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযান চালিয়ে আমরা । এজাহার নামীয় ১ জনকে গ্রেপ্তারে সক্ষম হয়েছি। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। “