
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে বিদ্যালয়ে না গিয়েও মাসের পর মাস বেতন নিচ্ছেন তাসলিমা আক্তার নামের এক শিক্ষিকা। ঘটনাটি ঘটেছে রামগঞ্জ উপজেলার ৯নং ভোলাকোট ইউনিয়নের লামনগর একাডেমিতে।
জানা গেছে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা -গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান, ইনডেক্স নম্বর ১১২৭২৮৪- তাসলিমা আক্তার গত ৯ই জুন ২০২৪ ইং সাল থেকে কোন রকম ছুটি না নিয়ে বিদ্যালয়ে নিয়মিত অনুপস্থিত রয়েছেন।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে লামনগর একাডেমীর প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদকে মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা দিয়ে শিক্ষিকা তাসলিমা আক্তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত রয়েছেন।
বিদ্যালয়ের সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষক ও কর্মচারী জানান, তাসলিমা নিঃসন্তান হওয়ায় গত বছর ৯ জুন কোন ধরনের ছুটি না নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ম্যানেজ করে ভারতের মাদ্রাজ চিকিৎসার জন্য যান। সেখানে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়ে দুই মাসে আগে বাংলাদেশে ফিরলেও বিদ্যালয়ে না এসে স্বামীর সাথে ঢাকায় অবস্থান করছেন।
লামনগর একাডেমির শিক্ষক হাজিরা খাতায় দেখা গেছে গত ৯ জুন থেকে এ পর্যন্ত তাসলিমা আক্তার একদিনও ছুটিতে নাই। তিনি -তাসলিমা আক্তার- অনুপস্থিত থাকলেও হাজিরা খাতায় প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ নিজেই দস্তখত করে চলেছেন।
স্কুলের শিক্ষার্থীর অভিভাবক জয়নাল আবেদিন, সেলিম মাল, কামাল উদ্দিন ভূইয়া জানান দীর্ঘদিন থেকে আমাদের সন্তানরা স্কুলে গেলেও তাসলিমা আক্তার নামের ঐ শিক্ষক স্কুলে আসেন না।
এ ব্যপারে লামনগর একাডেমির শিক্ষক তাসলিমা আক্তারকে ফোন দেয়া হলে অপরপ্রাপ্ত থেকে কল রিসিভ করে নিজেকে তাসলিমা আক্তারের মেয়ে পরিচয়ে বলেন মা হসপিটালে গিয়েছেন। হসপিটাল থেকে ফিরে আসলে কল দিতে বলবো।
স্কুলের বর্তমান কমিটির অভিভাবক সদস্য মনির হোসেন জসি জানান, আমরা দায়িত্ব নিয়েছি ১১ ফেব্রুয়ারি। দায়িত্ব নেয়ার পর এ ধরনের ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। বিধিমতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, উনি ছুটিতে যাওয়ার আগে দরখাস্ত দিয়েছেন। উনি মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন। ভারত থেকে এসে আবার ১মাসের ছুটি নিয়েছেন। অনুপস্থিত থেকে দস্তখত বিষয়ে বলেন, এটা এখন আর হয় না।
উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার শরিফুল্লাহ আস শামস জানান, আমি ছুটি বা অনুপস্থিতির বিষয়ে কিছুই জানি না। অভিযোগ সত্য হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।